মাউথওয়াশে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি!

Image: মুখ পরিস্কার ও দুর্গন্ধ দূর করতে চিকিৎসকরা মাউথওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর সে পরামর্শ অনুযায়ী রোগীরা নিশ্চিন্তে মাউথওয়াস ব্যবহার করে থাকনে। তবে এবার মনে হয় একটু সর্তক হতে হবে। কারণ সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।

অনেকেই ভাবতে পারেন, যা মুখ পরিস্কারের জন্য ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে হৃদয়ের যোগসূত্র কোথায়? কথাটা গ্রহণযোগ্য না হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠেছে এমনই তথ্য। গবেষকেরা জানিয়েছেন এই মাউথওয়াশগুলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে রক্তজালিকাকে শিথিলকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও মেরে ফেলে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন ম্যারির অধ্যাপক অমৃতা আলুওয়ালিয়া জানিয়েছেন, মাউথওয়াশ শরীরের লাভদায়ক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে রক্তচাপের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হার্টের রোগ বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

তিনি আরও জানান যে, মাড়ি বা দাঁতের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে যে অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা হয় সেগুলো আরও বেশি পরিমাণে ক্ষতিকর।

এই গবেষণায়, ১৯ জন ব্যক্তির রক্তচাপের পরিমাণ মাপা হয়, তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। দেখা গেছে, তাদের প্রত্যেকের রক্তচাপের মাত্রা প্রায় ২ থেকে ৩.৫ ইউনিট বেড়ে গেছে।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, রক্তচাপের মাত্রা ২ পয়েন্ট করে বেড়ে যাওয়া মানেই হৃদয়ের বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। ফ্রি রাডিক্যাল বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিন জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

এনসিএন: ৩৫৩৮৯

চাকরির ‘রিজ্যুমি’ থেকে যে বিষয়গুলো এখনই বাদ দেওয়া জরুরি –

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার সিভি বা ‘রিজ্যুমি’। অনেক চাকরির ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, হয়তো আপনাকে প্রতিষ্ঠানের মুখোমুখিও হতে হলো না। এসব ক্ষেত্রে চাকরিদাতারা কীভাবে বুঝবেন যে, তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য ব্যক্তিটি আপনিই। এমন পরিস্থিতিতে আপনার যোগ্যতা তুলে ধরবে সেই ‘রিজ্যুমি’, যেটি আপনি জমা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে। অনেকে অনেকভাবেই রিজ্যুমি সাজান। এতে কোনো বাধা নেই। তবে যে বিষয়গুলো সেখানে অবশ্যই থাকাটা সমীচীন হবে না তা আপনাদের জানানো হলো।

হাই স্কুল ও কলেজের বিস্তারিত তথ্য
আপনার হাই স্কুল ও কলেজের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে থাকলে কলেজের বিস্তারিতও না দেওয়া উত্তম।

গড় বা কম জিপিএ
যদি আপনার শিক্ষাজীবনের ফলাফল ভালো না হয়ে থাকে এবং চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে আলাদাভাবে ফলাফল না জানতে চায়, তবে এগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে, যদি স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন বহু আগে শেষ হয়ে থাকে তাহলে খারাপ ফল উল্লেখ বিশেষ কোনো সুবিধা দিতে পারবে না।

শব্দ ব্যবহারে বাছ-বিচার
পেশাগত শক্তিশালী শব্দ ব্যবহার করুন। বিশেষ করে আপনার অভিজ্ঞতার ঘরে শব্দ নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। রিজ্যুমি ইংরেজিতেই লিখা হয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। কোনো বিশেষ কাজে পারদর্শীতার ক্ষেত্রে ‘familiar with…’ বা ‘learned how to…’ ইত্যাদি না ব্যবহার করে ‘skill’ শব্দটি ব্যবহার করুন। এতে করে বোঝা যায় যে, আপনি ওই কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, শিক্ষানবীশ নন।

ছবি
না চাওয়া হলে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য অপ্রয়োজনীয় হলে ছবি সরিয়ে ফেলুন। আপনি দেখতে কেমন তা প্রতিষ্ঠান না জানতে চাইলে অযথা একটি ছবি জুড়ে দেওয়া আনাড়ি আচরণের মতো দেখায়।

নাতিদীর্ঘ চাকরির লম্বা তালিকা
হয়তো আপনার অনেকগুলো চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিটিতেই ছিলেন খুব অল্প সময়ের জন্য। সেক্ষেত্রে এসব তথ্য দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এতে চাকরিদাতা মনে করবে, চাকরিতে আপনি মনযোগী নন। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এর অবতারণা করা যেতে পারে। অথবা দীর্ঘ সময় ধরে চাকরিহীন হয়ে থাকলে এগুলো দেওয়া ছাড়া তো গত্যন্তর নেই।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বর্ণনা
ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বর্ণনা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে তেমনটি দেখা যায় না। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের পছন্দ হতে পারে তেমনভাবে নিজের বর্ণনা দেওয়াটাও যথেষ্ট কঠিন বিষয়। তাই এসব না দেওয়াই ভালো। বরং আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাজের বৈসাদৃশ্য থাকলে তারা আপনাকে উপযুক্ত বলে মনে নাও করতে পারে।

সাধারণ কাজের পারদর্শীতা
সাধারণ কিছু কাজ রয়েছে যা সবাই করতে পারেন। এগুলো উল্লেখ করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সবাই ব্যবহার করতে পারেন। কাজের দক্ষতায় এই অতি সাধারণ পারদর্শীতাযোগের প্রয়োজন পড়ে না।

যে তথ্যে বেআইনী বা অবৈধতার যোগ থাকতে পারে
ব্যক্তিগত তথ্য উপস্থাপনের সময় অতিমাত্রায় খোলামেলা না হওয়াই ভালো। যেমন- সামাজিক কার্যক্রম বা রাজনৈতিক কার্যক্রম ইত্যাদি সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির জন্য বিশেষ যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয় না। বরং এসব বিষয়ে আপনার বেআইনী এবং অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হতে পারে।

অতিরিক্ত পাতার সংযোজন
রিজ্যুমি তৈরির মূল নিয়মটি হলো এক পৃষ্ঠার মধ্যে সম্পন্ন করা। সর্বাধিক দুই পাতার রিজ্যুমি হতে পারে। এক বা দুই পাতার মধ্যে রিজ্যুমি সবচেয়ে চমৎকার এবং গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। তবে বিশেষ করে উচ্চপদস্থ চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতা উল্লেখ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পাতাযোগের প্রয়োজন হতেই পারে। তা নির্ভর করে চাকরির ধরন ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ওপর। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

কিছু হাসপাতালের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর (পর্ব একঃ ঢাকা শহর)—-

—————————————————————————(অতি প্রয়োজনীয় মনে হল তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে এবং পরিচিত কিছু মানুষ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পোস্টটি দিচ্ছি। PDF আর Doc ফাইল কমেন্টে দিয়েছি। ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।)

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঠিকানাঃ বকশী বাজার)ফোনঃ +৮৮-০২-৮৬২৬৮১২-১৯, +৮৮-০২-৮৬২৬৮২৩, +৮৮-০২-৯৬৬৯৩৪০, +৮৮-০২-৯৫০৫০২৫-২৯, +৮৮-০২-৯৫০০১২১-৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (ঠিকানাঃ শাহবাগ)ফোন: +৮৮-০২-৯৬৬১০৫১-৫৬, +৮৮-০২-৯৬৬১০৫৮-৬০, +৮৮-০২-৮৬১৪৫৪৫-৪৯ +৮৮-০২-৮৬১২৫৫০-৫৪অ্যাম্বুলেন্স: ০১৯৩৮-০৮৯৭৮১ (বিল্লাল মিয়া), ৮১১৬০৬১-৬২, ৮১১৪৫৭১-৭২

ঢাকা শিশু হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শেরে বাংলা নগর, শ্যামলী)ফোনঃ +৮৮-০২-৮১১৬০৬১-৬২, +৮৮-০২-৮১১৪৫৭১-৭২

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শেরে বাংলা নগর)মোবাইল: +৮৮-০১৭৩০-৩৩৩৭৮৯

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (মহাখালী)ফোন: +৮৮- ০২- ৯৮৮০০৭৮, +৮৮-০২-৮১১১১৬৯

জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শেরেবাংলা নগর)ফোন: ৮৮- ০২- ৯১২২৫৬০

জাতীয় চক্ষুরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শেরেবাংলা নগর)ফোন: +৮৮-০২- ৯১১৮৩৩৬, +৮৮-০২-৮১১৪৮০৭

বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ মহাখালী)ফোনঃ +৮৮১৬২৬৮-৭২, ৯৮৯৯৪২২-৩

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শেরেবাংলানগর)৯১৩০৮০০, ৯১২২৫৬০-৭৮

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (পূর্ব নামঃ মিটফোর্ড হাসপাতাল) (ঠিকানাঃ মিটফোর্ড, পুরান ঢাকা)ফোনঃ ৭৩১৯০০২-৬, ৭৩১৯৯৩৫, ৭৩১০০৬১-৬৪

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) (ঠিকানাঃ শেরে বাংলানগর, শ্যামলী)ফোন: +৮৮-০২-৯১৪৪১৯০-৪, +৮৮-০২-৯১১২১৫০মোবাইল: +৮৮-০১৮৪১-২২২২২৪

গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ গ্রীন রোড)ফোন- ০২- ৯৬১২৩৪৫ এক্স- ১৩২৬মোবাইল- ০১৭১৬-৩২৯৯৬৪

গ্রীন ভিউ ক্লিনিক (ঠিকানাঃ গ্রীন রোড)ফোন : ৮৬১১০৩১৩

আদ-দ্বীন হাসপাতাল (ঠিকানাঃ মগবাজার)ফোনঃ ৮৩১৭৩০৮অ্যাম্বুলেন্স 01713488411 , 01713488412

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শাহবাগ)ফোন- ৮৮-০২-৯৬৭১১৪১-৪৩, ৮৮-০২-৯৬৭১১৪৫-৪৭

বারডেম হাসপাতাল (ঠিকানাঃ শাহবাগ)ফোনঃ +৮৮-০২-৮৬১১৬৬৪১-৫০, +৮৮-০২-৯৬৬১৫৫১-৬০

ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল (ঠিকানাঃ খামারবাড়ি, ফার্মগেট)ফোনঃ ৯১১৯৩১৫, ৮১১২৮৫৬

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল (ইস্কাটন, মগবাজার)ফোনঃ ৮৩১১৭২১-৫

কেয়ার হাসপাতাল (ঠিকানাঃ মোহাম্মদপুর)ফোন: ৯১৩২৫৪৮, ০৯১৩৪৪০৭মোবাইল: ০১৭৩৩৫৮৮৩৩৭

মনোয়ারা হাসপাতাল (ঠিকানাঃ সিদ্ধেশ্বরী)ফোন- ৮৩১৮১৩৫, ৮৩১৯৮০২ ও ৮৩১৮৫২৯মোবাইল- ০১৭১৫-৮৩৯৪০০

ট্রমা সেন্টার (ঠিকানাঃ মিরপুর রোড, শ্যামলী)ফোন: ০২- ৮১১৬৯৬৯, ৮১৩০৫০৮, ৯১১১০৩৮, ৯১৪৬৫১৪, ৯১৪৬৫৭৬, ৯১৪৬৫৮৯

স্কয়ার হাসপাতাল (ঠিকানাঃ পান্থপথ)টেলিফোন: +৮৮-০২-৮১২৯৩৩৪, ৮১৫৬৫২২, ৮১৫৭৮৫৩, ৮১৫৯৪৫৭-৬৪

অ্যাপোলো হাসপাতাল (ঠিকানাঃ বসুন্ধরা)ফোনঃ ৮৪০১৬৬১, ৮৪০১৬৮০, ৮৪০১৬০০

শমরিতা হাসপাতাল (ঠিকানাঃ পান্থপথ)টেলিফোন: ৯১৩১৯০১

ইউনাইটেড হাসপাতাল (ঠিকানাঃ গুলশান ২)ফোন:- ৮৮৩৬০০০, ৪৪৩৬৪৪৪, ০১৯১৪০০১৩১৩

আজিমপুর মাতৃসদন (ঠিকানাঃ আজিমপুর, নিউ মার্কেট)ফোনঃ ৮৬২৪৮২৭, ৮৬২৪৮২৮, ৮৬২৪৯৮০

সেন্ট্রাল হাসপাতাল (ঠিকানাঃ গ্রীন রোড, ধানমন্ডি)ফোন : ৯৬৬০০১৫- ১৯

ল্যাব এইড হাসপাতাল (ঠিকানাঃ ধানমন্ডি)ফোন : ৮৬১৭২০৮, ৯০০০২৬৮৩

ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (ঠিকানাঃ কল্যাণপুর)ফোন ৯০১০৩৯৬, ৯০০৫৫৯৫, ৯০০৫৬১৭।

পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঠিকানাঃ ধানমন্ডি)ফোনঃ ০২-৯৬৬৩৩০১

ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল (ঠিকানাঃ কাকরাইল)ফোনঃ ৯৩৫৫৮০১-২, ৯৩৫৫৯৩৭-৮

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (ঠিকানাঃ মিরপুর)ফোন – ৮০৬১৩১৪-৬, ৮০৫৩৯৩৫-৬।

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) (ঠিকানাঃ (ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বানানীর কাছে)ফোনঃ ৮১১৪৬৬৬-৭৫, ৮৮২২৭৭৯, ৯৮৭০০১১

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঠিকানাঃ ধানমন্ডি)ফোন : ৯১১৮২০২

রক্তদান নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তরঃ-

Image

1. এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে রক্ত-দান করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- শেষবার সেবনের কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর করা যাবে।

2. সর্দি-জ্বর অথবা কোন ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত অবস্থায় রক্ত-দান করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- জ্বর-সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে ৭ দিন পর দেয়া যাবে

3. কোন প্রকার টিকা গ্রহণ করলে কতদিন পরে রক্ত-দান করা যাবে?
উত্তরঃ- 2৮ দিন

4. যক্ষ্মার হলে পূর্ণমাত্রার ওষুধ সেবনের কতদিন পর রক্ত-দান করা যাবে?
উত্তরঃ- ২ বছর

5. হেপাটাইটিস এ/হেপাটাইটিস-ই সুস্থ হওয়ার কত মাস পর রক্ত-দান করা যাবে?
উত্তরঃ- ৬ মাস

6. হেপাটাইটিস বি, সি আক্রান্তরা রক্ত-দান করতে পারবে ?
উত্তরঃ- কখনই রক্ত-দান করতে পারবেনা।

7. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া অবস্থায়ও রক্ত-দান করা যায় কিনা ?
উত্তরঃ- রক্ত-দান করা যাবে।

8. গর্ভাবস্থায় রক্ত দেয়া যাবে কিনা?
উত্তরঃ- না

9. মেয়েলি সমস্যা চলাকালিন রক্ত দেয়া যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- না

10. ক্যানসার, হৃদরোগ, বাতজ্বর, সিফিলিস(যৌন রোগ., কুষ্ঠ বা শ্বেতী রোগীরা রক্ত-দান করতে পারবে কিনা ?
উত্তরঃ- কখনও রক্ত-দান করতে পারবে না

11. কোন কারনে রক্ত-গ্রহণ করলে, কত দিন পর রক্ত-দান করতে পারবে ?
উত্তরঃ- ১ বছর

12. হাঁপানি রোগির ইনহেলার ও নিয়মিত ঔষধ সেবন করলে রক্ত-দান করা যাবে কিনা ?
উত্তরঃ- না

13. রক্তদানের কতদিন পর আবার রক্তদান করা যাবে ?
উত্তরঃ- পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর-অন্তর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর অন্তর।

প্রাণের টানে রক্তদান

Image

ভালোবেসে মানুষের জন্য যতগুলো কাজ করা যায় তার মধ্যে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান। দিন দিন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বাড়ছে।

রক্তদানের যোগ্যতা

এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনূস বলেন, “যাদের ওজন অন্তত ৪৫ কেজি, বয়স নুন্যতম ১৮, তারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারেন। প্রতি ৪ মাস অন্তর রক্ত দেওয়া যায়। এতে শরীরের ক্ষতি হয় না। তবে রক্ত দেওয়ার আগে চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা করে নিশ্চিত হবেন রক্ত নেওয়া যাবে কি না।”

উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ জানার উপায়

ধরা যাক একজন মানুষের ওজন ৫০ কেজি। তার শরীরে কতটুকু উদ্বৃত্ত রক্ত আছে তা বের করা খুবই সহজ।

একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রতি কেজিতে সাধারণত ৭৬ মি.লি. রক্ত থাকে। এর মধ্যে শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজন হয় ৫০ মি.লি.। অবশিষ্ট ২৬ মি.লি. থাকে উদ্বৃত্ত হিসেবে। শরীরের কোথাও কেটে রক্ত বের হলে তা উদ্বৃত্ত থেকে পূরণ হয়।

তাহলে একজন ব্যক্তির ওজন ৫০ কেজি হলে তার শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ (২৬x৫০)= ১৩০০ মি.লি.।

চাইলে এ উদ্বৃত্ত থেকে কাউকে রক্তদান করে জীবন বাঁচাতে পারেন। একজন মানুষের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয় ৪০০-৪৫০ মি.লি.।

যাদের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে

* মাতৃত্বকালীন সময়ে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।

* থেলাসেমিয়া আক্রান্ত রোগিদের প্রতিমাসে রক্ত দিতে হয়।

* কিডনী জটিলতায় ভুগছে এ ধরনের রোগীদের ডায়ালিসিস করতে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।

* ক্যান্সার আক্রান্তদের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।

* শরীরে অস্ত্রোপচারের সময় রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।

স্বেচ্ছায় রক্তদাতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদান নিয়ে কাজ করে আসছে এরকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও কার্যক্রম 

সন্ধানী ব্লাড ব্যাংক

১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম শুরু করে সন্ধানী। দেশের প্রায় সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে সন্ধানীর রক্তদান কার্যক্রম চালু রয়েছে।

যোগাযোগ : সন্ধানী বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ইউনিট। রোড ১৪/এ, বাড়ি ৩৪, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা। ফোন: ০২-৯১২৪৬১৯। মোবাইল: ০১৫২৩৭১৫৩১। ওয়েবসাইট : www.sandhani.org

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

১৯৮১ সালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করে। ঢাকা শহরের বাইরে ৫টি জেলা শহরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শাখা রয়েছে। শাখাগুলো হচ্ছে ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, দিনাজপুর ও যশোর। বিভিন্ন সময় ক্যাম্পের মাধ্যমে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রক্ত সংগ্রহ করে থাকে। কেবলমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে তা গ্রহীতার হাতে দেওয়া হয়।

যোগাযোগ : ৭/৫, আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা – ১২০৭। ফোন: ০২-৮১২১৪৯৭, ০২-৯১১৬৫৬৩। ৬৮৪-৬৮৬ বড় মগবাজার ঢাকা, বাংলাদেশ জাতীয় সদরদপ্তর। ফোন- +880-2-9116563, +880181-1458524। ওয়েব সাইট: www.bdrcs.org 

বাঁধন ব্লাড ব্যাংক

১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বাঁধন ব্লাড ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে। বাঁধনের রক্তদাতারা প্রায় সবাই শিক্ষার্থী। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে বাঁধন কাজ করে যাচ্ছে।

যোগাযোগ : বাঁধন, টি.এস.সি (নিচতলা), (জোনাল অফিস), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফোন- ০২-৮৬২৯০৪২ (সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত)। ওয়েবসাইট www.badhan.org

শাখা : দেশের প্রায় সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বাঁধনের শাখা রয়েছে। বাঁধনে প্রক্রিয়াকৃত কোনো রক্ত পাওয়া যায় না। ডোনার সরাসরি রোগিকে রক্ত দিয়ে থাকেন। 

খোলা-বন্ধের সময়সূচী : বাঁধনের অফিস সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টায় পর্যন্ত খোলা থাকে। জরুরি প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন। 

কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কেন্দ্র

বাংলাদেশের রক্তদান সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পথ ধরেই কোয়ান্টাম স্বেচ্ছায় রক্তদান কেন্দ্র ১৯৯৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সেবামূলক কার্যক্রমের একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম।
যোগাযোগ : কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের শাখা বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই রয়েছে। তবে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছায় রক্তদান প্রধান অফিস শান্তিনগর এলাকায়। যেটি ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাশেই অবস্থিত।

৩১/ভি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সড়ক, (পুরাতন শান্তিনগর), ঢাকা – ১২১৭। (ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পূর্ব পাশে)। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৩৫১৯৬৯। মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪০১০৮৬৯। ওয়েব সাইট:www.quantammethod.org.bd

সুবিধাসমূহ : এখানে প্রক্রিয়াকৃত প্রায় সব ধরনের রক্ত পাওয়া যায়। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত রক্তের ৫টি টেস্ট করা হয়। এগুলো হচ্ছে— ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস বি/সি, সিফিলিস, গনোরিয়া এবং এইডস।

থেলাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। অন্তত ৫০০ রোগিকে প্রতিমাসে নিয়মিত কোনো প্রসেসিং খরচ ছাড়াই রক্ত দিয়ে থাকে কোয়ান্টাম।

এছাড়া আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের বিনামূল্যে রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে ডোনারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্তের ব্যবস্থা করা হয়।

রক্তদাতাদের রক্তের ৫টি টেস্টের রিপোর্ট বিনামূল্যে দেওয়া হয়। রক্তে এইডস, ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস বি/সি, সিফিলিস ও গনোরিয়া রোগের জীবাণু পাওয়া গেলে সঙ্গেসঙ্গে তা নষ্ট করে ফেলা হয়। আর তা রক্তদাতাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।

রক্তসংগ্রহ প্রক্রিয়া : ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে নিয়মিত বিভিন্ন স্থানে ব্লাড ক্যাম্পের আয়োজন করে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, ক্লাব, সমবায় সমিতি, গ্রুপ অফ কোম্পানিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ব্লাড ক্যাম্পের আয়োজন করে থাকে। মাসে গড় সংগ্রহ ৭ হাজার ইউনিট। 

পুলিশ ব্লাড ব্যাংক

রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত। ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ ছাড়াও যে কোনো ব্যক্তি এই ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নিতে পারেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের বিনাখরচে রক্ত দেওয়া হয়।

সুবিধাসমূহ : এখানে প্রক্রিয়াকৃত প্রায় সব ধরনের রক্ত পাওয়া যায়। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত রক্তের ৫টি টেস্ট করা হয়। এগুলো হচ্ছে- ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস বি/সি, সিফিলিস, গনোরিয়া এবং এইডস। এছাড়া আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের বিনামূল্যে রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে ডোনারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্তের ব্যবস্থা করা হয়।

যোগাযোগ : কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, ঢাকা। ফোন: ৯৩৬২৫৭৩। মোবাইল ০১৭১৩-৩৯৮৩৮৬। ডিএমপি ২৪২৫। ওয়েবসাইট: www.policebloodbank.gov.bd

লায়ন্স ব্লাড ব্যাংক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ও আশপাশের কারও রক্তের প্রয়োজন মেটাতে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করে। এখান থেকে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে রক্ত দেওয়া হয়। তবে যারা ক্রসমেচিং ও প্রসেসিং খরচ দিতে সক্ষম তাদের কাছ থেকে খরচ নেওয়া হয়।

যোগাযোগ : চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন(সিএলএফ)। জাকির হোসেন রোড, নাসিরাবাদ

লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম। ফোন: ০১৫৫৪৩১৬০৯৫।

খোলা-বন্ধের সময়সূচী : সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

রক্তদান করার ইচ্ছা থাকলেও তথ্যের অভাবে অনেকে রক্ত দিতে পারেন না। যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত ঠিকানায়। এছাড়া ১লা বৈশাখ, একুশে বইমেলা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন সময় এসব প্রতিষ্ঠান মাসব্যাপী ব্লাড ক্যাম্পের আয়োজন করে থাকে।

মনে রাখুন

* জরুরি রক্তের প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসক/মেডিকেল অফিসার স্বাক্ষরিত রিকুইজিশন পেপার সঙ্গে আনুন।

* রক্তদাতা হলে ডোনারকার্ড যত্ন করে রাখুন।

* স্ক্রিনিং ছাড়া রক্ত দেবেন না, রক্ত নেবেন না। এমনকি প্রিয়জনের রক্ত হলেও না।

* মাদকাশক্ত বা সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত নেবেন না। কারণ এ রক্তে থাকতে পারে প্রাণঘাতি ব্যাধি হেপাটাইটিস বি বা সি, এইডসসহ নানান প্রকার সংক্রামক ব্যাধি।

* প্রতিবার রক্তদানের পরবর্তী কয়েকদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

বাঘ সমাবেশ/Tiger Procession

Image
পরিবেশ ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের কারনে দেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র আজ হুমকির মুখে। প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুণ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে সুন্দরবন ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব বিষয়ক একটি গবেষণা করা হয়েছে। এই গবেষণায় পরিবেশগত প্রভাবের দিকগুলো ৩৪ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণ করে এই প্রভাব কতটা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক হবে সেটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। এই ৩৪ টি ক্যাটাগরির ২৭ টিতেই পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। ৭ টি ইতিবাচক প্রভাবের মধ্যে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নই একমাত্র বাস্তবিক ইতিবাচক পরিবর্তন। বাকি ৬ টিকে ইতিবাচক হিসেবে বলা হলেও সুন্দরবন ধ্বংসে সে প্রভাবগুলো ‘টনিকে’র মত কাজ করবে। ইতিবাচক পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে রামপাল ও তদঃসংশ্লিষ্ট এলাকায় নগরায়ন, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসার প্রসার, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও হাট বাজার সৃষ্টি। কিন্তু বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যাংগ্রোভ বনকে ঘিরে যদি শিল্পের প্রসার হয় কিংবা জনবসতি গড়ে ওঠে তবে সে বন আর কতদিন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে তা ভেবে দেখবার বিষয়।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনার এমনি সব দূর্বল প্রস্তুতি, উন্নয়নের টোপ আর যেনতেনভাবে প্রকল্পটি করে ফেলার তোড়জোড় দেখে বলাই যায় যে রামপাল প্রকল্প সুন্দরবনের জন্য ক্যান্সার বয়ে নিয়ে আসছে। পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জ্বালানী বাহিত দূষণে মাটি-পানি-বায়ু ব্যধিগ্রস্ত হয়ে অচিরেই মৃত্যু ঘটবে সুন্দরবনের। বাস্তুসংস্থানের সামান্য পরিবর্তন ছড়িয়ে পড়বে বিরাট আকারে। আমরা হারাব জলের কুমির আর ডাঙ্গার বাঘ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে শিল্পায়ন, নগরায়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের যে মূলা আমাদের সামনে ঝুলানো হয়েছে তার মাধ্যমে উজার হতে থাকবে সুন্দরবন। রামপাল প্রকল্প সুন্দরবনের দূর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে এর অনতিক্রম্যতাকে অতিক্রম করবে। ধীরে ধীরে সুন্দরবন আশ্রয় নিবে ছবির ফ্রেম আর বইয়ের পাতায়।

প্রাচীন এক প্রবাদে আছে- যখন পৃথিবীতে আমরা শেষ গাছটি কেটে ফেলব, শেষ মাছটি খেয়ে ফেলব, শেষ ঝর্ণাধারাটিকে দূষিত করে ফেলব কেবল তখনই আমরা বুঝব যে টাকা চিবিয়ে বাচা যায় না। আমরা নিশ্চিতভাবে সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। তা’নাহলে বিকল্প ব্যবস্থা, বিকল্প জায়গা, বিকল্প সমাধান থাকার পরও কেন আমরা সুন্দরবনের অস্তিত্বি বিপন্নকারী রামপাল প্রকল্প করতে যাচ্ছি! 

সুন্দরবনে প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছে তিনটি করে বাঘ 

প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্যাভাব, বয়সজনিত কারণ এবং চোরা শিকারিদের হাতে গড়ে তিনটি করে বাঘ মারা যাচ্ছে সুন্দরবনে। মাত্রাতিরিক্ত লবণপানি পানে নেক্সাসিস ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে বাঘ। চিকিৎসার অভাবে অনেক বাঘ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। গাছপালা কমে যাওয়ায় আবাসস্থল সঙ্কট ও খাদ্যাভাবের কারণে লোকালয়ে বাঘের অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকালয়ে ঢুকে বাঘের হাতে মানুষসহ গরু, ছাগল ও গবাদিপশু হামলার শিকার হচ্ছে। মানুষও ক্ষুব্ধ হয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে বা গুলি করে বাঘ হত্যা করছে।

প্রতিনিয়তই চোরা শিকারিরা ফাঁদ পেতে ও বিষপ্রয়োগ করে বাঘ হত্যা করছে। বাঘের চামড়া, হাড়, চোখসহ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়ায় এ কাজের জন্য গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট।

বন বিভাগের তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০৮ সালে ১টি, ২০০৯ সালে ১টি, ২০১০ সালে ২টি, ২০১১ সালে ১টি এবং ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ১টি বাঘ মারা গেছে। বাঘের হামলায় ২০০৮ সালে ১৮ জন নিহত ও ৩ জন আহত, ২০০৯ সালে ২৯ জন নিহত ও ২ জন আহত, ২০১০ সালে ৩৩ জন নিহত ও ৮ জন আহত, ২০১১ সালে ২৭ জন নিহত ও ১১ জন আহত এবং ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে।

২০০৯ সালে গণপিটুনিতে ১টি বাঘ এবং ২০১১ সালে অবৈধ চোরা শিকারিদের হাতে ৪টি বাঘ মারা গেছে। এছাড়া বাঘের হামলায় ২০০৮ সালে ৩ জন, ২০০৯ সালে ১ জন, ২০১০ সালে ৯ জন ও ২০১১ সালে ৪ জন নিহত হয়েছেন। চলতি ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ২ জন আহত হয়েছেন।

বন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ সাল থেকে চলতি ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১১টি বাঘ বয়সজনিত কারণে, চোরা শিকারিদের হাতে কিংবা লোকালয়ে প্রবেশের পর গণপিটুনিতে মারা গেছে। একই সময় বাঘের হামলায় ১৪০ জন জেলে, বাওয়ালী, মৌয়াল মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৩২ জন।

বাঘ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে! স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা, লোকালয়ে চলে আসা বাঘকে ট্রাংকুলাইজ করে বনে ফেরত পাঠানো সহ নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে সবার!

বাঘ আমাদের অমূল্য সম্পদ… আসুন বাঘ রক্ষায় সচেতন হই!
সুন্দরবন সৃষ্টির কোন দিন ক্ষণ নেই। হাজার বছরের সাক্ষী বিস্ময়কর এ বনের বর্ণনা আমরা পাই চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং’র দিনলিপিতে। এ বনের কথা উঠে এসেছে রামায়ন, মহাভারত আর পুরাণাতে। বাংলার বারো ভূইয়ার সাথে আকবরের দ্বন্দ্বের কারণ হিসেবেও এ বন রয়েছে বলে জানা যায়। পৃথিবীখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, নোনা জলভূমির সুন্দরী আর জোয়ার-ভাটা বিধৌত রহস্যময় এই বন চিরকালই থেকেছে অজেয়। সুন্দরবন আমাদের সকল দুর্যোগ দুর্বিপাক থেকে রক্ষা পাবার একমাত্র রক্ষাকবচ। সুন্দরনের কারণেই আমরা রক্ষা পেয়েছি আইলা-সিডরের উন্মত্ততা থেকে। এ বন নিজের বুক চিতিয়ে রক্ষা করেছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ। 
আসুন আজ আমার সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর বনকে রক্ষা করি। রক্ষা করি বাঘ এর আশ্রয়স্থল।

জামিন কি ?যে সকল বিষয় বিবেচনা জামিন দেয়া হয়:

Image

বেশ কয়েক মাস ধরে সারা দেশে চলছে গনহারে গ্রেফতার অভিযান । কারণে-অকারণে , অপরাধে-বিনাঅপরাধে নানানভাবে এই গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন হাজার হাজার নানান বয়সের ব্যক্তি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে পুলিশ তথা যৌথ বাহিনী সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছেন। তাদের নিকটআত্নীয় স্বজনরা দৌড়েচ্ছেন থানা পুলিশ থেকে শুরু করে আদালতে। পাশাপাশি প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিস্টান তথা উপরিমহলে যোগাযোগ । উদ্দেশ্য বেকসুর খালাস বা মুক্তি অথবা জামিন । কিন্তু তা চাইলেই এখন পাওয়া যাচ্ছে না । দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীলতায় পৌঁছানোর আগে কাউকে মুক্তি দিবে না ,এমনই মনে করেন অনেকেই । যাহোক মূল আলোচনায় আসা যাক;
জামিন কি ?
সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে আটকের পর আদালত তার আইন ও সুবিবেচনামূলক এখতিয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে আটক কোন ব্যক্তিকে আদালতের আদেশমতো নির্দিষ্ট স্থানে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে সাময়িক মুক্তির ব্যবস্থা করাকে আইনের চোখে ‘জামিন’ বলা হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, সংশ্লিষ্ট আদালতে সময়মত হাজির হওয়ার শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে আইনগত হেফাজত থেকে মুক্তি প্রদান করে জামিনদারের নিকট সম্পর্ন
করাকে জামিন বলে। মামলার যেকোন
পর্যায়ে জামিন মঞ্জুর করা যায়। উল্লেখ্য, ফৌজদারি কার্যবিধিতে জামিনের কোন সংজ্ঞা প্রদান করা হয়নি।
আদালত জামিন মন্জুরে তার আইন ও সুবিবেচনামূলক এখতিয়ার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনায় নেন সাধারণত:
√ আসামী পুরুষ, মহিলা, শিশু ও বয়স্ক কিনা।
√ আসামিকে জামিন দিলে মামলার
তদন্তে বিঘ্ন বা মামলা পরিচালনায় অন্য কোন সমস্যা হবে কিনা?
√আসামী রোগাক্রান্ত অথবা জখম
প্রাপ্ত কিনা।
√ জামিন পেলে আসামী সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে কিনা?
√ জামিন দিলে আসামী পলাতক
হবে কিনা?
√ জামিন না পেলে আসামীর
পক্ষে মামলা পরিচালনা করা কঠিন
হয়ে পরবে কিনা?
√আনীত অভিযোগ ঘৃন্য বা জঘন্য
কিনা?
√ দুর্ধর্ষ বা অভ্যাস গত অপরাধী হিসেবে আসামীর দুর্নাম
আছে কিনা?
√ আসামীন বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যুক্তিসংগত মনে হয় কিনা?
√ আসামী হাজতে থাকলে তার
পরিবার অনাহারে থাকবে কিনা?
√ আসামীর নাম এজহারে আছে কিনা?
√ আসামী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায়
স্বীকারোকতিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কিনা?
√ আসামী পুলিশ কতৃক ধৃত
হয়ে ,নাকি স্বেচ্চায় আত্মসমর্পন
করেছে ?
√ আসামী হাতেনাতে ধৃত কিনা, আসামির নিকট হতে কৌন অবৈধ মালামাল উদ্ধার করেছে কিনা?
√ আসামীর হাজত বাস দীর্ঘ সময় ধরে কিনা?
√ মামলাটি পক্ষদ্বয়ের মধে কোন
পূর্ব শত্রুতার জের কিনা বা পাল্টাপাল্টি মামলা কিনা?
√ জামিন শুনানিতে পক্ষদ্বয় বিজ্ঞ
কৌশলীর উত্থাপিত যুক্তিতর্ক ।
প্রভৃতি ॥
ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে আসামী মুক্তি পেতে পারে;
(ক),জামিন যোগ্য অপরাধঃ
ধারা ৪৯৬। জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত অপর কোন ব্যক্তি কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হলে বা আটক থাকলে, বা আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে, সে যদি উক্ত অফিসারের
হেফাজতে থাকার সময় বা উক্ত আদালতের কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে জামানত দিতে প্রস্তুত
থাকে তা হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেয় তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অফিসার বা আদালত উপযুক্ত মনে করলে তার নিকট হতে জামানত গ্রহণের পরিবর্তে সে অতঃপর
বর্ণিতভাবে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন করলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন।
তবে আরও শর্ত থাকে যে, এই ধারার
কোন বিধান ১০৭ ধারার (৪) উপধারা বা ১১৭ ধারার (৩) উপধারার কোন বিধানকে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য হবে না।

(খ),জামিন-অযোগ্য অপরাধঃ
ধারা ৪৯৭।যখন জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যাবেঃ
(১) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হলে বা আটক
থাকলে অথবা আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া কিন্তু সে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন
কারাদন্ডে দন্ডনীয় কোন অপরাধে দোষী বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে উক্তরূপে দেওয়া যাবে নাঃ তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এইরূপ অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি ষোল বৎসরের কম বয়স্ক বা স্ত্রীলোক বা পীড়িত বা অক্ষম হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।
(২) ক্ষেত্রমতে তদন্ত, ইনকোয়ারী বা বিচারের কোন পর্যায়ে উক্ত অফিসার বা আদলতের
নিকট যদি প্রতিয়মান হয় যে, আসামী জামিনের অযোগ্য কোন অপরাধ করেছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই, কিন্তু তার অপরাধ-সম্পর্কে আরও ইনকোয়ারির
পর্যাপ্ত হেতু রহয়েছে, তাহলে এইরূপ ইনকোয়ারী সাপেক্ষে আসামীকে জামি
অথবা উক্ত অফিসার বা আদলত
বা আদালতের ইচ্ছানুযাসারে সে অতঃপর
বর্ণিতভাবে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন করলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন। (৩) কোন অফিসার বা আদালত (১) উপধারা বা (২) উপধারা অনুসারে কোনব্যক্তিকে মুক্তি দিলে তার ঐরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
(৪) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার সমাপ্ত হবার পর এবং রায় দানের পূর্বে কোন সময় আদালত যদি মনে করেন যে, আসামী উক্ত অপরাধে দোষী নয় বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে,
তা হলে আসামী হাজতে থাকলে রায় শ্রবণের উদ্দেশ্যে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত
মুচলেকা সম্পাদনের পর তাকে মুক্তি দিবেন।
(৫) হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালত
এবং নিজে মুক্তি দিয়ে থাকলে অন্য
কোন আদালত এই ধারা অনুসারে মুক্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে ও
তাকে হাজতে প্রেরণ করতে পারবেন।

*** আপনি আমি সবাই জানি দেশে আইন আদালতে কি হচ্ছে । সে হিসেবে একটি বেআইনি পরামর্শ দিচ্ছি ! আর সেটা হল, যদি আপনার আপনজন কাউকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তাহলে যেকোনো প্রকারে পুলিশ কিংবা থানা থেকে ছাড়িয়ে নিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায় । অর্থাৎ আদালত হাজির হওয়ার আগে কোনভাবে লবি্, ওপরি মহলের ফোন কল, প্রভাব অথবা টাকা পয়সা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করা । কারণ আদালত মানেই লম্বা এক আইনি প্রক্রিয়া !

কখন একটি হত্যাকান্ড অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না

garments_lawযদি কখনো কোন মানুষ অন্য কোন মানুষকে হত্যা করে তবে অবশ্যই তা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। শুধুমাত্র অপরাধই নয় এটি একটি গুরতর অপরাধ। এই ধরনের অপরাধকে আইন কখনো প্রশ্রয় দেয় না। এই ধরনের অপরাধের জন্য বাংলাদেশের আইনে শাস্তির বর্ণনা আছে এবং ঐ ব্যাক্তি (অপরাধী) প্রমানসাপেক্ষে অবশ্যই তার কৃতকর্মের ফল পাবে (আইনের মাধ্যমে)। তবে শুধু এইরুপ গুরতর কোন অপরাধ নয়, আইন কোন ধরনের কোন অপরাধকেই প্রশ্রয় দেয় না। একজন অপরাধী সে ছোট বড় যেধরনেরই অপরাধ করুক না কেন আইনে যে ধরনের শাস্তির কথা বলা আছে সেই শাস্তিই সে পাবে।

কারন আইন আমাদের কখনই কোন অপরাধ করতে অনুমতি দেয় না বরং আইনে বর্ণিত শাস্তির ভয় দেখিয়ে আমাদের নিরুতসাহিত করে। কিন্তু এমন কি অপরাধ আছে যা আইন আমাদের করতে বাধা দেয় না বা কখন কোন অপরাধও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হবে না বা কখন কেউ কোন অপরাধ করলেও তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

হ্যা, এইরুপ অপরাধও আছে যা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না এমন যদি হত্যাকান্ড পর্যন্তও ঘটে। কারন ব্যাক্তিগত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যদি কোন অপরাধমূলক কাজও করা হয় তবে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। PLD 1970 Pesh. 6(DB) কেসের রায় অনুযায়ী, কোন ব্যক্তির উপর যে আঘাত করা হবে তা মৃত্যু ঘটাতে পারে অথবা গুরতর আঘাত ঘটাতে পারে বলে যুক্তিসঙ্গত ভয় থাকলে উক্ত ব্যক্তির আত্মরক্ষা করিবার অধিকার মৃত্যু ঘটানো পর্যন্ত বর্ধিত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৯৬ ধারা অনুসারে, ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোন কিছুই করতে পারবে (পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যতটুকু করা প্রয়োজন) এবং তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কখনো ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে যেয়ে কোন অপরাধমূলক কোন কাজ হয়ে গেলে ঐ ব্যক্তিকেই (যিনি প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করেছেন) প্রমাণ করতে হবে যে তিনি উক্ত অপরাধটি ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা করতে করেছেন। (Sarwar kamaland others Vs. State; 48 DLR 61).

আইন মানুষকে আত্মরক্ষার অধিকার দিয়েছে কারন আত্মরক্ষা হল মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। অন্যদিকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরপত্তার দায়িত্ব সরকারের থাকলেও একটি দেশের পক্ষে তার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিরক্ষার ব্যাবস্থা করা সম্ভব হয় না বিধায় আইন সবাইকে তাদের নিজ নিজ প্রতিরক্ষার অধিকার দিয়েছে।

কোন ব্যক্তি যখন অপর ব্যক্তির দেহের উপর বা সম্পত্তির উপর আক্রমন চালায় তখন আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হতে পারে। আইন তাকে দুর্বল, ভীত ও নিরীহের মত আক্রমনের সময় সবকিছু মানিয়ে নিতে আদেশ দেয় না। আইন তাকে নির্দেশ দেয় যে, আক্রমনকারীকে রুখিবার জন্য সে সব কিছু করতে পারে। আক্রমন ঠেকাবার জন্য প্রতিআক্রমন করার অধিকারও তার আছে। (AIR 1953 Allahabad 338).

নিজের দেহ ও সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষার অধিকার প্রত্যেকটি সভ্য, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমাজেই স্বীকৃত। তবে এই অধিকার একেবারেই অবাধ ও অসীম নয়। প্রতিরক্ষার অধিকারেরও একটা সীমা আছে। এর বাহিরে গিয়ে কেউ প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে কোন অপরাধ করলে তা অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে । এক্ষেত্রে সে প্রতিরক্ষা অধিকারের সুবিধা পাবে না এবং তাকে শাস্তির সম্মুক্ষীন হতে হবে।

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা পর্যন্ত মানুষের প্রতিরক্ষার অধিকারের কথা বর্ণনা করা আছে। ধারা ৯৬ সম্পর্কে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এবার পরবর্তী ধারা গুলোতে কি বলা আছে তা জানা যাক।

দন্ডবিধির ৯৭ ধারায় বলা আছে যে ৯৯ ধারায় বর্ণিত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক ব্যক্তির-

প্রথমত, মানুষের দেহে আঘাতকারী যেকোন অপরাধের বিরুদ্ধে তার স্বীয় দেহ ও অন্যের দেহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরক্ষার অধিকার থাকবে।

দ্বিতীয়ত, চুরি, দস্যুতা, অনিষ্ট বা অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের উদ্যোগের বিরুদ্ধে নিজের ও অন্যের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি প্রতিরক্ষার অধিকার থাকবে।

শুধু আইনেই নয় ইসলাম ধর্মেও প্রতিরক্ষার কথা বলা আছে। আল-কোরআনে বলা আছে, নিজেকে রক্ষা কর ও পরিজনকে রক্ষা কর।

তবে এই প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করারও একটা নির্দ্দষ্ট সীমা আছে। দন্ডবিধির ধারা ৯৯ অনুসারে-

সরকারী কর্মচারীগণ সরকারী কর্মচারীরূপে আইন বহির্ভুত যে কাজ করেন তা যদি মৃত্যু বা গুরতর আঘাতের আশঙ্কা সৃস্টি না করে তবে সেই কাজের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকে না।
সরকারী কর্মচারীর হুকুমে যদি কোন আইন বহির্ভূত কাজ সম্পন্ন হয় এবং তা কোন মৃত্যু বা গুরুতর জখমের আশংকা সৃষ্টি না করে, তবে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকে না।
সরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয় নেয়ার মত যথেষ্ট সময় থাকলে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকে না।
ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যতটুকু আঘাত বা ক্ষতি করা প্রয়োজন তার বেশি করা যাবে না (বেশি করা অবৈধ)।
সরকারী কর্মচারীর কাজের বা তার নির্দেশ বলে অন্যের কৃত কোন কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অধিকার ততক্ষন পর্যন্ত থাকে যতক্ষন পর্যন্ত প্রতিরক্ষার দাবিদার ব্যক্তি ঐ সরকারী কর্মচারী বা তার নির্দেশ বলে কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির পরিচয় না জানতে পারেন। (তবে সরকারী কর্মচারী বা তার নির্দেশে কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তি জেনেও ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গেলে তা অবৈধ হবে)
সাধারণত, সরকারী কর্মচারীর কৃত কোন কাজের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার পাওয়া না গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অধিকার পাওয়া যায়। যেমন, ‘AIR 1969, Rajshatan 121’ মামলার রায় অনুসারে, সরকারী কর্মচারী সদবিশ্বাসে কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অধিকার পাওয়া যায় না। সদবিশ্বাস বলতে যথাযথ মনোযোগ এবং সতর্কতাকে বুঝায়। সরকারী কর্মচারী যদি সতর্ক এবং সাবধান হন তবে ধরে নিতে হয় যে, তিনি তার অধিকারের সীমা জানেন। তবে সীমা অতিক্রম করলে তার কাজকে সাধারণভাবে সদবিশ্বাসে প্রণোদিত বলা যায় না এবং এক্ষেত্রে কোন সরকারী কর্মচারীর কৃত কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায়।

একজন ব্যক্তি তার প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে যেয়ে যদি ৯৯ ধারার বিধিনিষেধ সাপেক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটান তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। কারন জীবন রক্ষার প্রয়োজনে অন্যের জীবন নাশ করাও বৈধ (AIR 1959, punjab 332)। মানুষের দেহের উপর আক্রমণ হলে নিম্নবর্ণিত ৬টি ক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে হত্যা করাও বৈধ। ক্ষেত্র ৬টি হল-

দেহের উপর আক্রমণ যদি এমন প্রকৃতির হয় যে, আক্রান্ত ব্যক্তি উপলব্ধি করে যে তার মৃত্যু সন্নিকটবর্তী।
এমন কোন আক্রমণ যা আক্রান্ত ব্যক্তির মনে আশংকার সৃষ্টি করে যে তিনি গুরতর আঘাত পাবেন।
ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ।
অপ্রাকৃতিক কামলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ।
নারী হরণ বা শিশু হরণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ।
অবৈধভাবে আটক করে রাখার উদ্দেশ্যে আক্রমণ যেখানে কোন সরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়।
তবে, কোন আক্রমণ যদি উপরোক্ত ৬ ধরনের না হয় তাহলে আক্রমণকারীর কোনভাবেই মৃত্যু ঘটানো যাবে না। যদি কোন আক্রমণ উপরোক্ত ৬ ধরণের না হয় এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে যেয়ে আক্রমণকারীর মৃত্যু ঘটে তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

শুধুমাত্র দেহের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রেই প্রতিরক্ষার অধিকারের বিষয়টি আসে না সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রতিরক্ষার অধিকার আছে। নিজের বা অন্যের সম্পত্তি রক্ষা করতে যেয়েও যদি কারোও (সম্পত্তির উপর আক্রমণকারীর) মৃত্যু ঘটে তবে তা বৈধ হবে (অপরাধ হবে না)। তবে সেক্ষেত্রে সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য করা অপরাধগুলো অবশ্যই নিম্নোক্ত ধরনের হতে হবে-

দস্যুতা,
রাতের বেলা অপথে গৃহে প্রবেশ,
বাসগৃহ বা সম্পত্তি সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন ইমারত, তাবু বা জাহাজে অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে ক্ষতিসাধন,
রাতের বেলায় গৃহে বা সম্পত্তি সংরক্ষনের স্থানে চুরি, ক্ষতি বা অনধিকার প্রবেশ যা যুক্তিসংগতভাবে এইরুপ ভয়ের সৃষ্টি করে যে ঐ ব্যক্তি (গৃহ বা সম্পত্তি সংরক্ষনের স্থান যার) প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ না করলে তার মৃত্যু বা গুরতর জখম হবার সম্ভাবনা আছে।
তবে, যদি উপরোক্ত কাজগুলোর সময় মৃত্যু বা গুরতর জখম হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি না হয় তবে আক্রমণকারীকে হত্যা করা যাবে না। এইসব ক্ষেত্রে হত্যা ব্যতীত অন্য যেকোন ক্ষতি সাধন করা যেতে পারে (ধারা ১০৪)। চুরি, দস্যুতা, অনধিকার গৃহপ্রবেশ বা উপরে বর্ণিত যেকোন অপরাধের সময় যদি আক্রমণকারী হত্যা বা জখমের আতঙ্ক সৃষ্টি না করে তবে আক্রমণকারীকে হত্যা করা যাবে না, আঘাত করা যায় মাত্র।

অতএব, আমরা বলতে পারি যে, দেহের বা সম্পত্তির প্রতিরক্ষার জন্য কোন একজন মানুষের (অপরাধী) জীবন নেয়াও বৈধ। অর্থ্যাত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে বর্ণিত বিধিনিষেধ ও সীমা সাপেক্ষে আইন কারোও মৃত্যু ঘটানোর অনুমতি দেয়। তবে দেহের ও সম্পত্তির বিরুদ্ধে (উপর) করা অপরাধগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ দন্ডবিধির ধারা ১০০ ও ১০৩ অনুযায়ী হতে হবে।

 

কখন একটি হত্যাকান্ড অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না

garments_lawযদি কখনো কোন মানুষ অন্য কোন মানুষকে হত্যা করে তবে অবশ্যই তা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। শুধুমাত্র অপরাধই নয় এটি একটি গুরতর অপরাধ। এই ধরনের অপরাধকে আইন কখনো প্রশ্রয় দেয় না। এই ধরনের অপরাধের জন্য বাংলাদেশের আইনে শাস্তির বর্ণনা আছে এবং ঐ ব্যাক্তি (অপরাধী) প্রমানসাপেক্ষে অবশ্যই তার কৃতকর্মের ফল পাবে (আইনের মাধ্যমে)। তবে শুধু এইরুপ গুরতর কোন অপরাধ নয়, আইন কোন ধরনের কোন অপরাধকেই প্রশ্রয় দেয় না। একজন অপরাধী সে ছোট বড় যেধরনেরই অপরাধ করুক না কেন আইনে যে ধরনের শাস্তির কথা বলা আছে সেই শাস্তিই সে পাবে।

কারন আইন আমাদের কখনই কোন অপরাধ করতে অনুমতি দেয় না বরং আইনে বর্ণিত শাস্তির ভয় দেখিয়ে আমাদের নিরুতসাহিত করে। কিন্তু এমন কি অপরাধ আছে যা আইন আমাদের করতে বাধা দেয় না বা কখন কোন অপরাধও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হবে না বা কখন কেউ কোন অপরাধ করলেও তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

হ্যা, এইরুপ অপরাধও আছে যা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না এমন যদি হত্যাকান্ড পর্যন্তও ঘটে। কারন ব্যাক্তিগত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যদি কোন অপরাধমূলক কাজও করা হয় তবে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। PLD 1970 Pesh. 6(DB) কেসের রায় অনুযায়ী, কোন ব্যক্তির উপর যে আঘাত করা হবে তা মৃত্যু ঘটাতে পারে অথবা গুরতর আঘাত ঘটাতে পারে বলে যুক্তিসঙ্গত ভয় থাকলে উক্ত ব্যক্তির আত্মরক্ষা করিবার অধিকার মৃত্যু ঘটানো পর্যন্ত বর্ধিত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৯৬ ধারা অনুসারে, ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোন কিছুই করতে পারবে (পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যতটুকু করা প্রয়োজন) এবং তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কখনো ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে যেয়ে কোন অপরাধমূলক কোন কাজ হয়ে গেলে ঐ ব্যক্তিকেই (যিনি প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করেছেন) প্রমাণ করতে হবে যে তিনি উক্ত অপরাধটি ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা করতে করেছেন। (Sarwar kamaland others Vs. State; 48 DLR 61).

আইন মানুষকে আত্মরক্ষার অধিকার দিয়েছে কারন আত্মরক্ষা হল মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। অন্যদিকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরপত্তার দায়িত্ব সরকারের থাকলেও একটি দেশের পক্ষে তার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিরক্ষার ব্যাবস্থা করা সম্ভব হয় না বিধায় আইন সবাইকে তাদের নিজ নিজ প্রতিরক্ষার অধিকার দিয়েছে।

কোন ব্যক্তি যখন অপর ব্যক্তির দেহের উপর বা সম্পত্তির উপর আক্রমন চালায় তখন আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হতে পারে। আইন তাকে দুর্বল, ভীত ও নিরীহের মত আক্রমনের সময় সবকিছু মানিয়ে নিতে আদেশ দেয় না। আইন তাকে নির্দেশ দেয় যে, আক্রমনকারীকে রুখিবার জন্য সে সব কিছু করতে পারে। আক্রমন ঠেকাবার জন্য প্রতিআক্রমন করার অধিকারও তার আছে। (AIR 1953 Allahabad 338).

নিজের দেহ ও সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষার অধিকার প্রত্যেকটি সভ্য, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমাজেই স্বীকৃত। তবে এই অধিকার একেবারেই অবাধ ও অসীম নয়। প্রতিরক্ষার অধিকারেরও একটা সীমা আছে। এর বাহিরে গিয়ে কেউ প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে কোন অপরাধ করলে তা অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে । এক্ষেত্রে সে প্রতিরক্ষা অধিকারের সুবিধা পাবে না এবং তাকে শাস্তির সম্মুক্ষীন হতে হবে।

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা পর্যন্ত মানুষের প্রতিরক্ষার অধিকারের কথা বর্ণনা করা আছে। ধারা ৯৬ সম্পর্কে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এবার পরবর্তী ধারা গুলোতে কি বলা আছে তা জানা যাক।

দন্ডবিধির ৯৭ ধারায় বলা আছে যে ৯৯ ধারায় বর্ণিত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক ব্যক্তির-

প্রথমত, মানুষের দেহে আঘাতকারী যেকোন অপরাধের বিরুদ্ধে তার স্বীয় দেহ ও অন্যের দেহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরক্ষার অধিকার থাকবে।

দ্বিতীয়ত, চুরি, দস্যুতা, অনিষ্ট বা অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের উদ্যোগের বিরুদ্ধে নিজের ও অন্যের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি প্রতিরক্ষার অধিকার থাকবে।

শুধু আইনেই নয় ইসলাম ধর্মেও প্রতিরক্ষার কথা বলা আছে। আল-কোরআনে বলা আছে, নিজেকে রক্ষা কর ও পরিজনকে রক্ষা কর।

তবে এই প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ করারও একটা নির্দ্দষ্ট সীমা আছে। দন্ডবিধির ধারা ৯৯ অনুসারে-

সরকারী কর্মচারীগণ সরকারী কর্মচারীরূপে আইন বহির্ভুত যে কাজ করেন তা যদি মৃত্যু বা গুরতর আঘাতের আশঙ্কা সৃস্টি না করে তবে সেই কাজের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকে না।
সরকারী কর্মচারীর হুকুমে যদি কোন আইন বহির্ভূত কাজ সম্পন্ন হয় এবং তা কোন মৃত্যু বা গুরুতর জখমের আশংকা সৃষ্টি না করে, তবে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকে না।
সরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয় নেয়ার মত যথেষ্ট সময় থাকলে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকে না।
ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যতটুকু আঘাত বা ক্ষতি করা প্রয়োজন তার বেশি করা যাবে না (বেশি করা অবৈধ)।
সরকারী কর্মচারীর কাজের বা তার নির্দেশ বলে অন্যের কৃত কোন কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অধিকার ততক্ষন পর্যন্ত থাকে যতক্ষন পর্যন্ত প্রতিরক্ষার দাবিদার ব্যক্তি ঐ সরকারী কর্মচারী বা তার নির্দেশ বলে কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির পরিচয় না জানতে পারেন। (তবে সরকারী কর্মচারী বা তার নির্দেশে কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তি জেনেও ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গেলে তা অবৈধ হবে)
সাধারণত, সরকারী কর্মচারীর কৃত কোন কাজের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার পাওয়া না গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অধিকার পাওয়া যায়। যেমন, ‘AIR 1969, Rajshatan 121’ মামলার রায় অনুসারে, সরকারী কর্মচারী সদবিশ্বাসে কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অধিকার পাওয়া যায় না। সদবিশ্বাস বলতে যথাযথ মনোযোগ এবং সতর্কতাকে বুঝায়। সরকারী কর্মচারী যদি সতর্ক এবং সাবধান হন তবে ধরে নিতে হয় যে, তিনি তার অধিকারের সীমা জানেন। তবে সীমা অতিক্রম করলে তার কাজকে সাধারণভাবে সদবিশ্বাসে প্রণোদিত বলা যায় না এবং এক্ষেত্রে কোন সরকারী কর্মচারীর কৃত কাজের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করা যায়।

একজন ব্যক্তি তার প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে যেয়ে যদি ৯৯ ধারার বিধিনিষেধ সাপেক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটান তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। কারন জীবন রক্ষার প্রয়োজনে অন্যের জীবন নাশ করাও বৈধ (AIR 1959, punjab 332)। মানুষের দেহের উপর আক্রমণ হলে নিম্নবর্ণিত ৬টি ক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে হত্যা করাও বৈধ। ক্ষেত্র ৬টি হল-

দেহের উপর আক্রমণ যদি এমন প্রকৃতির হয় যে, আক্রান্ত ব্যক্তি উপলব্ধি করে যে তার মৃত্যু সন্নিকটবর্তী।
এমন কোন আক্রমণ যা আক্রান্ত ব্যক্তির মনে আশংকার সৃষ্টি করে যে তিনি গুরতর আঘাত পাবেন।
ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ।
অপ্রাকৃতিক কামলালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ।
নারী হরণ বা শিশু হরণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ।
অবৈধভাবে আটক করে রাখার উদ্দেশ্যে আক্রমণ যেখানে কোন সরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়।
তবে, কোন আক্রমণ যদি উপরোক্ত ৬ ধরনের না হয় তাহলে আক্রমণকারীর কোনভাবেই মৃত্যু ঘটানো যাবে না। যদি কোন আক্রমণ উপরোক্ত ৬ ধরণের না হয় এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে যেয়ে আক্রমণকারীর মৃত্যু ঘটে তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

শুধুমাত্র দেহের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রেই প্রতিরক্ষার অধিকারের বিষয়টি আসে না সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রতিরক্ষার অধিকার আছে। নিজের বা অন্যের সম্পত্তি রক্ষা করতে যেয়েও যদি কারোও (সম্পত্তির উপর আক্রমণকারীর) মৃত্যু ঘটে তবে তা বৈধ হবে (অপরাধ হবে না)। তবে সেক্ষেত্রে সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য করা অপরাধগুলো অবশ্যই নিম্নোক্ত ধরনের হতে হবে-

দস্যুতা,
রাতের বেলা অপথে গৃহে প্রবেশ,
বাসগৃহ বা সম্পত্তি সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন ইমারত, তাবু বা জাহাজে অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে ক্ষতিসাধন,
রাতের বেলায় গৃহে বা সম্পত্তি সংরক্ষনের স্থানে চুরি, ক্ষতি বা অনধিকার প্রবেশ যা যুক্তিসংগতভাবে এইরুপ ভয়ের সৃষ্টি করে যে ঐ ব্যক্তি (গৃহ বা সম্পত্তি সংরক্ষনের স্থান যার) প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগ না করলে তার মৃত্যু বা গুরতর জখম হবার সম্ভাবনা আছে।
তবে, যদি উপরোক্ত কাজগুলোর সময় মৃত্যু বা গুরতর জখম হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি না হয় তবে আক্রমণকারীকে হত্যা করা যাবে না। এইসব ক্ষেত্রে হত্যা ব্যতীত অন্য যেকোন ক্ষতি সাধন করা যেতে পারে (ধারা ১০৪)। চুরি, দস্যুতা, অনধিকার গৃহপ্রবেশ বা উপরে বর্ণিত যেকোন অপরাধের সময় যদি আক্রমণকারী হত্যা বা জখমের আতঙ্ক সৃষ্টি না করে তবে আক্রমণকারীকে হত্যা করা যাবে না, আঘাত করা যায় মাত্র।

অতএব, আমরা বলতে পারি যে, দেহের বা সম্পত্তির প্রতিরক্ষার জন্য কোন একজন মানুষের (অপরাধী) জীবন নেয়াও বৈধ। অর্থ্যাত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে বর্ণিত বিধিনিষেধ ও সীমা সাপেক্ষে আইন কারোও মৃত্যু ঘটানোর অনুমতি দেয়। তবে দেহের ও সম্পত্তির বিরুদ্ধে (উপর) করা অপরাধগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ দন্ডবিধির ধারা ১০০ ও ১০৩ অনুযায়ী হতে হবে।

 

জামিন কি ?যে সকল বিষয় বিবেচনা জামিন দেয়া হয়:

Image

বেশ কয়েক মাস ধরে সারা দেশে চলছে গনহারে গ্রেফতার অভিযান । কারণে-অকারণে , অপরাধে-বিনাঅপরাধে নানানভাবে এই গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন হাজার হাজার নানান বয়সের ব্যক্তি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে পুলিশ তথা যৌথ বাহিনী সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছেন। তাদের নিকটআত্নীয় স্বজনরা দৌড়েচ্ছেন থানা পুলিশ থেকে শুরু করে আদালতে। পাশাপাশি প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিস্টান তথা উপরিমহলে যোগাযোগ । উদ্দেশ্য বেকসুর খালাস বা মুক্তি অথবা জামিন । কিন্তু তা চাইলেই এখন পাওয়া যাচ্ছে না । দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীলতায় পৌঁছানোর আগে কাউকে মুক্তি দিবে না ,এমনই মনে করেন অনেকেই । যাহোক মূল আলোচনায় আসা যাক;
জামিন কি ?
সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে আটকের পর আদালত তার আইন ও সুবিবেচনামূলক এখতিয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে আটক কোন ব্যক্তিকে আদালতের আদেশমতো নির্দিষ্ট স্থানে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে সাময়িক মুক্তির ব্যবস্থা করাকে আইনের চোখে ‘জামিন’ বলা হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে, সংশ্লিষ্ট আদালতে সময়মত হাজির হওয়ার শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে আইনগত হেফাজত থেকে মুক্তি প্রদান করে জামিনদারের নিকট সম্পর্ন
করাকে জামিন বলে। মামলার যেকোন
পর্যায়ে জামিন মঞ্জুর করা যায়। উল্লেখ্য, ফৌজদারি কার্যবিধিতে জামিনের কোন সংজ্ঞা প্রদান করা হয়নি।
আদালত জামিন মন্জুরে তার আইন ও সুবিবেচনামূলক এখতিয়ার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনায় নেন সাধারণত:
√ আসামী পুরুষ, মহিলা, শিশু ও বয়স্ক কিনা।
√ আসামিকে জামিন দিলে মামলার
তদন্তে বিঘ্ন বা মামলা পরিচালনায় অন্য কোন সমস্যা হবে কিনা?
√আসামী রোগাক্রান্ত অথবা জখম
প্রাপ্ত কিনা।
√ জামিন পেলে আসামী সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে কিনা?
√ জামিন দিলে আসামী পলাতক
হবে কিনা?
√ জামিন না পেলে আসামীর
পক্ষে মামলা পরিচালনা করা কঠিন
হয়ে পরবে কিনা?
√আনীত অভিযোগ ঘৃন্য বা জঘন্য
কিনা?
√ দুর্ধর্ষ বা অভ্যাস গত অপরাধী হিসেবে আসামীর দুর্নাম
আছে কিনা?
√ আসামীন বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যুক্তিসংগত মনে হয় কিনা?
√ আসামী হাজতে থাকলে তার
পরিবার অনাহারে থাকবে কিনা?
√ আসামীর নাম এজহারে আছে কিনা?
√ আসামী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায়
স্বীকারোকতিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কিনা?
√ আসামী পুলিশ কতৃক ধৃত
হয়ে ,নাকি স্বেচ্চায় আত্মসমর্পন
করেছে ?
√ আসামী হাতেনাতে ধৃত কিনা, আসামির নিকট হতে কৌন অবৈধ মালামাল উদ্ধার করেছে কিনা?
√ আসামীর হাজত বাস দীর্ঘ সময় ধরে কিনা?
√ মামলাটি পক্ষদ্বয়ের মধে কোন
পূর্ব শত্রুতার জের কিনা বা পাল্টাপাল্টি মামলা কিনা?
√ জামিন শুনানিতে পক্ষদ্বয় বিজ্ঞ
কৌশলীর উত্থাপিত যুক্তিতর্ক ।
প্রভৃতি ॥
ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে আসামী মুক্তি পেতে পারে;
(ক),জামিন যোগ্য অপরাধঃ
ধারা ৪৯৬। জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত অপর কোন ব্যক্তি কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হলে বা আটক থাকলে, বা আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে, সে যদি উক্ত অফিসারের
হেফাজতে থাকার সময় বা উক্ত আদালতের কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে জামানত দিতে প্রস্তুত
থাকে তা হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেয় তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অফিসার বা আদালত উপযুক্ত মনে করলে তার নিকট হতে জামানত গ্রহণের পরিবর্তে সে অতঃপর
বর্ণিতভাবে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন করলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন।
তবে আরও শর্ত থাকে যে, এই ধারার
কোন বিধান ১০৭ ধারার (৪) উপধারা বা ১১৭ ধারার (৩) উপধারার কোন বিধানকে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য হবে না।

(খ),জামিন-অযোগ্য অপরাধঃ
ধারা ৪৯৭।যখন জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যাবেঃ
(১) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হলে বা আটক
থাকলে অথবা আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া কিন্তু সে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন
কারাদন্ডে দন্ডনীয় কোন অপরাধে দোষী বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে উক্তরূপে দেওয়া যাবে নাঃ তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এইরূপ অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি ষোল বৎসরের কম বয়স্ক বা স্ত্রীলোক বা পীড়িত বা অক্ষম হলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন।
(২) ক্ষেত্রমতে তদন্ত, ইনকোয়ারী বা বিচারের কোন পর্যায়ে উক্ত অফিসার বা আদলতের
নিকট যদি প্রতিয়মান হয় যে, আসামী জামিনের অযোগ্য কোন অপরাধ করেছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই, কিন্তু তার অপরাধ-সম্পর্কে আরও ইনকোয়ারির
পর্যাপ্ত হেতু রহয়েছে, তাহলে এইরূপ ইনকোয়ারী সাপেক্ষে আসামীকে জামি
অথবা উক্ত অফিসার বা আদলত
বা আদালতের ইচ্ছানুযাসারে সে অতঃপর
বর্ণিতভাবে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন করলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন। (৩) কোন অফিসার বা আদালত (১) উপধারা বা (২) উপধারা অনুসারে কোনব্যক্তিকে মুক্তি দিলে তার ঐরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
(৪) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার সমাপ্ত হবার পর এবং রায় দানের পূর্বে কোন সময় আদালত যদি মনে করেন যে, আসামী উক্ত অপরাধে দোষী নয় বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে,
তা হলে আসামী হাজতে থাকলে রায় শ্রবণের উদ্দেশ্যে হাজির হবার জন্য জামিনদার ব্যতীত
মুচলেকা সম্পাদনের পর তাকে মুক্তি দিবেন।
(৫) হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালত
এবং নিজে মুক্তি দিয়ে থাকলে অন্য
কোন আদালত এই ধারা অনুসারে মুক্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে ও
তাকে হাজতে প্রেরণ করতে পারবেন।

*** আপনি আমি সবাই জানি দেশে আইন আদালতে কি হচ্ছে । সে হিসেবে একটি বেআইনি পরামর্শ দিচ্ছি ! আর সেটা হল, যদি আপনার আপনজন কাউকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় তাহলে যেকোনো প্রকারে পুলিশ কিংবা থানা থেকে ছাড়িয়ে নিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায় । অর্থাৎ আদালত হাজির হওয়ার আগে কোনভাবে লবি্, ওপরি মহলের ফোন কল, প্রভাব অথবা টাকা পয়সা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করা । কারণ আদালত মানেই লম্বা এক আইনি প্রক্রিয়া !

পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন – ২০১২

Image অনুযায়ী কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফীর মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদা হানি করলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোন সুবিধা আদায় বা কোন ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোন পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করলে তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ এবং ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। এছাড়াও কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে এই ধরণের অপরাধের জন্য তিনি সর্ব্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।

আমরা দেশের আইন কানুন সম্পর্কে তেমন সচেতন নই। আবার অনেকে কোর্ট-পুলিশের ঝামেলা হবে মনে করে আইনের আশ্রয় নিতে চায় না। তাই এসব অপরাধ করতে অপরাধীরা আরো বেশি সাহস পেয়ে যায় এবং অপরাধের পুনরাবৃত্তি করে। তাই এখনই আমাদেরকে এসব অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

পারিবারিক আইন সব একসাথে পড়ুন

Image

সলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করিবার জন্য আইন ]

যেহেতু মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করা সমীচীন; সেহেতু উহা এতদ্বারা নিম্নরূপ বিধিবদ্ধ করা হইলঃ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোণাম ও প্রয়োগ :
(১) এই আইন মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ) আইন, ১ঌ৭৪ বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে।
(২) বাংলাদেশের সকল মুসলিম নাগরিকদের উপর যেখানেই তাহারা থাকুক না কেন, ইহা প্রযোজ্য হইবে।
২। সংজ্ঞা সমূহ : এই আইনে যদি বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কোন কিছু না থাকে তাহা হইলেঃ-
(ক) মহা-নিবন্ধন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রশন) ও নিবন্ধক (রেজিষ্টার) বলিতে যথাক্রমে ১ঌ০৮ সনের রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৯০৮ সনের ১৬) অধীনে ঐরূপ পদনামযুক্ত ও নিযুক্ত অফিসারদেরকে
বুঝায়।

(খ) নির্ধারিত বলিতে এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝায়।
৩। বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণ : অন্য যে কোন আইন, প্রথা বা রীতিতে যে কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও মুসলিম আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী রেজিষ্ট্রী করতে হবে।
৪। নিকাহ নিবন্ধক : এই আইনের অধীন বিবাহসমূহ রেজিষ্ট্রীকরণের উদ্দেশ্যে সরকার যেরূপ বিধিনির্দিষ্ট করিতে পারেন সেরূপ এলাকার জন্য যেরূপ প্রয়োজনীয় গণ্য করিতে পারে সেরূপ সংখ্যক নিকাহ নিবন্ধক বলিয়া অভিহিত ব্যক্তিকে অনুজ্ঞাপত্র মঞ্জুর করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে অনধিক একজন নিকাহ নিবন্ধক যে কোন একটি এলাকার জন্য অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত হইবে।
৫। নিকাহ নিবন্ধকগণ কর্তৃক অনানুষ্ঠিত বিবাহ সম্পর্কে তাহাদের নিকট প্রতিবেদন করিতে হইবে :
(১) নিকাহ নিবন্ধক কর্তৃক অনানুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এই আইনের অধীনে রেজিষ্ট্রীকরণের উদ্দেশ্যে তাহার নিকট এইরূপ বিবাহ অনুষ্ঠিত করিয়াছেন এমন ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিবেদন পেশ করিতে হইবে।
(২) যে কেহ (১) উপ-ধারার বিধান লংঘন করিলে সে তিন মাস পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাবাসে বা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধে শাস্তিযোগ্য হইবেন।
৬। তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ :
(১) কোন নিকাহ নিবন্ধক এখতিয়ারের মধ্যে মুসলিম আইন অনুযায়ী কার্যকরীকৃত তালাক রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য তাহার নিকট পেশকৃত আবেদন পত্রের ভিত্তিতে উহা রেজিষ্ট্রী করিতে পারেন।
(২) তালাক রেজিষ্ট্রিকরণের জন্য আবেদন তালাক কার্যকরী করিয়াছেন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ কর্তৃক মৌখিকভাবে পেশকৃত হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যদি মহিলা পর্দানশীল হন তাহা হইলে ঐরূপ আবেদন তাহার যথাযথভাবে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত উকিল কর্তৃক পেশ করা যাইতে পারে।
(৩) ১ঌ০৮ সনের রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৯০৮ সনের ১৬) অধীনে রেজিষ্ট্রীকৃত যে দলিলমুলে স্বামী স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা অর্পণ করিয়াছিল উক্ত দলিল অথবা ঐরূপ অর্পন করা হইয়াছে বলিয়া বিবাহ রেজিষ্ট্রী খাতায় অন্তভুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি দাখিলকরণের ভিত্তিতে ব্যতীত নিকাহ নিবন্ধক তালাক-ই-তৌফিজ হিসাবে পরিচিত ধরনের কোন তালাক রেজিষ্ট্রী করিবেন না।
(৪) যেক্ষেত্রে নিকাহ নিবন্ধক কোন তালাক রেজিষ্ট্রী করিতে অস্বীকার করেন, সেক্ষেত্রে ঐরূপ রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য আবেদন করিয়াছিল এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উক্ত অস্বীকৃতির ত্রিশ দিনের মধ্যে নিবন্ধকের নিকট আপীল পেশ করিতে পারেন এবং উক্ত আপীলের উপর নিবন্ধক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত (বলিয়া গণ্য) হইবে।
৭। রেজিষ্ট্রীকরণের পদ্ধতি : নিকাহ নিবন্ধক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন বিবাহ বা তালাক রেজিষ্ট্রী করিবেন।
৮। রেজিষ্ট্রী খাতা : প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক নির্ধারিত ফরমে বিবাহ ও তালাকের পৃথক রেজিষ্ট্রী খাতা রাখিবেন এবং ঐরূপ প্রত্যেক রেজিষ্ট্রী খাতায় প্রত্যেক বত্সরের শুরুতে নতুন সারির সূচনা ক্রমে সকল ভুক্তি ক্রমিক সারিতে সংখ্যাযুক্ত (করিতে) হইবে।
৯। পক্ষগণকে ভুক্তির প্রতিলিপি দিতে হইবে : কোন বিবাহ বা তালাকের রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পূর্ন হওয়ার পর নিকাহ নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে খাতায় ভুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি অর্পণ করিবেন এবং ঐরূপ প্রতিলিপির জন্য কোন খরচ আদায় করা হইবে না।
১০। নিয়ন্ত্রন ও তত্ত্বাবধান :
(১) প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক তাহার অফিসের কর্তব্যাবলী নিবন্ধকের অধীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে পালন করিবেন।
(২) মহা-নিবন্ধন পরিদর্শক সকল নিকাহ নিবন্ধকগণের অফিসের উপর সাধারণ অধীক্ষণ চালাইবেন।
১১। অনুজ্ঞাপত্রের সংহরণ ও নিলম্বন : যদি সরকার বিশ্বাস করেন যে, নিকাহ নিবন্ধক তাহার কর্তব্যাবলী পালনে কোন অসদাচনের জন্য দোষী অথবা তাহার কর্তব্যাবলী পালনে অনুপযুক্ত বা দৈহিকভাবে অক্ষম, তাহা হইলে সরকার লিখিত আদেশবলে তাহার অনুজ্ঞাপত্র সংহরণ করিতে পারেন, অথবা আদেশের যেরূপ বিনির্দিষ্ট করা হইতে পারে সেরূপ অনধিক দুই বত্সর মেয়াদের জন্য তাহার অনুজ্ঞাপত্র নিলম্বিত করিতে পারেন।
তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোন আদেশ প্রদান করা হইবে না যদি নিকাহ নিবন্ধককে কেন ঐরূপ আদেশ প্রদান করা হইবে না উহার কারণ প্রদর্শনের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করা হয়।

১২। রেজিষ্ট্রী খাতাসমূহের হেফাজত : প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক ৮ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক রক্ষিত প্রত্যেকটি রেজিষ্ট্রী খাতা নিরাপদে রাখিবেন যতক্ষণ না উহা সম্পূর্ণ হয় এবং তিনি সংশ্লিষ্ট জিলা ত্যাগ করিলে বা অনুজ্ঞাপত্র ধারণ করা বন্ধ করিলে তখনই বা তত্পূর্বে নিরাপদ হেফাজতের জন্য নিবন্ধকের নিকট উহা হস্তান্তর করিবেন।
১৩। রেজিষ্ট্রী খাতাসমূহ পরিদর্শন : যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফি, যদি থাকে, প্রদানক্রমে নিকাহ নিবন্ধকের বা নিবন্ধকের অফিসে সেখানে রক্ষিত যে কোন রেজিষ্ট্রী খাতা পরিদর্শন করিতে পারেন অথবা উহাতে কোন ভুক্তির প্রতিলিপি পাইতে পারেন।
১৪। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা :
(১) সরকার অফিসিয়াল গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আইনের উদ্দেশ্যাবলী কার্যকরী করিবার জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারেন।
(২) বিশেষ করিয়া এবং পূর্ববর্তী ক্ষমতার সাধারণত্বের হানি না করিয়া উক্ত বিধিমালা-
(ক) যে ব্যক্তিদেরকে ৪ ধারার অধীনে অনুজ্ঞাপত্র মঞ্জুর করা যাইতে পারে তা যাদের জন্য আবশ্যক যোগ্যতা সম্পর্কে,
(খ) বিবাহ বা তালাক রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য নিকাহ নিবন্ধককে প্রদেয় কি সম্পর্কে,
(গ) বিধি প্রণয়ন আবশ্যক এমন অন্য যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিধান করিতে পারে।
১৫। ১ঌ৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের (১ঌ৬১ সনের ৮অর্ডিন্যান্স) সংশোধন :
১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের,
(ক) ৩ ধারার (১) উপ-ধারায় কমা ও শব্দাবলী এবং মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণ শুধুমাত্র ঐ সকল বিধানাবলী অনুযায়ী সংঘটিত হইবে বাদ যাইবে।
(খ) ৫ ধারা বাদ যাইবে।
(গ) ৬ ধারার (১) উপ-ধারায় এই আইনের অধীন শব্দসমূহের পরিবর্তে ১ঌ৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ) আইনের (১ঌ৭৪ সনের ৫২ নম্বর আইন) অধীন শব্দসমূহ, কমা, অংক ও বন্ধকী বসিবে।
১৬। নিরসন :
১৮৭৬ সনের মুসলিম তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৮৭৬ সনের ১ নং বেঙ্গল আইন) এতদ্বারা নিরসন করা হইল।
১৭। বিদ্যমান নিকাহ নিবন্ধকগণ সম্পর্কিত বিধান :
এই আইনের প্রারম্ভের পূর্বে ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের (১৯৬১ সনের ৮) অধীনে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত সকল নিকাহ নিবন্ধকগণ এই আইনের অধীনে নিকাহ নিবন্ধক হিসাবে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
মুসিলম বিবাহ আইন (১৯৩৯ সালের ৮নং আইন) [ ১৯৩৯ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে গভর্ণর-জেনারেলের সম্মতিপ্রাপ্ত ]
[ মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আণীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থাবলীর একত্রীকরণ ও পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে প্রণীত অ্যাক্ট ]।

যেহেতু, মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আনীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থা একত্রীকরণ ও উহাদের পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে, এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভব করা যাইতেছে, সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নলিখিত আইন পাশ করা হইতেছে :
১। (ক) সংক্ষিপ্ত শিরোনামঃ অত্র আইনকে ১৯৩৯ সালের মুসলমান বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে।
(খ) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।
২। বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রির হেতুবাদঃ নিম্নলিখিত যে কোন এক বা একাধিক হেতুবাদে মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা কোন মহিলা তাহার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ডিক্রি লাভের অধিকারিণী হইবেন, যথাঃ
i) চার বছর যাবত্‍ স্বামী নিরুদ্দেশ হইলে;
ii) স্বামী দুই বত্সছর যাবত্‍ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দানে অবহেলা প্রদর্শন করিলে অথবা ব্যর্থ হইলে;
ii-ক) স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ব্যবস্থা লঙ্খন করিরা অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে;
iii) স্বামী সাত বত্সার বা তদুর্ধ্ব সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হইলে;
iv) স্বামী কোন যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত তিন বছর যাবত্‍ তাহার দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে;
v) বিবাহকালে স্বামীর পুরুষত্বহীনতা থাকিলে এবং উহা বর্তমানেও চলিতে থাকলে;
vi) দুই বছর যাবত্‍ স্বামী পাগল হইয়া থাকিলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে কিংবা ভয়ানক ধরণের উপদংশ রোগে ভুগিতে থাকলে;
vii) আঠার বত্সরর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তাহাকে তাহার পিতা অথবা অন্য অভিভাবক বিবাহ করাইয়া থাকিলে এবং উণিশ বত্সiর বয়স পূর্ণ হইবার পূর্বেই সে উক্ত বিবাহ অস্বীকার করিয়া থাকিলে; তবে, অবশ্য ঐ সময়ের মধ্যে যদি দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত না হইয়া থাকে;
viii) স্বামী তাহার (স্ত্রীর) সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করিলে, অর্থাত্
ক) অভ্যাসগতভাবে তাহাকে আঘাত করিলে বা নিষ্ঠুর আচরণ দ্বারা, উক্ত আচরণ দৈহিক পীড়নের পর্যায়ে না পড়িলও, তাহার জীবন শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছে এমন হইলে;.
খ) স্বামীর দূর্নাম রহিয়াছে বা কলঙ্কিত জীবন যাপন করে এমন স্ত্রীলোকদের সহিত মেলামেশা করিলে, অথবা
গ) তাহাকে দূর্ণীত জীবন যাপনে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিলে, অথবা
ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করিলে অথবা উহার উপর তাহার বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান করিলে, অথবা
ঙ) তাহার ধর্মীয় কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করিলে, অথবা
চ) একাধিক স্ত্রী থাকিলে, সে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায়পরায়নতার সহিত তাহার সঙ্গে আচরণ না করিলে;
ix) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বৈধ হেতু হিসাবে স্বীকৃত অন্য যে কোন কারণেঃ
তবে অবশ্য-
ক) কারাদন্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩ নং হেতু বাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না,
খ) ১ নং হেতুবাদে প্রদত্ত ডিক্রিটি উহার প্রদানের তারিখ হইতে ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকরী হইবে না এবং স্বামী উক্ত সময়ের মধ্যে স্বয়ং অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কো এজেন্টের মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া এই মর্মে যদি আদালতকে খুশী করিতে পারে যে, দাম্পত্য কর্তব্য পালনে প্রস্তুত রহিয়াছে, তাহা হইলে আদালত ডিক্রিটি রদ করিবেন; এবং
গ) ৫ নং হেতুবাদে ডিক্রি প্রদানের পূর্বে, স্বামীর আবেদনক্রমে আদালতের আদেশের এক বত্স রের মধ্যে যে পুরুষত্বহীনতা হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে বা তাহার পুরুষত্বহীনতার অবসান ঘটিয়াছে এই মর্মে আদালতকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য আদালত তাহাকে আদেশ দান করিতে পারেন এবং যদি সে উক্ত সময়ের মধ্যে আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারে, তাহা হইলে উক্ত হেতুবাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না।
৩। স্বামীর ঠিকানা জানা না থাকিলে তাহার উত্তরাধিকারীগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে যে মামলায় ২ ধারায় (১) উপ-ধারা প্রযোজ্য, সেখানে-
ক) আর্জিতে ঐ সমস্ত লোকের নাম-ঠিকানা লিখিতে হইবে যাহারা আর্জি পেশ করিবার সময় স্বামী মারা গেলে মুসলিম আইনে স্বামীর উত্তরাধিকারী হইতেন;
খ) ঐ ধরণের ব্যক্তিগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে, এবং
গ) উক্ত মামলায় ঐ সকল ব্যক্তির বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে।
তবে অবশ্য ম্বামীর চাচা ও ভাই থাকিলে উহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও উহাদিগকে অবশ্যই পক্ষভূক্ত করিতে হইবে।
৪। ধর্মান্তরের ফলঃ
কোন বিবাহিতা মুসলমান মহিলা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিলে অথবা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহন করিলে উহাতেই তাহা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিবে না। তবে, অবশ্য এই জাতীয় ধর্ম ত্যাগ বা অন্য ধর্ম গ্রহণের পর মহিলাটি ২ ধারায় বর্ণিত অন্য কোন হেতুবাদে তাহার বিবাহ বিচ্ছিদের জন্য ডিক্রি গ্রহণের অধিকারিণী হইবেনঃ আরও এই যে, অত্র ধারার ব্যবস্থাবলী ঐ মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যে কোন ধর্ম হইতে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হইয়াছিল এবং বর্তমানে স্বীয় পুরাতন ধর্মে পুনরায় দীক্ষা গ্রহণ করিল।
৫। দেহমোহরের অধিকার ক্ষুন্ন হইবে নাঃ
অত্র আইনে সন্নিবেশিত কোন কিছুই কোন বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে মুসলিম আইন অনুযায়ী তাহার প্রাপ্ত দেনমোহর অথবা উহার কোন অংশের উপর তাহার কোন অধিকারকেই ক্ষুন্ন করিবে না।
৬। ১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারাটিকে এতদ্বারা বাতিল ঘোষণা করা হইল [ ১৯৪২ সালের ২৫ নং এ্যাক্ট দ্বারা বাতিল ঘোষিত হয় ]
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৬১ [১৯৩৯ সালের ৮নং আইন]
——————————————————————–
ধারা -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রয়োগযোগ্যতার সীমা )
(১) অত্র আইন মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৩৯ নামে পরিচিত হইবে ।
(২) ইহা সমস্ত বাংলাদেশে কার্যকর হইবে ।
(৩) বিবাহবিচ্ছেদ ও ডিক্রি লাভের কারণসমূহঃ মুসলিম আইন অনুসারে কোনো বিবাহিতা স্ত্রীলোক নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কারণে তাহার বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি পাওয়ার অধিকারণী হইবে ।যথাঃ
(১) চার বত্সবরকাল পর্যন্ত স্বামী নিখোঁজ;
(২) দুই বত্সরকাল পর্যন্ত স্বামী তাহাকে ভরণপোষণ প্রদানে অবহেলা করিয়াছে বা ব্যর্থ হইয়াছে ।
ধারা-২ (বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির কারণসমূহ )
(১) ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের বিধান অমান্য করিয়া স্বামী অপর কোনো স্ত্রী গ্রহণ করিয়াছে;
(২) সাত বত্সর বা ততোধিক সময়ের জন্য স্বামী কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছে;
(৩) যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত স্বামী তিন বত্সরকাল যাবত তাহার বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছে;
(৪) বিবাহের সময় স্বামী পুরুষত্বহীন ছিল এবং তাহার ঐরূপ অবস্থা অব্যাহত আছে;
(৫) দুই বত্সর পর্যন্ত স্বামী অপ্রকৃতিস্থ রহিয়াছে বা কুষ্ঠরোগ অথবা মারাত্মক যৌন রোগে ভুগিতে থাকে;
(৬) বয়স ১৬ বত্সর পূর্ণ হইবার আগে তাহাকে তাহার বাবা অথবা অন্য কোনো অভিভাবক বিবাহ দিয়াছে ও বয়স ১৮ বত্সর পূর্ণ হইবার আগে সে (স্ত্রীলোক) উক্ত বিবাহ নাকচ করিয়াছে । শর্ত থাকে যে, বিবাহে যৌনমিলন ঘটে নাই ।
(৭) স্বামী-স্ত্রীর সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করে; যেমন-
(ক) তাহাকে স্বভাবতঃই আক্রমণ করে বা নিষ্ঠুর আচরণের মাধ্যমে তাহার জীবন দুর্বিসহ করিয়া তোলে যদি ঐরূপ আচরণ শারীরিক নির্যাতন নাও হয়; বা
(খ) খারাপ চরিত্রের নারীগণের সঙ্গে থাকে অথবা ঘৃণ্য জীবনযাপন করে; বা
(গ) তাহাকে নৈতিকতাহীন জীবনযাপনে বাধ্য করিতে চেষ্টার করে; বা
(ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করে বা উক্ত সম্পত্তিতে তাহার আইনসঙ্গত অধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে; বা
(ঙ) তাহাকে তাহার ধর্ম বিশ্বাস অথবা ধর্ম চর্চায় বাধা প্রদান করে; বা
(চ) যদি তাহার একাধিক স্ত্রী থাকে তবে কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী সে তাহার সহিত ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার না করে;
(৮) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের নিমিত্ত বৈধ বলিয়া স্বীকৃত অপর কোন কারণে শর্ত থাকে যে-
(ক) কারাদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩নং উপধারায় বর্ণিত কারণে ডিক্রি দেওয়া হইবে না;
(খ) ১নং উপধারায় বর্ণিত কারণে উহার তারিখ হইতে ছয় মাস কাল পর্যন্ত কার্যকর হইবে না; এবং স্বামী যদি উক্ত সময় মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া আদালতকে সন্তোষজনক উত্তর দেয় যে সে দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত আছে তবে আদালত উক্ত ডিক্রি নাকচ করিবেন;
(গ) ৫নং উপধারায় বর্ণিত কারণে ডিক্রি দেওয়ার আগে আদালত স্বামীর আবেদনক্রমে তাহাকে আদেশ প্রদান করিতে পারেন যে, অত্র আদেশের তারিখ হইতে ১ বত্সরকালের মধ্যে সে আদালতের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণ করিতে হইবে যে, সে পুরুষত্বহীনতা হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছে; এবং যদি স্বামী উক্ত সময় মধ্যে ঐরূপে আদালতকে সন্তুষ্ট করিতে পারে তবে উক্ত কারণে কোনো ডিক্রি দেওয়া হইবে না ।
ধারা-৩ (নিরুদ্দেশ স্বামীর উত্তরাধিকারদের উপর নোটিশ প্রদান )
২নং ধারার ১নং উপধারার প্রযোজ্য মামলায়-
(ক) আরজি দাখিল করিবার তারিখে স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটিত তবে মুসলিম আইন অনুসারে যাহারা তাহার উত্তরাধিকারী হইতে তাহাদের নাম, ঠিকানা আরজিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে;
(খ) ঐরূপ ব্যক্তিগণের উপর মামলার নোটিশ জারি করিতে হইবে; এবং
(গ) উক্ত মামলার শুনানিতে তাহাদের বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে;
শর্ত থাকে যে, যদি স্বামীর কোনো চাচা এবং ভাই থাকে তবে সে অথবা তাহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও মামলায় পক্ষভুক্ত হইবে ।
ধারা -৪ ( অন্য ধর্ম গ্রহণের পরিণতি )
বিবাহিতা মুসলিম মহিলা ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ অথবা উক্ত ধর্ম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করিলে সেইজন্য তাহার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে না ।শর্ত থাকে যে, ঐরূপ ধর্ম ত্যাগ অথবা অন্য ধর্ম গ্রহণ করিবার পর উক্ত নারী ২ ধারায় উল্লেখিত যেকোন কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি পাওয়ার অধিকারিণী হইবে ।আরও শর্ত থাকে যে, কোনো বিধর্মী মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিবার পর পুনরায় তাহার পূর্বে ধর্মে ফিরিয়া আসিলে অত্র ধারার বিধানসমূহ তাহার প্রতি প্রযোজ্য হইবে না ।
ধারা-৫ ( দেনমোহরের অধিকার খর্ব করিবে না )
অত্র আইনে বর্ণিত কোনো কিছু মুসলিম আইন অনুসারে বিবাহিতা কোনো মহিলার প্রাপ্য দেনমোহর অথবা উহার কোনো অংশের অধিকার তাহার বিবাহবিচ্ছেদ কতৃর্ক প্রভাবিত হইবে না ।
ধারা-৬ (১৯৩৭ সালের ১৬নং আইনের ৫ ধারা বাতিল )
১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারা বাতিল ।
তথ্য সূত্র : জনগূরুত্বপূর্ণ আইন, লেখক- ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া ।
পারিবারিক আদালত বিধিমালা, ১৯৮৫
——————————————-
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশের ২৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন; যথাঃ
বিধি -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম )
এই বিধিমালা ‘পারিবারিক আদালত বিধিমালা, ১৯৮৫’ নামে অভিহিত হইবে ।
বিধি-২ ( সংজ্ঞাসমূহ )
অত্র বিধিমালা বিষয়ে অথবা প্রসঙ্গে বিপরীত কিছু না থাকিলে-
(ক) ‘ফরম’ বলিতে অত্র বিধিমালার সঙ্গে সংযুক্ত ফরমকে বুঝাইবে ।
(খ) ‘অধ্যাদেশ’ বলিতে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ১৮নং আইন)-কে বুঝাইবে ।
বিধি -৩ (মামলার রেজিস্ট্রি বই)
কোনো আপিল জেলা জজের আদালতে দায়ের করা হইলে উহার বিবরণ ‘খ’ ফরমে রক্ষিতব্য রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি-৪ (আপীলের রেজিস্ট্র বই )
কোনো আরজি পারিবারিক আদালতে দায়ের করা হইলে উহার বিবরণ খ ফরমে রক্ষতব্য রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি -৫ ( ডিক্রির ফরম )
অত্র অধ্যাদেশের প্রত্যেক মামলার রায় প্রদানান্ত ‘গ’ ফরমে ডিক্রি লিখিতে হইবে ও ভারপ্রাপ্ত জজ উহাতে দস্তখত দিতে হইবে ও ডিক্রি পারিবারিক আদালতের সীলমোহর যুক্ত হইবে ।
বিধি-৬ (জরিমানার রসিদের ফরম)
যেক্ষেত্রে অত্র অধ্যাদেশের ১৮ অথবা ১৯ ধারা মোতাবেক কোনো জরিমানা প্রদান করা হয় বা অত্র অধ্যাদেশের আওতায় পারিবারিক আদালত কোনো অর্থ অথবা সম্পত্তি জমা নেয় অথবা আদায় করে সেক্ষেত্রে ‘ঘ’ ফরমে রসিদ প্রদান করিতে হইবে এবং উহা ক্রমিক নম্বর যুক্ত হইতে হইবে ও উহার চেকমুড়ি পারিবারিক আদালতে রক্ষিত হইবে ।
বিধি -৭ (জরিমানা ইত্যাদির রেজিস্ট্রি বই )
পারিবারিক আদালত কতৃর্ক জমা নেওয়া অথবা আদায়কৃত এবং ব্যয়কৃত সমস্ত জরিমানা, অর্থ অথবা সম্পত্তি ‘ঙ’ ফরমে কোনো রেজিস্ট্রি হইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি -৮ (পক্ষের উপর নোটিশ )
যদি পারিবারিক আদালত কোনো পক্ষের প্রাপ্য কোনো অর্থ গ্রহণ করেন তবে পারিবারিক উহা পাওয়ার পক্ষের প্রতি নোটিশ জারি করাইবেন ও উক্ত পক্ষকে উহা গ্রহণের নিমিত্ত তাহার দরখাস্তের ৭ দিনের ভিতর উহা প্রদান করিবেন ।
বিধি -৯ (পারিবারিক আদালতের রেকর্ডসমূহ এবং রেজিস্ট্রি বই )
দেওয়ানী আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুপ্রীম কোর্টের বিধিসমূহ অনুযায়ী যথাবিধানকৃত সময়ের নিমিত্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে ।
বিধি -১০ (রেকর্ডসমূহ ও উহা পরিদর্শন)
(১) বিরোধের কোনো পক্ষের দরখাস্তের ভিত্তিতে পারিবারিক আদালত চল্লিশ পয়সা ফী প্রদানের পর বিরোধ বিষয়ক পারিবারিক আদালতের রেকর্ডসমূহ পরিদর্শনের অনুমতি দিবেন।
(২) মামলার কোনো পক্ষের দরখাস্তের ভিত্তিতে প্রতি একশত চল্লিশ অথবা উহার অংশবিশেষ শব্দের নিমিত্ত চল্লিশ পয়সা হারে ফী প্রদানের পর পারিবারিক আদালত উহার রায়, ডিক্রি অথবা আদেশের অথবা অপরাপর কার্যক্রমের অথবা অত্র বিধিসমূহ অনুযায়ী রক্ষিত কোনো রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্তির অথবা ইহাদের কোনো অংশ বিশেষের প্রত্যায়িত প্রতিলিপি সরবরাহ করিতে হইবে ।
বিধি-১১ ( পারিবারিক আদালতের সীলমোহর )
(১) প্রতিটি পারিবারিক আদালতের অফিসে উক্ত আদালতের সীলমোহর রাখিতে হইবে এবং উহা আকারে বৃত্তাকারে হইবে ও পারিবারিক আদালত এবং স্থানের নাম থাকিবে ।
(২) অত্র অধ্যাদেশ অথবা বিধিমালার অধীনে দেওয়া সমস্ত সমন, আদেশ, ডিক্রি প্রতিলিপি এবং অপরাপর কাগজপত্রে পারিবারিক আদালতের সীলমোহর ব্যবহার করিতে হইবে ।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা, ১৯৬১
————————————————-
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ১১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন; যথা
বিধি -১ : অত্র বিধিমালা ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা নামে অভিহিত হইবে ।
বিধি -২ : অত্র বিধিমালার বিষয়ে অথবা প্রসঙ্গে বিপরীত কোনো কিছু বর্তমানে থাকিলে-
(ক) ”চেয়ারম্যান” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে সেইরূপ একই অর্থ বুঝাইবে;
(খ) ”ফরম” বলিতে অত্র বিধিমালার সহিত সংযুক্ত ফরমকে বুঝাইবে;
(গ) ”স্থানীয় এলাকা” বলিতে কোনো পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকাকে বুঝাইবে;
(ঘ) ”মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে তেমন একই অর্থ বুঝাইবে;
(ঙ) ”অধ্যাদেশ” বলিতে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (১৯৬১ সালের ৮নং আইন)-কে বুঝাইবে;
(চ) ”পৌরসভা” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে তেমন একই অর্থ বুঝাইবে;
(ছ) ”ধারা” বলিতে অধ্যাদেশে কোন ধারাকে বুঝাইবে; এবং
(জ) ”ইউনিয়ন পরিষদ” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে সেইরূপ একই অর্থ বুঝাইবে ।
বিধি-৩ : ধারার গ, ঘ অথবা চ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে কথিত বিষয়ে যে পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের আওতা বা এখতিয়ার থাকিবে তাহা নিম্নবর্ণিত রূপ হইবে :
(ক) ৬ ধারার ২ উপধারার দরখাস্তের বেলায় ইহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে বর্তমান স্ত্রী অথবা যেক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রী বর্তমান, সেইক্ষেত্রে যে স্ত্রীর সহিত স্বামী সর্বশেষে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিল সেই স্ত্রী স্বামীর দরখাস্ত দাখিলের সময় বসবাস করিতেছে ।
(খ) ৭ ধারার ১ উপধারার নোটিশের বেলায় ইহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে যেই স্ত্রী সম্বন্ধে তালাক উচ্চারণ করা হইয়া

 

কোর্ট মেরিজের কোন আইন্ত ভিত্তি নাই

কোর্ট মেরিজের কোন আইনগত ভিত্তি নাই। সুতরাং এই রকম বিয়েতে মেয়ে রাই প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
সীমা ও সুজন আদালতের নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ করেছিল। কিন্তু তখন তারা বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রী করেনি। বিয়ের কিছুদিন পরই সুজন সীমার সঙ্গে তার বিয়ের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে। আর এ অজুহাতে সীমাকে মোহরানা, খোরপোষ ও দাম্পত্য অধিকার দিতেও তিনি রাজি নন। অবশেষে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালতে । 

কাবিন রেজিষ্ট্রীর পরিবর্তে কোর্টম্যারেজ অধিকতর শক্তিশালী-এ ভুল ধারণার ফাঁদে পড়ে অনেক নারী তাদের দাম্পত্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইনের ছদ্মাবরণে একশ্রেণীর নোটারী পাবলিক এ অবৈধ কাজে সহায়তা করে চলেছেন। অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ‘কোর্ট ম্যারেজের কোন বৈধতা নেই, এমনকি এর কোন অস্তিত্বও নেই। 

পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা একশত পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। 

কাবিন রেজিষ্ট্রী না করে অনেকে বিয়ে সম্পন্ন করছেন। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হয় না। মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ বিধি ১৯৭৫ এর ১৯(৩) ধারা অনুযায়ী ‘নিকাহ রেজিষ্ট্রার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি যদি বিবাহ করান তাহলে সেই ব্যক্তি ১৫ দিনের মধ্যে ওই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের নিকট অবহিত করবেন, যার এলাকায় উক্ত বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে’। 

মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন ১৯৭৪-এর ধারা ৫(২) অনুযায়ী বিবাহ রেজিষ্ট্রশন না করার শাস্তি সর্বোচ্চ (তিন) মাসের কারাদ- কিংবা পাঁচশত টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। আকদ বা বিয়ে রেজিষ্ট্রী না করে শুধুমাত্র হলফনামায় ঘোষণা দিয়ে ঘর-সংসার প্রবণতা অমাদের দেশে ক্রমেই বাড়ছে। অথচ এর কোন বৈধতা নেই। 

আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, শুধুমাত্র এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন শক্ত হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয় বলে কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে করে তারা। 

অনেকে এফিডেবিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পাদন করে একাধিক বিয়ের কথা গোপন করার জন্য। কোন মেয়ের অভিভাবককে জিম্মি করে টাকা আদায় কিংবা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যও অনেক সময় এফিডেভিটের মাধ্যমে ভূয়া বিয়ের দলিল তৈরি করা হয়।

এ দলিল তৈরি করা খুব সহজেই সম্ভব এবং এসব ক্ষেত্রে হলফনামা প্রার্থীকে নোটারি পাবলিকের কাছে হাজির হতে হয় না। এর ফলে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ থাকে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা থেকে রক্ষার জন্য আসামী পক্ষের এরকম হলফনামা তেরীর প্রবণতা দেখা যায়। 

লাইসেন্স বিহীন কাজীর নিকট বিয়ে রেজিষ্ট্রী করলে এর কোন আইনত মূল্য নেই। কাজীর কাছে গিয়ে কাবিন না করলে দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কাবিননামা না থাকায় নারীরা তাদের মোহরানাও পায়না। কাবিননামার বদলে কোর্ট ম্যারেজের বিয়েতে ছেলেরা একটা সুযোগ খুঁজে। জোর করে দস্তখত নিয়ে এফিডেভিট করেছে মেয়ে পক্ষ এই অজুহাত অনেক সময় দাঁড় করে ছেলে পক্ষ। আইনানুযায়ী বিয়ের আসরেই বিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে হয়। বিয়ের আসরে সম্ভব না হলে বিয়ে অনুষ্ঠানের দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রী করতে হয়। কাজীকে বাড়িতে ডেকে এনে অথবা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রী করা যায়।

এছাড়াও কাবিননামার সকল কলাম পূরণ করার পর বর, কনে, উকিল,সাক্ষী ও অন্যন্যা ব্যক্তিগণের স্বাক্ষর দিতে হয়। এদেশের সব ধর্মের বিয়ে বিচ্ছেদের ব্যাপরে পারিবারিক আইন আদালতের নিয়ম মানতে হবে। কোর্ট ম্যারেজের বিয়েতে উৎসাহদানকারী নোটারি পাবলিকদের চিহ্নিত করে শাস্তির বিধান করতে হবে। আইন করে কোর্ট ম্যারেজের বিয়ে বন্ধ করা সময়ের দাবী।

নারী বিষয়ক আইন সমুহ

: বর্তমান সময়ে দেশে প্রধান মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা ও স্পিকার তিনজনই নারী, তবুও থেমে নেই নারী নির্যাতন। দেশে শিক্ষার হার বাড়লে কমছে না নির্যাতন। শুধু নির্যাতনের ধরন পাল্টেছে। আবার সমাজ, সামাজিকতা ও পরিবারের দিকে তাকিয়ে অনেকে মুখ খুলছেন না। অনেকে আবার আ্ইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না, তাই মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করেন। নারী নির্যাতন রোধে আমাদের সচেতনতাই পারে সমাজ ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে। এ জন্য অবশ্যই আমাদের পারিবারিক আইন সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। আপনাদের সুবিধার জন্য আইনের ধারাগুলো হুমহু তুলে ধরা হলো। প্রথমত মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রীকরন সম্পর্কিত আইন সম্পর্কে বলছি।

সংক্ষিপ্ত শিরোণাম ও প্রয়োগ : (১) এই আইন মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ) আইন, ১ঌ৭৪ বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে। (২) বাংলাদেশের সকল মুসলিম নাগরিকদের উপর যেখানেই তাহারা থাকুক না কেন, ইহা প্রযোজ্য হইবে।

সংজ্ঞা সমূহ : এই আইনে যদি বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কোন কিছু না থাকে তাহা হইলেঃ- (ক) মহা-নিবন্ধন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রশন) ও নিবন্ধক (রেজিষ্টার) বলিতে যথাক্রমে ১ঌ০৮ সনের রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৯০৮ সনের ১৬) অধীনে ঐরূপ পদনামযুক্ত ও নিযুক্ত অফিসারদেরকে
বুঝায়। (খ) নির্ধারিত বলিতে এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝায়।

বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণ : অন্য যে কোন আইন, প্রথা বা রীতিতে যে কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও মুসলিম আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী রেজিষ্ট্রী করতে হবে।

নিকাহ নিবন্ধক : এই আইনের অধীন বিবাহসমূহ রেজিষ্ট্রীকরণের উদ্দেশ্যে সরকার যেরূপ বিধিনির্দিষ্ট করিতে পারেন সেরূপ এলাকার জন্য যেরূপ প্রয়োজনীয় গণ্য করিতে পারে সেরূপ সংখ্যক নিকাহ নিবন্ধক বলিয়া অভিহিত ব্যক্তিকে অনুজ্ঞাপত্র মঞ্জুর করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে অনধিক একজন নিকাহ নিবন্ধক যে কোন একটি এলাকার জন্য অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত হইবে।

নিকাহ নিবন্ধকগণ কর্তৃক অনানুষ্ঠিত বিবাহ সম্পর্কে তাহাদের নিকট প্রতিবেদন করিতে হইবে :
(১) নিকাহ নিবন্ধক কর্তৃক অনানুষ্ঠিত প্রত্যেক বিবাহ এই আইনের অধীনে রেজিষ্ট্রীকরণের উদ্দেশ্যে তাহার নিকট এইরূপ বিবাহ অনুষ্ঠিত করিয়াছেন এমন ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিবেদন পেশ করিতে হইবে।
(২) যে কেহ (১) উপ-ধারার বিধান লংঘন করিলে সে তিন মাস পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাবাসে বা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধে শাস্তিযোগ্য হইবেন।

তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ : (১) কোন নিকাহ নিবন্ধক এখতিয়ারের মধ্যে মুসলিম আইন অনুযায়ী কার্যকরীকৃত তালাক রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য তাহার নিকট পেশকৃত আবেদন পত্রের ভিত্তিতে উহা রেজিষ্ট্রী করিতে পারেন।
(২) তালাক রেজিষ্ট্রিকরণের জন্য আবেদন তালাক কার্যকরী করিয়াছেন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ কর্তৃক মৌখিকভাবে পেশকৃত হইবে । তবে শর্ত থাকে যে, যদি মহিলা পর্দানশীল হন তাহা হইলে ঐরূপ আবেদন তাহার যথাযথভাবে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত উকিল কর্তৃক পেশ করা যাইতে পারে।
(৩) ১ঌ০৮ সনের রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৯০৮ সনের ১৬) অধীনে রেজিষ্ট্রীকৃত যে দলিলমুলে স্বামী স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা অর্পণ করিয়াছিল উক্ত দলিল অথবা ঐরূপ অর্পন করা হইয়াছে বলিয়া বিবাহ রেজিষ্ট্রী খাতায় অন্তভুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি দাখিলকরণের ভিত্তিতে ব্যতীত নিকাহ নিবন্ধক তালাক-ই-তৌফিজ হিসাবে পরিচিত ধরনের কোন তালাক রেজিষ্ট্রী করিবেন না।
(৪) যেক্ষেত্রে নিকাহ নিবন্ধক কোন তালাক রেজিষ্ট্রী করিতে অস্বীকার করেন, সেক্ষেত্রে ঐরূপ রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য আবেদন করিয়াছিল এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ উক্ত অস্বীকৃতির ত্রিশ দিনের মধ্যে নিবন্ধকের নিকট আপীল পেশ করিতে পারেন এবং উক্ত আপীলের উপর নিবন্ধক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত (বলিয়া গণ্য) হইবে।

রেজিষ্ট্রীকরণের পদ্ধতি : নিকাহ নিবন্ধক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন বিবাহ বা তালাক রেজিষ্ট্রী করিবেন।
রেজিষ্ট্রী খাতা : প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক নির্ধারিত ফরমে বিবাহ ও তালাকের পৃথক রেজিষ্ট্রী খাতা রাখিবেন এবং ঐরূপ প্রত্যেক রেজিষ্ট্রী খাতায় প্রত্যেক বত্সরের শুরুতে নতুন সারির সূচনা ক্রমে সকল ভুক্তি ক্রমিক সারিতে সংখ্যাযুক্ত (করিতে) হইবে।

পক্ষগণকে ভুক্তির প্রতিলিপি দিতে হইবে : কোন বিবাহ বা তালাকের রেজিষ্ট্রীকরণ সম্পূর্ন হওয়ার পর নিকাহ নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে খাতায় ভুক্তির সত্যায়িত প্রতিলিপি অর্পণ করিবেন এবং ঐরূপ প্রতিলিপির জন্য কোন খরচ আদায় করা হইবে না।

নিয়ন্ত্রন ও তত্ত্বাবধান : (১) প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক তাহার অফিসের কর্তব্যাবলী নিবন্ধকের অধীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে পালন করিবেন।
(২) মহা-নিবন্ধন পরিদর্শক সকল নিকাহ নিবন্ধকগণের অফিসের উপর সাধারণ অধীক্ষণ চালাইবেন।

অনুজ্ঞাপত্রের সংহরণ ও নিলম্বন : যদি সরকার বিশ্বাস করেন যে, নিকাহ নিবন্ধক তাহার কর্তব্যাবলী পালনে কোন অসদাচনের জন্য দোষী অথবা তাহার কর্তব্যাবলী পালনে অনুপযুক্ত বা দৈহিকভাবে অক্ষম, তাহা হইলে সরকার লিখিত আদেশবলে তাহার অনুজ্ঞাপত্র সংহরণ করিতে পারেন, অথবা আদেশের যেরূপ বিনির্দিষ্ট করা হইতে পারে সেরূপ অনধিক দুই বত্সর মেয়াদের জন্য তাহার অনুজ্ঞাপত্র নিলম্বিত করিতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোন আদেশ প্রদান করা হইবে না যদি নিকাহ নিবন্ধককে কেন ঐরূপ আদেশ প্রদান করা হইবে না উহার কারণ প্রদর্শনের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করা হয়।

রেজিষ্ট্রী খাতাসমূহের হেফাজত : প্রত্যেক নিকাহ নিবন্ধক ৮ ধারা অনুযায়ী তত্কর্তৃক রক্ষিত প্রত্যেকটি রেজিষ্ট্রী খাতা নিরাপদে রাখিবেন যতক্ষণ না উহা সম্পূর্ণ হয় এবং তিনি সংশ্লিষ্ট জিলা ত্যাগ করিলে বা অনুজ্ঞাপত্র ধারণ করা বন্ধ করিলে তখনই বা তত্পূর্বে নিরাপদ হেফাজতের জন্য নিবন্ধকের নিকট উহা হস্তান্তর করিবেন।

রেজিষ্ট্রী খাতাসমূহ পরিদর্শন : যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফি, যদি থাকে, প্রদানক্রমে নিকাহ নিবন্ধকের বা নিবন্ধকের অফিসে সেখানে রক্ষিত যে কোন রেজিষ্ট্রী খাতা পরিদর্শন করিতে পারেন অথবা উহাতে কোন ভুক্তির প্রতিলিপি পাইতে পারেন।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা : (১) সরকার অফিসিয়াল গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আইনের উদ্দেশ্যাবলী কার্যকরী করিবার জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারেন।
(২) বিশেষ করিয়া এবং পূর্ববর্তী ক্ষমতার সাধারণত্বের হানি না করিয়া উক্ত বিধিমালা-
(ক) যে ব্যক্তিদেরকে ৪ ধারার অধীনে অনুজ্ঞাপত্র মঞ্জুর করা যাইতে পারে তা যাদের জন্য আবশ্যক যোগ্যতা সম্পর্কে, (খ) বিবাহ বা তালাক রেজিষ্ট্রীকরণের জন্য নিকাহ নিবন্ধককে প্রদেয় কি সম্পর্কে,
(গ) বিধি প্রণয়ন আবশ্যক এমন অন্য যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিধান করিতে পারে।
১৫। ১ঌ৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের (১ঌ৬১ সনের ৮অর্ডিন্যান্স) সংশোধন :
১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের,
(ক) ৩ ধারার (১) উপ-ধারায় কমা ও শব্দাবলী এবং মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণ শুধুমাত্র ঐ সকল বিধানাবলী অনুযায়ী সংঘটিত হইবে বাদ যাইবে।
(খ) ৫ ধারা বাদ যাইবে। (গ) ৬ ধারার (১) উপ-ধারায় এই আইনের অধীন শব্দসমূহের পরিবর্তে ১ঌ৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রীকরণ) আইনের (১ঌ৭৪ সনের ৫২ নম্বর আইন) অধীন শব্দসমূহ, কমা, অংক ও বন্ধকী বসিবে।

নিরসন : ১৮৭৬ সনের মুসলিম তালাক রেজিষ্ট্রীকরণ আইনের (১৮৭৬ সনের ১ নং বেঙ্গল আইন) এতদ্বারা নিরসন করা হইল।
বিদ্যমান নিকাহ নিবন্ধকগণ সম্পর্কিত বিধান : এই আইনের প্রারম্ভের পূর্বে ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের (১৯৬১ সনের ৮) অধীনে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত সকল নিকাহ নিবন্ধকগণ এই আইনের অধীনে নিকাহ নিবন্ধক হিসাবে অনুজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

মুসিলম বিবাহ আইন (১৯৩৯ সালের ৮নং আইন) [ ১৯৩৯ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে গভর্ণর-জেনারেলের সম্মতিপ্রাপ্ত ] [ মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আণীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থাবলীর একত্রীকরণ ও পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে প্রণীত অ্যাক্ট ]।
যেহেতু, মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আনীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থা একত্রীকরণ ও উহাদের পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে, এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভব করা যাইতেছে, সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নলিখিত আইন পাশ করা হইতেছে :
(ক) সংক্ষিপ্ত শিরোনামঃ অত্র আইনকে ১৯৩৯ সালের মুসলমান বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে।
(খ) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।

বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রির হেতুবাদঃ নিম্নলিখিত যে কোন এক বা একাধিক হেতুবাদে মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা কোন মহিলা তাহার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ডিক্রি লাভের অধিকারিণী হইবেন, যথাঃ
i) চার বছর যাবত্‍ স্বামী নিরুদ্দেশ হইলে;
ii) স্বামী দুই বত্সছর যাবত্‍ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দানে অবহেলা প্রদর্শন করিলে অথবা ব্যর্থ হইলে;
ii-ক) স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ব্যবস্থা লঙ্খন করিরা অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে;
iii) স্বামী সাত বত্সার বা তদুর্ধ্ব সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হইলে;
iv) স্বামী কোন যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত তিন বছর যাবত্‍ তাহার দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে;
v) বিবাহকালে স্বামীর পুরুষত্বহীনতা থাকিলে এবং উহা বর্তমানেও চলিতে থাকলে;
vi) দুই বছর যাবত্‍ স্বামী পাগল হইয়া থাকিলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে কিংবা ভয়ানক ধরণের উপদংশ রোগে ভুগিতে থাকলে;
vii) আঠার বত্সরর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তাহাকে তাহার পিতা অথবা অন্য অভিভাবক বিবাহ করাইয়া থাকিলে এবং উণিশ বত্সiর বয়স পূর্ণ হইবার পূর্বেই সে উক্ত বিবাহ অস্বীকার করিয়া থাকিলে; তবে, অবশ্য ঐ সময়ের মধ্যে যদি দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত না হইয়া থাকে;
viii) স্বামী তাহার (স্ত্রীর) সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করিলে, অর্থাত্
ক) অভ্যাসগতভাবে তাহাকে আঘাত করিলে বা নিষ্ঠুর আচরণ দ্বারা, উক্ত আচরণ দৈহিক পীড়নের পর্যায়ে না পড়িলও, তাহার জীবন শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছে এমন হইলে;.
খ) স্বামীর দূর্নাম রহিয়াছে বা কলঙ্কিত জীবন যাপন করে এমন স্ত্রীলোকদের সহিত মেলামেশা করিলে, অথবা
গ) তাহাকে দূর্ণীত জীবন যাপনে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিলে, অথবা
ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করিলে অথবা উহার উপর তাহার বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান করিলে, অথবা
ঙ) তাহার ধর্মীয় কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করিলে, অথবা
চ) একাধিক স্ত্রী থাকিলে, সে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায়পরায়নতার সহিত তাহার সঙ্গে আচরণ না করিলে;
ix) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বৈধ হেতু হিসাবে স্বীকৃত অন্য যে কোন কারণেঃ
তবে অবশ্য-
ক) কারাদন্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩ নং হেতু বাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না,
খ) ১ নং হেতুবাদে প্রদত্ত ডিক্রিটি উহার প্রদানের তারিখ হইতে ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকরী হইবে না এবং স্বামী উক্ত সময়ের মধ্যে স্বয়ং অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কো এজেন্টের মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া এই মর্মে যদি আদালতকে খুশী করিতে পারে যে, দাম্পত্য কর্তব্য পালনে প্রস্তুত রহিয়াছে, তাহা হইলে আদালত ডিক্রিটি রদ করিবেন; এবং
গ) ৫ নং হেতুবাদে ডিক্রি প্রদানের পূর্বে, স্বামীর আবেদনক্রমে আদালতের আদেশের এক বত্স রের মধ্যে যে পুরুষত্বহীনতা হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে বা তাহার পুরুষত্বহীনতার অবসান ঘটিয়াছে এই মর্মে আদালতকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য আদালত তাহাকে আদেশ দান করিতে পারেন এবং যদি সে উক্ত সময়ের মধ্যে আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারে, তাহা হইলে উক্ত হেতুবাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না।
স্বামীর ঠিকানা জানা না থাকিলে তাহার উত্তরাধিকারীগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে যে মামলায় ২ ধারায় (১) উপ-ধারা প্রযোজ্য, সেখানে-
ক) আর্জিতে ঐ সমস্ত লোকের নাম-ঠিকানা লিখিতে হইবে যাহারা আর্জি পেশ করিবার সময় স্বামী মারা গেলে মুসলিম আইনে স্বামীর উত্তরাধিকারী হইতেন;
খ) ঐ ধরণের ব্যক্তিগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে, এবং
গ) উক্ত মামলায় ঐ সকল ব্যক্তির বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে।
তবে অবশ্য ম্বামীর চাচা ও ভাই থাকিলে উহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও উহাদিগকে অবশ্যই পক্ষভূক্ত করিতে হইবে।

ধর্মান্তরের ফলঃ কোন বিবাহিতা মুসলমান মহিলা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিলে অথবা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহন করিলে উহাতেই তাহা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিবে না। তবে, অবশ্য এই জাতীয় ধর্ম ত্যাগ বা অন্য ধর্ম গ্রহণের পর মহিলাটি ২ ধারায় বর্ণিত অন্য কোন হেতুবাদে তাহার বিবাহ বিচ্ছিদের জন্য ডিক্রি গ্রহণের অধিকারিণী হইবেনঃ আরও এই যে, অত্র ধারার ব্যবস্থাবলী ঐ মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যে কোন ধর্ম হইতে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হইয়াছিল এবং বর্তমানে স্বীয় পুরাতন ধর্মে পুনরায় দীক্ষা গ্রহণ করিল।
দেহমোহরের অধিকার ক্ষুন্ন হইবে নাঃ অত্র আইনে সন্নিবেশিত কোন কিছুই কোন বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে মুসলিম আইন অনুযায়ী তাহার প্রাপ্ত দেনমোহর অথবা উহার কোন অংশের উপর তাহার কোন অধিকারকেই ক্ষুন্ন করিবে না।
৬। ১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারাটিকে এতদ্বারা বাতিল ঘোষণা করা হইল [ ১৯৪২ সালের ২৫ নং এ্যাক্ট দ্বারা বাতিল ঘোষিত হয় ]

মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৬১ [১৯৩৯ সালের ৮নং আইন]
——————————————————————–
ধারা -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রয়োগযোগ্যতার সীমা )
(১) অত্র আইন মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন, ১৯৩৯ নামে পরিচিত হইবে ।
(২) ইহা সমস্ত বাংলাদেশে কার্যকর হইবে ।
(৩) বিবাহবিচ্ছেদ ও ডিক্রি লাভের কারণসমূহঃ মুসলিম আইন অনুসারে কোনো বিবাহিতা স্ত্রীলোক নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কারণে তাহার বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি পাওয়ার অধিকারণী হইবে ।যথাঃ
(১) চার বত্সবরকাল পর্যন্ত স্বামী নিখোঁজ;
(২) দুই বত্সরকাল পর্যন্ত স্বামী তাহাকে ভরণপোষণ প্রদানে অবহেলা করিয়াছে বা ব্যর্থ হইয়াছে ।

ধারা-২ (বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির কারণসমূহ )
(১) ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের বিধান অমান্য করিয়া স্বামী অপর কোনো স্ত্রী গ্রহণ করিয়াছে;
(২) সাত বত্সর বা ততোধিক সময়ের জন্য স্বামী কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছে;
(৩) যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত স্বামী তিন বত্সরকাল যাবত তাহার বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছে;
(৪) বিবাহের সময় স্বামী পুরুষত্বহীন ছিল এবং তাহার ঐরূপ অবস্থা অব্যাহত আছে;
(৫) দুই বত্সর পর্যন্ত স্বামী অপ্রকৃতিস্থ রহিয়াছে বা কুষ্ঠরোগ অথবা মারাত্মক যৌন রোগে ভুগিতে থাকে;
(৬) বয়স ১৬ বত্সর পূর্ণ হইবার আগে তাহাকে তাহার বাবা অথবা অন্য কোনো অভিভাবক বিবাহ দিয়াছে ও বয়স ১৮ বত্সর পূর্ণ হইবার আগে সে (স্ত্রীলোক) উক্ত বিবাহ নাকচ করিয়াছে । শর্ত থাকে যে, বিবাহে যৌনমিলন ঘটে নাই ।
(৭) স্বামী-স্ত্রীর সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করে; যেমন-
(ক) তাহাকে স্বভাবতঃই আক্রমণ করে বা নিষ্ঠুর আচরণের মাধ্যমে তাহার জীবন দুর্বিসহ করিয়া তোলে যদি ঐরূপ আচরণ শারীরিক নির্যাতন নাও হয়; বা
(খ) খারাপ চরিত্রের নারীগণের সঙ্গে থাকে অথবা ঘৃণ্য জীবনযাপন করে; বা
(গ) তাহাকে নৈতিকতাহীন জীবনযাপনে বাধ্য করিতে চেষ্টার করে; বা
(ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করে বা উক্ত সম্পত্তিতে তাহার আইনসঙ্গত অধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে; বা
(ঙ) তাহাকে তাহার ধর্ম বিশ্বাস অথবা ধর্ম চর্চায় বাধা প্রদান করে; বা
(চ) যদি তাহার একাধিক স্ত্রী থাকে তবে কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী সে তাহার সহিত ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার না করে;
(৮) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের নিমিত্ত বৈধ বলিয়া স্বীকৃত অপর কোন কারণে শর্ত থাকে যে-
(ক) কারাদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩নং উপধারায় বর্ণিত কারণে ডিক্রি দেওয়া হইবে না;
(খ) ১নং উপধারায় বর্ণিত কারণে উহার তারিখ হইতে ছয় মাস কাল পর্যন্ত কার্যকর হইবে না; এবং স্বামী যদি উক্ত সময় মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া আদালতকে সন্তোষজনক উত্তর দেয় যে সে দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত আছে তবে আদালত উক্ত ডিক্রি নাকচ করিবেন;
(গ) ৫নং উপধারায় বর্ণিত কারণে ডিক্রি দেওয়ার আগে আদালত স্বামীর আবেদনক্রমে তাহাকে আদেশ প্রদান করিতে পারেন যে, অত্র আদেশের তারিখ হইতে ১ বত্সরকালের মধ্যে সে আদালতের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণ করিতে হইবে যে, সে পুরুষত্বহীনতা হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছে; এবং যদি স্বামী উক্ত সময় মধ্যে ঐরূপে আদালতকে সন্তুষ্ট করিতে পারে তবে উক্ত কারণে কোনো ডিক্রি দেওয়া হইবে না ।

ধারা-৩ (নিরুদ্দেশ স্বামীর উত্তরাধিকারদের উপর নোটিশ প্রদান )
২নং ধারার ১নং উপধারার প্রযোজ্য মামলায়-
(ক) আরজি দাখিল করিবার তারিখে স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটিত তবে মুসলিম আইন অনুসারে যাহারা তাহার উত্তরাধিকারী হইতে তাহাদের নাম, ঠিকানা আরজিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে;
(খ) ঐরূপ ব্যক্তিগণের উপর মামলার নোটিশ জারি করিতে হইবে; এবং
(গ) উক্ত মামলার শুনানিতে তাহাদের বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে;
শর্ত থাকে যে, যদি স্বামীর কোনো চাচা এবং ভাই থাকে তবে সে অথবা তাহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও মামলায় পক্ষভুক্ত হইবে ।

ধারা -৪ ( অন্য ধর্ম গ্রহণের পরিণতি )
বিবাহিতা মুসলিম মহিলা ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ অথবা উক্ত ধর্ম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করিলে সেইজন্য তাহার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে না ।শর্ত থাকে যে, ঐরূপ ধর্ম ত্যাগ অথবা অন্য ধর্ম গ্রহণ করিবার পর উক্ত নারী ২ ধারায় উল্লেখিত যেকোন কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি পাওয়ার অধিকারিণী হইবে ।আরও শর্ত থাকে যে, কোনো বিধর্মী মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিবার পর পুনরায় তাহার পূর্বে ধর্মে ফিরিয়া আসিলে অত্র ধারার বিধানসমূহ তাহার প্রতি প্রযোজ্য হইবে না ।

ধারা-৫ ( দেনমোহরের অধিকার খর্ব করিবে না )
অত্র আইনে বর্ণিত কোনো কিছু মুসলিম আইন অনুসারে বিবাহিতা কোনো মহিলার প্রাপ্য দেনমোহর অথবা উহার কোনো অংশের অধিকার তাহার বিবাহবিচ্ছেদ কতৃর্ক প্রভাবিত হইবে না ।

ধারা-৬ (১৯৩৭ সালের ১৬নং আইনের ৫ ধারা বাতিল )
১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরীয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারা বাতিল ।
তথ্য সূত্র : জনগূরুত্বপূর্ণ আইন, লেখক- ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া ।
পারিবারিক আদালত বিধিমালা, ১৯৮৫

১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশের ২৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন; যথাঃ বিধি -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম )
এই বিধিমালা ‘পারিবারিক আদালত বিধিমালা, ১৯৮৫’ নামে অভিহিত হইবে ।
বিধি-২ ( সংজ্ঞাসমূহ )
অত্র বিধিমালা বিষয়ে অথবা প্রসঙ্গে বিপরীত কিছু না থাকিলে-
(ক) ‘ফরম’ বলিতে অত্র বিধিমালার সঙ্গে সংযুক্ত ফরমকে বুঝাইবে ।
(খ) ‘অধ্যাদেশ’ বলিতে পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ১৮নং আইন)-কে বুঝাইবে ।
বিধি -৩ (মামলার রেজিস্ট্রি বই)
কোনো আপিল জেলা জজের আদালতে দায়ের করা হইলে উহার বিবরণ ‘খ’ ফরমে রক্ষিতব্য রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি-৪ (আপীলের রেজিস্ট্র বই )
কোনো আরজি পারিবারিক আদালতে দায়ের করা হইলে উহার বিবরণ খ ফরমে রক্ষতব্য রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি -৫ ( ডিক্রির ফরম )
অত্র অধ্যাদেশের প্রত্যেক মামলার রায় প্রদানান্ত ‘গ’ ফরমে ডিক্রি লিখিতে হইবে ও ভারপ্রাপ্ত জজ উহাতে দস্তখত দিতে হইবে ও ডিক্রি পারিবারিক আদালতের সীলমোহর যুক্ত হইবে ।
বিধি-৬ (জরিমানার রসিদের ফরম)
যেক্ষেত্রে অত্র অধ্যাদেশের ১৮ অথবা ১৯ ধারা মোতাবেক কোনো জরিমানা প্রদান করা হয় বা অত্র অধ্যাদেশের আওতায় পারিবারিক আদালত কোনো অর্থ অথবা সম্পত্তি জমা নেয় অথবা আদায় করে সেক্ষেত্রে ‘ঘ’ ফরমে রসিদ প্রদান করিতে হইবে এবং উহা ক্রমিক নম্বর যুক্ত হইতে হইবে ও উহার চেকমুড়ি পারিবারিক আদালতে রক্ষিত হইবে ।
বিধি -৭ (জরিমানা ইত্যাদির রেজিস্ট্রি বই )
পারিবারিক আদালত কতৃর্ক জমা নেওয়া অথবা আদায়কৃত এবং ব্যয়কৃত সমস্ত জরিমানা, অর্থ অথবা সম্পত্তি ‘ঙ’ ফরমে কোনো রেজিস্ট্রি হইতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
বিধি -৮ (পক্ষের উপর নোটিশ )
যদি পারিবারিক আদালত কোনো পক্ষের প্রাপ্য কোনো অর্থ গ্রহণ করেন তবে পারিবারিক উহা পাওয়ার পক্ষের প্রতি নোটিশ জারি করাইবেন ও উক্ত পক্ষকে উহা গ্রহণের নিমিত্ত তাহার দরখাস্তের ৭ দিনের ভিতর উহা প্রদান করিবেন ।
বিধি -৯ (পারিবারিক আদালতের রেকর্ডসমূহ এবং রেজিস্ট্রি বই )
দেওয়ানী আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুপ্রীম কোর্টের বিধিসমূহ অনুযায়ী যথাবিধানকৃত সময়ের নিমিত্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে ।
বিধি -১০ (রেকর্ডসমূহ ও উহা পরিদর্শন)
(১) বিরোধের কোনো পক্ষের দরখাস্তের ভিত্তিতে পারিবারিক আদালত চল্লিশ পয়সা ফী প্রদানের পর বিরোধ বিষয়ক পারিবারিক আদালতের রেকর্ডসমূহ পরিদর্শনের অনুমতি দিবেন।
(২) মামলার কোনো পক্ষের দরখাস্তের ভিত্তিতে প্রতি একশত চল্লিশ অথবা উহার অংশবিশেষ শব্দের নিমিত্ত চল্লিশ পয়সা হারে ফী প্রদানের পর পারিবারিক আদালত উহার রায়, ডিক্রি অথবা আদেশের অথবা অপরাপর কার্যক্রমের অথবা অত্র বিধিসমূহ অনুযায়ী রক্ষিত কোনো রেজিস্ট্রি বইতে অন্তর্ভুক্তির অথবা ইহাদের কোনো অংশ বিশেষের প্রত্যায়িত প্রতিলিপি সরবরাহ করিতে হইবে ।
বিধি-১১ ( পারিবারিক আদালতের সীলমোহর )
(১) প্রতিটি পারিবারিক আদালতের অফিসে উক্ত আদালতের সীলমোহর রাখিতে হইবে এবং উহা আকারে বৃত্তাকারে হইবে ও পারিবারিক আদালত এবং স্থানের নাম থাকিবে ।
(২) অত্র অধ্যাদেশ অথবা বিধিমালার অধীনে দেওয়া সমস্ত সমন, আদেশ, ডিক্রি প্রতিলিপি এবং অপরাপর কাগজপত্রে পারিবারিক আদালতের সীলমোহর ব্যবহার করিতে হইবে ।

মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা, ১৯৬১
————————————————-
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ১১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নলিখিত বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন; যথা
বিধি -১ : অত্র বিধিমালা ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন বিধিমালা নামে অভিহিত হইবে ।
বিধি -২ : অত্র বিধিমালার বিষয়ে অথবা প্রসঙ্গে বিপরীত কোনো কিছু বর্তমানে থাকিলে-
(ক) ”চেয়ারম্যান” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে সেইরূপ একই অর্থ বুঝাইবে;
(খ) ”ফরম” বলিতে অত্র বিধিমালার সহিত সংযুক্ত ফরমকে বুঝাইবে;
(গ) ”স্থানীয় এলাকা” বলিতে কোনো পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকাকে বুঝাইবে;
(ঘ) ”মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে তেমন একই অর্থ বুঝাইবে;
(ঙ) ”অধ্যাদেশ” বলিতে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (১৯৬১ সালের ৮নং আইন)-কে বুঝাইবে;
(চ) ”পৌরসভা” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে তেমন একই অর্থ বুঝাইবে;
(ছ) ”ধারা” বলিতে অধ্যাদেশে কোন ধারাকে বুঝাইবে; এবং
(জ) ”ইউনিয়ন পরিষদ” বলিতে অধ্যাদেশে যেমন সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে সেইরূপ একই অর্থ বুঝাইবে ।
বিধি-৩ : ধারার গ, ঘ অথবা চ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে কথিত বিষয়ে যে পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের আওতা বা এখতিয়ার থাকিবে তাহা নিম্নবর্ণিত রূপ হইবে :
(ক) ৬ ধারার ২ উপধারার দরখাস্তের বেলায় ইহা সেই পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হইবে যেখানে বর্তমান স্ত্রী অথবা যেক্ষেত্রে একাধিক স্ত্রী বর্তমান, সেইক্ষেত্রে যে স্ত্রীর সহিত স্বামী সImage

ধর্ষন ও ধর্ষনের কারন এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে আপনার আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা


ধর্ষণ: সাধারন ভাবে ধর্ষন বলতে বুঝায়নারী বা পুরুষ যে কোন একজনের অমতে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে। তবে আমরা যে সমাজে বাস করি তার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষনের শিকার শুধুমাত্র নারীরা। কিন্তু আমাদের এই ধারণা পুরোপুরিভাবে ধর্ষণ’-কে সংজ্ঞায়িত করে না। দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ’-কে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা হলোঃ
যদি কোন পুরুষ নিম্নবর্ণিত পাঁচ প্রকারের যে কোন অবস্থায় কোন নারীর সাথে যৌন সহবাস করে তবে সে ব্যক্তি নারী ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে-
১. কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা
২. কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া অথবা
৩. কোনো নারীকে মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতের ভয় দেখিয়ে সম্মতি দিতে বাধ্য করলে অথবা
৪. নাবালিকা অর্থাৎ ১৬ বছরের কম বয়স্ক শিশু সম্মতি দিলে কিংবা না দিলে (সে যদি নিজ স্ত্রীও হয়) অথবা
৫. কোনো নারীকে বিয়ে না করেই ব্যক্তিটি তার আইনসঙ্গত স্বামী এই বিশ্বাস দিয়ে যদি কোনো পুরুষ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে আইনের ভাষায় ধর্ষণ বলা হবে 

এখানে উল্লেখ্য যেঅনুপ্রবেশই নারী ধর্ষণের অপরাধ রূপে গণ্য হবার যোগ্য যৌনসহবাস’ অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ দন্ড বিধি ধারা -৩৭৫ জাতীয় ই-তথ্যকোষ

ধর্ষনের কারনঃ
খুব অল্প কথায় ধর্ষনের কারন বিশ্লেষন করা খুবই দুরহ একটি ব্যাপারতারপরও যদি বলতে যাই তাহলে বলতে হবেধর্ষণ একটি মানসিক বিকৃতি। একজন মানুষের মনুষ্যত্ব যখন শূন্যের কোঠায় চলে আসে তখনই সে ধর্ষন নামক একটি পৈচাশিক অপরাধ করে

তবে পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে বিভিন্নভাবে নানা সময়ে ধর্ষনের জন্য ঘুরে ফিরে কেবলমাত্র মেয়েদেরকেই দায়ী করা হয়। এই ক্ষেত্রে মূল যে কারনটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বলে প্রতিয়মান তা হচ্ছে মেয়েদের শালীন পোষাক পড়ার অন্তরায়। অনেকেই এই কারনটি দৃঢ় ভাবে সমর্থন করেন। যারা এই কারনটি মানেনতারা মনে করেনমেয়েরা হচ্ছে আগুনের মত এবং ছেলেদের যৌনসংযম অনেকটা মোমের মত। মোম যেমন আগুনের সংস্পর্শে আসলেই গলে যায় তেমনি অশালীন পোষাক পরা একজন নারীর সামনে একজন পুরুষ আসলে তারও ভদ্রবেশী মুখোশ গলে গিয়ে কামনাময় চেহারা বের হয়ে আসে। ফলে এই কামনাবৃত্তি মেটাতে গিয়েই ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটে। তারা কিন্তু আবার নীতিগত ভাবে ধর্ষন সমর্থন করেন না

আবার আর একপক্ষ আছেন যারা মনে করে থাকেননারী ধর্ষনের জন্য কেবল মাত্র পুরুষদের অতি কামনাময় চরিত্র এবং অতি সংবেদশীল একটি শারীরিক অংগই দায়ী। একজন নারীর অধিকার আছে তার ইচ্ছামাফিক পোষাক পরার। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পুরুষরা একজন যৌনাবেদনময়ী নারীর দিকে চোখ নামিয়ে বা কামহীন দৃষ্টিতে তাকানো বন্ধ করতে পারে না দেখে তাদের দু পায়ের মাঝখানে একপায়া বিশিষ্ট তাবু সংক্রান্ত একটি সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং এই থেকে মুক্তি লক্ষ্যে পুরুষরা ধর্ষন করে থাকেন

প্রিয় পাঠক ( পড়ুন সচেতন পাঠক)ধর্ষনের এই সামগ্রিক বিশ্লেষন গত বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ব্লগে ফেসবুকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে আলোচিত হতে দেখেছি। আর প্রতিবারই আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি কিছু গুনী মানুষের এহেন ব্লগীয় বিশ্লেষনে। সত্যি বলতে যে সমাজের এক অংশে এই ধরনের ধারনা প্রচলিত থাকে সেখানে নতুন করে ধর্ষনের কারন খোঁজাটা সত্যি খুবই দূরহ এবং কঠিন একটি ব্যাপার। কারন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত ধারনা ভেঙে নতুন একটা ধারা সৃষ্টি করা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করিধর্ষনের মূল কারন হচ্ছে কোন ব্যক্তির মানসিক বিকৃতিপারিবারিক শিক্ষার অভাবসামাজিক সচেতনতানারীপুরুষের সম অধিকারের অপব্যবহার এবং সর্বপরি আইনের শাসনের প্রয়োগ না হওয়া

দেখুন একজন মানুষ হিসেবে একজন নারী বা পুরুষ অবশ্যই তার ইচ্ছেমাফিক পোষাক পড়তে পারে। এটা তার অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার। তবে তিনি কিভাবে এই অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রয়োগ কিভাবে করছেন সেটা বিবেচনার বিষয়। যেমন ধরুনআপনি প্রকাশ্যে কোন মূল্যবান জিনিস প্রদর্শন করে নিয়ে যেতেই পারেন। এটা আপনার নাগরিক অধিকার। সেই সাথে আপনার সেই মূল্যবান জিনিসকে সঠিক নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার গন্ত্যবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আপনার সচেতনতা এবং দায়িত্ব। এখন কোন কারনে নিরাপত্তাজনিত কোন সমস্যায় আপনি যদি আপনার মূল্যবান জিনিসটি হারিয়ে ফেলেনতাহলে রাষ্ট্র যেমন দায়ী হবে তেমনি সচেতনতার অভাবে আপনিও কম দায়ী হবেন না। তখন যদি আপনি এক তরফা ভাবে রাষ্ট্রকে দায়ী করেন তাহলে সেটা খুব বেশি গ্রহন যোগ্য হবে না

আমি মনে করি পোষাকআচরন ইত্যাদি ক্ষেত্রে শালীনতার যে বিষয়টি বার বার বলা হচ্ছে তা মূলত শুধু কোন এক পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট নয়। বরং শালীনতা একটি সার্বজনীন ব্যাপার। নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি সমান ভাবে প্রযোজ্য। যারা শুধু মাত্র নারীর পোষাককে ধর্ষনের জন্য দায়ী করেন তারা সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে। শুধুমাত্র অশালীন পোষাকের কারনে ধর্ষন – কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। যারা এমনটা ভাবেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধভাই আপনারা বিদেশে কখনও যদি যান (উচ্চ শিক্ষা ও বেড়ানো) তাহলে দয়া করে শুধু মাত্র আফগানিস্থানসৌদি আরব কিংবা মরুভূমি অঞ্চলে যাবেন। কারন অন্য কোন সভ্য দেশে গেলে আপনি এই অশালীন পোষাক দেখে দেখে নিজেও একজন ধর্ষক হয়ে যেতে পারেন। এমনিতে নিজের দেশে ধর্ষনের ব্যাপারে বড়ই বিব্রত অবস্থানে আছিতার উপর যদি আবার বিদেশে (ভারতে তো অবশ্যই নাটিভি চ্যানেলে বিভিন্ন ভারতীয় নায়িকার কামুক পোষাক দেখে সেখানে গেলে আপনারা ভারতে যে কি ভয়াবহ কান্ড ঘটাবেন তা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে) গিয়ে কেউ ধরা খান তাহলে জাতির মান ইজ্জত সবই যাবে

আমাদের দেশের মেয়েরা কি খুব অশালীন কাপড় পড়ে ? উত্তর নাআমাদের দেশের মেয়েরা খুব বেশি একটা অশালীন পোষাক পড়ে নাতথ্য প্রযুক্তির সাথে সাথে গত দশকে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছি তাতে বাংলাদেশী মেয়েরা যদি সেলোয়ার কামিজ ছেড়ে শর্ট স্কার্ট এবং আটসাটো টপস পড়ে রাস্তায় ঘুরতো তাতে অবাক হবার কিছু ছিল না। কিন্তু অধিকাংশ মেয়েই তারা তাদের পারিবারিক এবং সামাজিক রক্ষনশীলতার ব্যাপারটিকে মর্যাদা দিয়েছেন। তারা বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন যতটা না জড়তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন অন্তত পোষাকের দিক দিয়ে এখন ততটা এগিয়ে যেতে পারেনি। তাই তাদের পোষাক এখনও অনেক মাত্রায় শালীন। তবে একজন বিকৃত মনের মানুষ কি দেখে কামনা অনুভব করবে তা নির্ধারন করা আসলেই একটি কঠিন একটি ব্যাপার। আমি এমন অনেককেই চিনি যারা হয়ত মেয়েদের পায়ে নুপুর দেখলেই শিহরিত অনুভব করেন

তবে ব্যতিক্রম যে নেইতা কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। গুটি কয়েক নারী নিজেদের অতি আধুনিক প্রমান করতে গিয়ে অশালীন পোষাকঅন্য নারীদের জন্য অপমানসূচক অপবাদ বয়ে আনছেন এবং তার কারনে সৃষ্ট কামনায় বলী হচ্ছে অন্য আর একজন নিরীহ নারী

ধর্ষনের মূল কিছু কারন হচ্ছে ইভটিজিংঅপসংস্কৃতির প্রভাবমোবাইল পর্ণোগ্রাফি এবং আইনের শাসন প্রয়োগের দূর্বলতা। ইভটিজিং যারা করে তারা যদি সঠিক সময়ে বাধা না পায়বা সংশোধনের সুযোগ না পায় তাহলে তারা পরবর্তীতে ধর্ষক হিসেবে পরিনত হয়। আমাদের দেশে যদিও এখন অনেক সচেতনতা বেড়েছে কিন্তু তারপরও ইভটিসিং বন্ধ করতে না পরলে ধর্ষক বন্ধ হবে না

একটি যৌনাবেদনময়ী মেয়েকে দেখে একজন ছেলের যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই। তারাও একজন যৌনাবেদনময় ছেলেকে দেখে যৌন উত্তেজনায় ভুগতে পারেন। তবে যেহেতু আমাদের দেশে নারীরাই পুরুষদের দ্বারা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছেনিপড়ীত হচ্ছে তাই মেয়েরা তাদের এই যৌনাকাংখা কিভাবে নির্লিপ্ত করে সেটা আপাতর প্রাসংগিক নয়। আমাদের দেশে এখন গ্রামে গঞ্জে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ইদানিং বেশ সহজলভ্য হয়েছে যেমন হয়েছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পর্ন এখন খুবই সহজলভ্য একটি বিষয়। বিশেষ করে গ্রামে গঞ্জে ছেলেপেলেরা মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল পর্নোগ্রাফি দেখছে। তারা দেখেছেকিভাবে মেয়েরা প্রেমের ফাদে পাড়া দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেআবার কিভাবে সেটার ভিডিও ফুটেজ বের করা হয়েছে। তারা এটাও জানে এই সবক্ষেত্রে পুলিশের ভুমিকা ঠুটো জগন্নাথ এর মত। আইন থাকলেও কোন প্রয়োগ নেই। নেই কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদহারনও। ফলে তারা উৎসাহিত হয়ে নারীদেরকে প্রেমের ফাদে ফেলতে চায় আর যদি সফল না হয় তাহলে বিফলে মূল্য ফেরতের মত বিফলে ধর্ষন করে তারা

তাছাড়া আমি মনে করি আমাদের দেশে ধর্ষন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম আরেকটি কারন হলো রুট লেভেলে সঠিক বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকাটা। এখানে বিনোদনের নামে নানা অপসংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে। যেমন কিছুদিন আগেই সিরাজগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম চায়ের দোকানে একটি জিসম’ নামে একটি হিন্দি সিনেমা দেখানো হচ্ছে। শিশু থেকে নিয়ে বৃদ্ধরা পর্যন্ত বসে বসে সিনেমাটি দেখছেন। এই ধরনের সিনেমা অবশ্যই একজন শিশু বা তরুনের সুষ্ঠ মানসিক বিকাশকে ব্যহত করে। তরুনরা বিজাতীয় সংস্কৃতির অনেক কিছুই দেখে প্রলুব্ধ হচ্ছে। অনেকের স্বাভাবিক যৌনবাসনা গুলো রুপ নিচ্ছে অবদমিত কামে। একপর্যায়ে এই অবদমিত কামই তাকে ধর্ষকে পরিনত করছে

ধর্ষন এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটঃ
ধর্ষন পৃথিবীর প্রাচীনত অপরাধগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশও ধর্ষক নামক ঘৃন্য নরপশুদের হাত থেকে মুক্ত নয়। অধিকার নামক একটি মানবঅধিকার সংস্থার প্রতিবেধন অনুযায়ীগত বছরের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসে ৩৩৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ১৫৮ জন নারী ও ১৮০ জন মেয়ে শিশু। ১৫৮ জন নারীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে আর ৬৮ জন গনধর্ষনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর এ পর্যন্ত মোট ধর্ষনের ঘটনা ঘটে ২৪৮টিগনধর্ষন হয় ১১৬টিধর্ষনের পর হত্যা ৮৭টি

তবে এত সব ধর্ষন ঘটনার প্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদগুলো হয়েছে তার প্রায় সবই হয়েছে বিচ্ছিন্ন ভাবে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়ের সাথে সাথে ব্যাপারগুলো ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। যতদূর মনে পড়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে কেবল মাত্র দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষন এবং হত্যা নিয়েই সামাজিক একটি আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু তারপর আরো হাজারখানেক ধর্ষনের ঘটনা ঘটলেও তেমন বড় আকারের তেমন কোন সামাজিক আন্দোলন ঘটে নি

সেইক্ষেত্রে ভারতকে ধন্যবাদ। তাদের সচেতনতা দেখে আমরাও আজকে সচেতন হয়েছি। মিডিয়াতে ধর্ষনের খবর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ফলে আমাদের ব্লগাররা সবাই ব্লগে এবং ব্লগের বাইরে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। দেরীতে হলে অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে

যারা এই বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন করছেন তারা অনেকেই ধর্ষনের শাস্তির হিসাবে একমাত্র মৃত্যুদন্ডের কথা বলেছেন। আমি আইনের লোক নইতবে পোষ্টটি তৈরী করার সময় যে দু চারজন আইনজীবী বন্ধুর সাথে কথা বলেছিতাতে বুঝা গিয়েছে এই সংক্রান্ত একটি কঠোর আইন ইতিমধ্যে প্রনয়ন করা হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত সকল বিচার স্পেশাল ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমেই হয়। আপনাদের জানার সুবিধার জন্য নিচে ধর্ষনের শাস্তির বিধান তুলে দিলাম

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন২০০০(সংশোধনী ২০০৩) অনুসারে শাস্তির বিধান

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) – এর ৯ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের অপরাধের যে সকল শাস্তির বিধান রয়েছে তা হলো:

(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেনতাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷

(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার নিষেধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটেতাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷
(
৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হনতাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-
(
ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেনতাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;
(
খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেনতাহা হইলে ব্যক্তি অনধিক দশ বত্‍‌সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷

(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে নারী ধর্ষিতা হনতাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছেসেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেনতিনি বা তাহারা প্রত্যেকেভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলেহেফাজতের ব্যর্থতার জন্যঅনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷

এছাড়া উল্লেখ্য যেনারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩২ ধারা মতে ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিকেল পরীক্ষা ধর্ষণ সংঘটিত হবার পর যত শীঘ্র সম্ভব সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এতে অবহেলা করলে আদালত চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রেখেছেন
তথ্যসূত্রঃ তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ দন্ড বিধি জাতীয় ই-তথ্যকোষ

আমরা সবাই ধর্ষন নিয়ে কঠিন শাস্তির কথা বলছি। আমরা চাই ধর্ষনের জন্য আরো কঠিন শাস্তির বিধান করা হোকযেমন একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড যদিও প্রচলিত আইনে মোটামুটি কঠোর একটি আইনের বিধান রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে সেই আইনটি প্রয়োগ হয় না। আপাতত ভাবে আপনার আমার সামাজিক দায়িত্ব হলোএই আইন এর প্রয়োগের জন্য জন সচেতনতা সৃষ্টি করা

পাশাপাশি যদি কেউ ধর্ষনের শিকার হন তাহলে তার করনীয় সম্পর্কে ধারনা দেয়া। যেমনঅধিকাংশ সময়ে আমাদের দেশের মেয়েরা ধর্ষনের শিকার হলে তারা প্রথমেই যে কাজটি করেন তা হলো বার বার গোসল করে নিজেকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। অথচ এই কাজটি করলে ফরেনসিক রিপোর্টে যে প্রমান পাওয়া যায় তা মুছে যায়। যদিও ধর্ষনের শিকার হওয়া একটি মেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক ভাবে এতটা শক্ত থাকেন না যে সকল কাজ গুছিয়ে করতে পারবেন। কিন্তু যেহেতু আমরা সচেতনতার কথা বলছিসেখানে এটা অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে হবে। কারন প্রমানের অভাবে অনেক প্রমানিত ধর্ষকই পার পেয়ে যায়

আমাদেরকে বুঝাতে হবে একজন ধর্ষিত মেয়ের কোন অপরাধ নেইতিনি অপরাধের শিকার হয়েছেন এবং সমাজ তার পাশেই আছে। যদি তিনি তাৎক্ষনিক কোন সহায়তা পানতাহলে তার শরীর এবং পোষাক থেকেই অপরাধী সনাক্তকরন এবং প্রমানের জন্য যথাযথ আলামত সংগ্রহ করা যাবে। সেই ক্ষেত্রে তিনি যেন কোন ভাবেই পানি দিয়ে বা পোষাক পরিবর্তন করে আলামত গুলো নষ্ট না করেন। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা একজন নির্যাতিত নারীর পরিচয় গোপন রেখেই তাকে ন্যায় বিচারধর্ষন পরবর্তী শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা এবং আইনগত সুবিধা দেয়ার কাজ করতে পারে। এই ক্ষেত্রে মায়া ভয়েস এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে

আইন ও শালিস কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এরা এমন একটি সংস্থা যারা গত ২০ বছর ধরে যারা মানবাধিকার এবং এ সম্পর্কিত আইনী সহয়তা নিয়ে কাজ করছে

হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড ডায়াসপোরা ফিলানথ্রোপি অর্গানাইজেশন আছে নাম দৃষ্টিপাত এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। এছাড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা একজন নির্যাতিত নারীকে ন্যয় বিচার এর জন্য সাহায্য করতে পারে

আমাদের মনে রাখা উচিত ধর্ষনের প্রতিবাদ করা যেমন আপনার আমার নৈতিক দায়িত্বতেমনি এই সংক্রান্ত সকল আইনের কথাও মানূষকে জানানো আপনার আমার সামাজিক দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করিভার্চুয়াল এবং বাস্তবে দুই খানেই আমাদের সমান ভাবে কাজ করতে হবে। যে যেভাবেই কাজ করি না কেনতার অবদানকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। যারা ব্যক্তিগত কোন কারনে ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও আসতে পারছেন নাতাদের মন খারাপ করার বা হতাস হবার কিছুই নেই। সামাজিক আন্দোলন শুধু রাস্তায় নেমে করলেই হবে না। অনলাইনেও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। তবে যারা সকল বাধা বিপত্তি দূর করে নিজের মধ্যকার জড়তা দূর করে রাজপথে সামাজিক অধিকারের আন্দোলন করছেন তাদের সবাইকে আমার অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা। কারন তারা অগ্রগামী। তারা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবিদার। তবে আমাদের কারো আচরন যেন কখনই কারো সাথে সংঘর্ষিক না হয়। আমাদের আন্দোলন হবে প্রচলিত আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। সেই সাথে একজন ধর্ষনের শিকার নারী কিভাবে সঠিক আইনি পরামর্শ পেতে পারেন বা তার করনীয় কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা

পরিশেষে আমি বলতে চাই আমাদের জীবন যাপন এবং আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার মাপ কাঠি হওয়া উচিত আমাদের সামাজিক সংস্কৃতিআমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধারক ও বাহক। আমরা চাই না কেউ তার ব্যক্তি স্বাধীনতার বা ব্যক্তি অধিকারের অপব্যবহার করুক। আমরা চাই না আমাদের দেশের আর কোন মেয়ে ধর্ষনের শিকার হোক। আমরা চাই না আমাদের দেশের কোন নারী মাথা নিচু করে চলুক। রাস্তায় আতংক নিয়ে চলুক। আমরা চাই নারী পুরুষের সহ অবস্থান এবং তা প্রচলিত সুষ্ঠ ধারার ভিত্তিতেImage

জেলা ও দায়রা এবং চীফ জুদিশিয়াল ,সি।এম। এম আদালতের গারদ খানার বর্তমান অবস্থা January 6, 2013 at 8:42pm

 

 ImageImage

১/ ১ম  গারদ  খানা {সি।এম।এম  আদালতের  পশ্সছিমে)

 

***  গারদ  খানায়  আসামী (পুরুষ /মহিলা) রাখার জন্য  মোট  ১৬  টি  রুম  আছে।রুম  গুলো  ছোট । প্রতিটা  রুমের  সাথে একটি করে টয়লেট  আছে।তাতে  সবসময়  পানি  থাকে না।

 

ক/মহিলা…মহিলা  আসামী  রাখার  জন্য  ৪ টি  রুম  আছে।মহিলা  আসামীর সংখ্যা প্রতিদিন  ২০ জন থেকে  থেকে  ১০০ জন এর  মধ্যে থাকে।

 

খ/ পুরুশ…পুরাতন  ও  নুতুন  আসামী প্রতিদিন ৬০০ থেকে  ৭০০ জন আসামী  রাখা হয়। 

 

মন্তব্বঃ জন্সঙ্খার  তুলনায়  টয়লেটের বাবস্থা  অপর্যাপ্ত

 

 

২/  ঢাকা  জেলা গারদ  খানা(জেলা প্রশাশকের কার্যালয়ের দক্ষিণে  অবস্থিত।এখানে  জুদিশিয়ালের আসামীদের রাখা  হয়)

 

ঢাকায় জেলা গারদ  খানায় বড়   একটি  রুম(৩০/৩৫ ফিটএর মত

ক।।মহিলা/  প্রতিদিন ২ জন থেকে ৪ জন মহিলা  আসামী আসে  ,তাদের গারদ খানার বারান্দায় রাখা হয়।

খ। পুরুশ/  এখানে  প্রতিদিন  ১০ জন থেকে ৫০ জন পুরুশ আসামী রাখা হয়

 

 

*** পুরুষ  ও  মহিলার জন্য  একটি  টয়লেট

 

 

জজ  কোর্টের  গারদ খানায়  আসামী  রাখার জন্য মাঝারী  রাখার জন্য ২ টি  রুম আছে।এখানের  গারদ খানার কোন  টয়লেট  নেই। কোর্টের  পাবলিক  টয়লেটই  আসামীরা ব্যাবহার করে।

 

ক/  মহিলা আসামীর  সংখ্যা  প্রতি দিন ৮ থেকে  ১০ জন ।মহিলা আসামী  দের গারদ  খানায় নেওা হয় না তাদের সরাসরি  কোর্টে  পাথিএয়া দেওা হয়।

খ/  এখানে প্রতি দিন  ৮ জন  থেকে ২০০ জন থেকে  ২৫০  জন  পুরুষ  আসামী  রাখা  হয়। যদি  কোন  কারনে  আসামীর সঙ্খা বেড়ে  যায়  তখন  অতিরিক্ত  আসামী সি।এম ।এম কোর্টের   গারদ  খানায়  পাথিএয়া দেওা হয়

 

খ। আসামী রা  সকাল ৯।০০  তার  সময়  থেকে আসা  শুরু  করে।আগামী বহঙ্কারী সর্বশেষ  গাড়িটি  আদালত  থেকে  বেড়  হয়  সন্ধ্যা  ৭ .৩০  এ  ছেড়ে  যায়।

 

 

মন্তব্বঃ দুখ জনক  হলেও  সত্য  কোন  গারদ খানাই  খাবার পানির  কোন  সু_ বেবস্থা নাই।

 

source;  bangladesh  human rights foundation—BHRF

আজব বঙ্গ আজোব রঙ্গ 15/07/2013 3:40

 

ইমরান  রা  গাড়ী  পুড়ায়
বহাল তবিয়তে  থাকে ,
পুলিশ  রা এদের  পায়ে ধরে
পা চাটতে  থাকে
এরা যখন রাস্তায় বসে 
হয় না জন কষ্ট
কি আজব রঙ দেখ কি আজব বঙ্গ ।

মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে চলে
রাজাকারের বিচারের মুলা আর কতকাল ঝুলাবে?
দেখ কি আজব বঙ্গ রে ভাই  কি আজব রঙ্গ।

মুক্তি যুদ্ধের  চেতনা বেবসায়ী 
দিন তোদের  শেষ ,
সামনে আসছে আমাদের দিন
ভেবে একটু দেখ।
ভোট চাইতে  আসিস তোরা 
বুজবি তোখন মজা
বুজবি তখন জনগণকে  নিয়া 
রঙ্গ  করার সাজা।।

HISTRY: A GLORIOUS HISTORY OF BIKRAMPUR

 
 
 
  • The history of Bikrampur dates back to five thousand years. It is a historical fact that the ancient rulers used to rule the country (Bangla). A.F.M. Abdul Jalil, the author of “Sunder Baneyer Etihash” wrote that the history of ancient Bangla was basically the history of Bikrampur. The noted historian Jogendranath Gupta wrote the history of Bikrampur whose area was three hundred to four hundred square miles. It was actually the history of the entire country (Bangla). When there was no trace of Dhaka city, Bikrampur i.e present Munshiganj district, was the nerve centre of people there. The ancient rulers of Bikrampur administered the country from here. Their capital was sometimes at Rampal, sometimes at Bikrampur, or at Munshiganj. History indicates that there was a Muslim Zaminder in Munshiganj named Haider Ali Munshi after whose name “Munshiganj” has come into being. From one of the writings of Tolemi, it is seen that Edruckpur, i,e Munshiganj’s name, was Bikrampur. Dhaka was called Dacca that was a “Watching Fari”. In his (Tolemi’s) writings he narrated that there was a famous town called “Ganganagar” near Munshiganj, which was engulfed, by the river Barai. Many dynasties ruled Bikrampur such as Buddhist, Hindu and Muslim. Bikrampur saw rise and fall of many dynasties. Here in Bikrampur there were three religious wars among Pals, Senas and Sultans (Muslim rulers). Their names are still unforgettable. It is historically proved that five thousand years ago a mummy of a king of Egypt was discovered where his body was covered with a smooth blue cloth. The blue cloth was exported from Bikrampur.It is stated that many kings of different countries used to bow down their heads and paid homage to reputed sons of Bikrampur and stood up hearing their names. Thousand years ago, Sheel Bhadra, one of the savants of Bikrampur, was born in Munshiganj sadar, at the village Ganakpara. A savant of all times and Buddhist priest, Sreegan Autish Dipankar was born at the village Bajrajogini in Munshiganj Sadar Upazila. He went to China carrying the light of knowledge. He made Bengalis friendship with China thousand years ago. He was invited to China as only one perfect religious reformer. He was treated as a prophet of Buddhism. Benoycor once said without Autish Deepankar “Bangla” would have been a dark place. The world-famous scientist Sir Jagadish Chandra Bose was born in this holy soil. The real patriot, human lover Barrister (C.R. Das) Chittaranjan Das was born in Bikrampur. He was once so modish gentleman that he used to get his dress washed from Paris regularly. Political leader and reputed poetess Mrs. Sarajini Naidu’s ancestral home was in Bikrampur. Justice Chandra Madhab Ghose, chief Justice of the British India, was born here in Bikrampur. Benoy, Badal, Denesh Gupta, rebels of British Government, were born in Bikrampur.
  • A Glorious History of Bikrampur Kazi Liakat Hossain The history of Bikrampur dates back to five thousand years. It is a historical fact that the ancient rulers used to rule the country (Bangla). A.F.M. Abdul Jalil, the author of “Sunder Baneyer Etihash” wrote that the history of ancient Bangla was basically the history of Bikrampur. The noted historian Jogendranath Gupta wrote the history of Bikrampur whose area was three hundred to four hundred square miles. It was actually the history of the entire country (Bangla). When there was no trace of Dhaka city, Bikrampur i.e present Munshiganj district, was the nerve centre of people there. The ancient rulers of Bikrampur administered the country from here. Their capital was sometimes at Rampal, sometimes at Bikrampur, or at Munshiganj. History indicates that there was a Muslim Zaminder in Munshiganj named Haider Ali Munshi after whose name “Munshiganj” has come into being. From one of the writings of Tolemi, it is seen that Edruckpur, i,e Munshiganj’s name, was Bikrampur. Dhaka was called Dacca that was a “Watching Fari”. In his (Tolemi’s) writings he narrated that there was a famous town called “Ganganagar” near Munshiganj, which was engulfed, by the river Barai. Many dynasties ruled Bikrampur such as Buddhist, Hindu and Muslim. Bikrampur saw rise and fall of many dynasties. Here in Bikrampur there were three religious wars among Pals, Senas and Sultans (Muslim rulers). Their names are still unforgettable. It is historically proved that five thousand years ago a mummy of a king of Egypt was discovered where his body was covered with a smooth blue cloth. The blue cloth was exported from Bikrampur.It is stated that many kings of different countries used to bow down their heads and paid homage to reputed sons of Bikrampur and stood up hearing their names. Thousand years ago, Sheel Bhadra, one of the savants of Bikrampur, was born in Munshiganj sadar, at the village Ganakpara. A savant of all times and Buddhist priest, Sreegan Autish Dipankar was born at the village Bajrajogini in Munshiganj Sadar Upazila. He went to China carrying the light of knowledge. He made Bengalis friendship with China thousand years ago. He was invited to China as only one perfect religious reformer. He was treated as a prophet of Buddhism. Benoycor once said without Autish Deepankar “Bangla” would have been a dark place. The world-famous scientist Sir Jagadish Chandra Bose was born in this holy soil. The real patriot, human lover Barrister (C.R. Das) Chittaranjan Das was born in Bikrampur. He was once so modish gentleman that he used to get his dress washed from Paris regularly. Political leader and reputed poetess Mrs. Sarajini Naidu’s ancestral home was in Bikrampur. Justice Chandra Madhab Ghose, chief Justice of the British India, was born here in Bikrampur. Benoy, Badal, Denesh Gupta, rebels of British Government, were born in Bikrampur. Saktiman Shama Kanta, a famous wrestler, was born at village Arial, Tongibari Upazila, Bikrampur. A noted archaeologist Dr. Nalini Kanta Bhatta Shali, Mathematician Somen Chandra Bose, a reputed donor Raja Janakiram Roy Bahadur, Setanath Kundu, Editor “The Punjab Tribune” Herbal Medicine expert Acharja Shirish Chandra Sen, Principal Mathura Mohan Mukharjee were sons of Bikrampur. First Textile Mills founder in the country Debendra Chowdhury and Surja Kumar, Vice-Chancellor of Rabindra Bharati University Savant Khiti Mohan Sen, famous Persian scholar Chand Kha Munshi, Spiritual leader Rowshan Kha, poet Syed Emdad Ali and out of three Muslim post-graduate degree holders Md. Shamsuddin Ahmed Kha (Intu Kha) M.A. 1919 C.U. Prof. Kazi Amir Hossain M.A. 1st class first (Double) 1935 D.U. were the brilliant sons of the soil. In cultural horizon a famous comedian Bhanu Banarjee and noted film actress Shabitri Chaterjee all hailed from Bikrampur. Many other luminaries of Bikrampur have made Bikrampur Pargana a world-reputed land in the world map. The area of Bikrampur was (900) nine hundred square miles, for geographical, political change and river erosion; its area has shrunk to 362 square miles. During 1987-88 floods the area has come down to 300 square miles. In 1874 south Bikrampur was formed taking 458 villages, which is now a part of Faridpur. North Bikrampur is now Munshiganj District. Because of recent administrative decentralization, it comprises six upazilas, namely Munshiganj Sadar, Sreenagar, Tongibari, Shirajdikhan, Lohajung and Gazaria Upazila. Most of us do not know the ancestral home of youngest and reputed poet Sukanta Bhattcharya, who was born in South Bikrampur now Faridpur. His nephew Mr Buddahdeb Bhattcharya is the Chief Minister of West Bengal. A noted Congress Leader of Bikrampur, Dr Praphulla Chandra Ghose, after partition, became Chief Mister of West Bengal. Mahatma Gandhi came to the village Malikanda of Bikrampur having been invited by Praphulla Chandra Ghose. Barrister Shidhartha Sankar Roy who was Chief Minister of West Bengal was also Governor of Punjab. He hails from Bikrampur. He was grandson of Barrister C R Das. Mr Fazlur Rahman, a noted Muslim League leader and central minister of the then Pakistan, was a son of Bikrampur, now Dohar Upazila of village Shinepukur District Dhaka. Mr Shudhir Chandra Ganguli was school teacher, who obtained 1st class in B.A.(hons) in English from Calcutta University during the British period. He was a life long bachelor. He did not take masters degree. It was rumoured that he had fallen in love with the daughter of Barrister C R Das and wanted to marry her, because of Shudhir Chandra Ganguli’s high birth and family status, his family opposed the marriage , because of his failure, with a broken heart he came back to his village home Sheikhernagar and started teaching in a high school.Former IGP A R Khondoker was his student. First Doctorate holder and professor of a European University Dr Nishith Gupta Chatterjee was born in Bikrampur. Another reputed poet, who was called a poet of nature was poet Jibanananda Das, born in Barisal. But his ancestral home was at the village Gawpara, Lauhajung, Bikrampur. Because of river erosion, they had to settle in maternal uncle’s home in Barisal Mr Hari Ananda Barori (H.A. Barori ) was born in the village Shamshiddhi of Sreenagar Upazila in Bikrampur. Althrough a brilliant Mr Barori stood 1st class 1st in economics from Presidency College, Calcutta. He had taken the degree three years before Mr Amarta Sen won the Nobel prize in economics. Mr. Sen’s ancestral home was in Manikgonj and his maternal uncles’s home was at the village Sonarong Tongibari upazila in Bikrampur. He (Mr. Barori) wrote a famous book ‘In Sun & Shower”.The book was dedicated to the memory of his parents whose thinking and life style represented the highest traditions of Bikrampur. The main significance of this village was its skyhigh obelisk (Math) which was called Shamshiddhi’s Math. The writer compared it with Kutub Minar of Delhi. Another Golden son of the soil was Mr Khitimohon Sen who was Vice Chancellor of Rabindra Bharati University. His nephew Satyen Sen was a famous writer, communist leader and founder of “Udichi Shilpi Goshthi ” a reputed cultural organisation whose branches are all over Bangladesh. His father’s name was Dharanimohon Sen, Nobel prize winner, Mr Amartta Sen is his nephew. Mr Satyen Sen was born in the village Sonarong upazila Tongibari , Bikrampur. ikrampur (Munshigonj) the political and cultural centre of ancient Bengal survives only in the name of an area in the Munshigonj district of Bangladesh. The remains of the city of Vikramapur, the capital of the ancient kingdoms of southeastern Bengal, are lost and its location can only be guessed on the basis of available data. Bangla, Old HistoryThe name of Vikramapur survived in the name of a pargana in the Mughal period. It appears in Todarmal’s settlement in the 16th century yielding revenue of Rs 83,376. By 1728 the revenue had increased to Rs 1,03,001, and to decrease again in 1763 to Rs 24,568, partly due to creation of two new parganas, Rajnagar and Baikunthapur, out of it and partly due to the destructive activity of the Padma. Today the name does not exist even officially; but the inhabitants of a vast tract of land in the Munshigonj district still feel pride in saying that they belong to Vikramapur, which, of course, emanates from the past glory of the area. In the ancient period Vikramapur was undoubtedly the most important political centre in the vanga janapada. Indeed, it was the capital city of the Chandra, Varman, Sena, rulers, from the beginning of the 10th century AD to the beginning of the 13th century AD. Vikramapur appears for the first time in the copperplates of Shrichandra as sa Khalu Shrivikramapura Samavasita Shrimajjayaskandhavarat (from the royal camp of victory or capital situated at Vikramapur) and it held that position through the rule of the subsequent Varman and Sena dynasties. Even during the rule of the Senas, who held sway over practically the whole of Bengal, Vikramapur continued to be their capital, and laksmanasena came to this place after his defeat at Nadia at the hands of the Muslim invader bakhtiyar khalji, where his two sons, Vishvarupasena and Keshavasena ruled for a short period. Though the copperplates of Vishvarupasena and Keshavasena do not mention Vikramapur as the capital, but the land granted by them lay in Vikramapur bhage, indicating their hold over the area. Vikramapur’s eminence continued till the early 1280s, when Danujamadhava Dasharathadeva or danuj rai of Ziauddin Barani transferred his capital to nearby Suvarnagrama (sonargaon). From then onwards, throughout the Sultanate period, it remained in oblivion, only to make a comeback as the name of a pargana in the Mughal revenue roll. The heroic resistance to Mughal aggression put up by chand rai and kedar rai, the zamindars of Vikramapur (two of the illustrious bara-bhuiyans of Bengal) added short-lived glory to Vikramapur. Today Vikramapur is an extensive region of the Munshigonj district, and at some point of time it extended over some parts of Faridpur across the Padma. However, it must be said that it is difficult to ascertain the exact boundary of the territorial unit of that name. On the basis of the geophysical characteristics of the area an attempt can be made without any claim for exactitude. In the Thakbast Surveys map (1845-1877) there is no mention of the Kirtinasha (the Padma just before meeting the Meghna). Vikramapur comprised the area with the Padma on the west, the Dhaleswari on the north and east, and the confluence of the Arial river and the Meghna on the south. A local poet Lala Ramgati in his Mayatimirachandrika mentions that Brahmin Pundits abound in the beautiful rajya named Vikramapur, which lies between the Brahmaputra mahatirtha on the east and the Padmavati on the west. The small river Kaliganga (shown in James Rennel’s map of 1781) flowed through the middle of the tract, and on its either bank grew the prosperous villages of Idrakpur (Munshigonj), Firingibazar, Abdullapur, Mirganj, Serajdi, Sekernagar, Hasara, Sholaghar, Baraikhali, Thaodiya, Baligaon, Rajabadi etc on the north and Mulfatganj, Karatikal, Japsa, Kandapada, Shyamsundar, Khilgaon, Sarenga, Chikandi, Ganganagar, Radhanagar, Rajnagar, Ghagariya, Larikul etc on the south. The Padma, however, played havoc in the area in the 17th century and by devouring the glorious deeds of Chand Ray and Kedar Ray earned the epithet of Kirtinasha, the destroyer of relics. The Kaliganga cut through the middle of the tract dividing it into two parts: Uttara Vikramapur and Daksina Vikramapur. About 200 years ago Vikramapur was about 30 to 40 miles from east to west and about 8 to 10 miles from north to south.The site of the city of Virampur has been identified with the Rampal area not far from the modern town of Munshigonj. It has been estimated on the basis of the archaeological exploration of the area that the ancient capital covered about 15 square miles, on which are situated some 17 or 18 villages. To the north is the Ichhamati river, and there still stand the remains of a very high parapet running east to west, parallel with the ancient course of the river. To the east is the ancient stream of the Brahmaputra. There are two wide moats, one on the west and one on the south, which in present times are known respectively as the Mirkadim canal and the Makuhati canal. The royal palace, known as the Vallalbadi, on high ground within the mud-fort citadel, with a 200 feet wide ditch around it, is now in ruins. A large number of tanks, mostly dating from pre-Muslim period, can be seen around Rampal, but hardly any building of that period except the derelict ruins of temples; NK Bhattashali identified in 1929 the remains of as many as 30. Dhipur and Sonarang are the two important temple sites mentioned by him. RD Banerji also noticed structures in nearby Raghurampur. Vajrayogini, a nearby village, was the birthplace of famous Buddhist scholar atish Dipankar Srijnan. The whole area yielded highly valuable antiquities: sculptures of exquisite quality (both Hindu and Buddhist), objects of precious metals. A silver Visnu image from this area (Churain) is now preserved in the Indian Museum. An eleventh century divine nymph (surasundari) hewn out of a long wooden pillar and forming a part of a column (now preserved in the Bangladesh National Museum) is considered to be a unique find in the whole subcontinent. Two other wooden pillars with sculptural decorations were found from the famous Rampal Dighi (2200 ft x 840 ft). Though the present landscape around Rampal would not give any indication of the existence of a metropolis in the distant past, the find of the antiquities and the legends around speak of the past glory of the ancient city. The river system around might have also contributed to the extinction of the once prosperous city. However, the medieval ruins of a mosque and tomb of baba adam shahid at Rampal now stand as the only visible historical monuments in the area.Whether the name of the village Rampal has any connection with the famous Pala king of that name is difficult to ascertain. It is known from epigraphical records that the Varman king Bhojavarman or Samalavarman propitiated the friendship of the Pala king, Ramapala by offering him elephants and chariots. It may be that Ramapala visited Vikramapur and the area near the palace where he was ceremoniously received was developed and named after him. It is unlikely that Ramapala had Vikramapur area under his control. There is a local tradition that the area was named Rampal after a local merchant. Ramananda Pal, popularly called Ramapala, was the grocer to the royal family during Vallalasena’s rule, and he amassed wealth, settled down in the neighbourhood of the royal palace and came to be recognised as a respectable person. When Vallalasena dug his dighi, it stretched up to Ramapala’s house. A local proverb goes like this: Vallal katay dighi name Rampal (the tank was excavated by Vallal, but it got the name of Rampal).
  • With an area of 954.96 sq km, is bounded by Dhaka and Narayanganj districts on the north, Madaripur and Shariatpur districts on the south, Comilla and Chandpur districts on the east, Dhaka and Faridpur districts on the west. Main rivers are the Padma, Meghna, Dhaleshwari, Ichamati and Shitalakshya. The southern and eastern parts of the district often fall victim to erosion caused by the mighty Padma and the Meghna respectively. Main depression is Arial Beel covering an area of 4,330 hectare. Annual temperature- maximum 36°C and minimum 12.7°C; total rainfall 2,376 mm.Munshigonj : (Town) consists of 9 wards and 42 mahallas.The area of the town is 14.17 sq km. The population of the town is 52071; male 51.62% and female 48.38%; density of population is 3674 per sq km. Literacy rate among the town people is 49.3%. The town has two dakbungalows.Administration : Munshigonj district, formerly a subdivision under Dhaka district, was established in 1984. It consists of 6 upazilas, 67 union parishads, 662 mouzas, 906 villages, 18 wards, 73 mahallas and 2 municipalities. The upazilas are Gazaria, Tongibari, Serajdikhan, Lohajang, Sreenagar and Munshiganj sadar. Archaeological heritage : Idrakpur Fort (1660) in Munshiganj town, Panditer vita (birth place of atish Dipankar Srijnan) at Bajrayogini, Baba Adam’s Mosque, Dighi of Raja Haris chandra, home stead of Raja Ballal Sen, home stead of Raja Sreenath at Rampal, Rampal Dighi, Kodal Dhoar Dighi, Shyamsiddhi Math at Sreenagar, Hasara Dargah, Sholaghar Math, Bhagyakul Rajbari, residence of Jagadis Chandra Basu at Radhikhal, Jora Math at Sonarang, Kalibari at Tongibari, Taltala Pancha-shikhara Mahadeva Temple, Talukdarbari Mosque at Kusumpur, Tajpur Mosque, Patharghata Mosque, Kazishal Mosque, Pulghata Bridge, Panch Pir Dargah, marble statue of Ashutosh Ganguly inside the library room of Haraganga College. Historical events : The area comprising the districts of Munshiganj stretching on the west of the Meghna and Dhaleshwari had been included in the kingdom of vikramapur in the ancient period. During the Sena rule Vikramapur in East Bengal had been the second capital of the Senas in addition to their capital at Nadia. After the fall of Nadia in the hands of bakhtiyar khalji (1204) the Sena King lakshmanasena fled to Vikramapur and began to rule East Bengal. After the death of Lakshmanasena (1206) his descendants Visvarupasena and Kesavasena ruled in Vikramapur till at least 1223 AD. Some historians postulate that the sons of Lakshamanasena ruled in Vikramapur up to 1243-45 AD. Raja Dasarathadeva Danujmadhava (Danuj Rai), the Deva king of Chandradvipa, ousted the Senas from Vikramapur in the third quarter of the thirteenth century and ruled the south-eastern Bengal till the end of the thirteenth century.During the Mughal rule the present Munshigonj town including the outlying areas was known as Idrakpur which was named after the then Mughal faujdar Idrak. A village on the outskirts of Munshigonj town is still known as Idrakpur. During the British rule Idrakpur was renamed as Munshigonj after the name of Munshi Enayet Ali, the local zamindar and the inhabitant of the village Kazi Kasba in Rampal. During the war of liberation of 1971 the Pak army raided Munshigonj and Kewar on 9 and 14 May respectively and killed some youths there. They launched an attack on the innocent villagers at Gazaria upazila on 5 May and killed about four hundred villagers by gun-shot. The people of Narayanganj in alliance with youths of Munshigonj resisted an attack of the Pak army on Narayanganj on 31 March. Hundreds of youths were recruited as freedom fighters and were given military training at Dhalgaon area in the month of July and they took part in various operations against the Pak army. The freedom fighters raided Sreenagar police station on August 11, Lauhajang police station within a few days and the Tongibari police station at the end of September, procured huge arms and ammunitions and Lohajang police station was set on fire. The freedom fighters attacked the motor-launches of the Pak-army on 24 September at Galimpur and Goalimandra and killed more than one hundred Pak soldiers. On the night of Shab-e-Qadr the freedom fighters numbering only 115 launched a combined attack on the Pak army stationed at Munshigonj and captured the town. Marks of War: Liberation Mass killing site 3, memorial monument 3, mass grave 1. Population : 1,388,605 (male 50.09%, female 49.91%), Muslim 90.78%, Hindu 8.01%, Christian 1.2%, Buddhist 0.01%. Ethnic nationals include Snake charmers, Cobblers (Rishi) and Scavengers of Munshir Hat. Religious institutions : Mosque 1,478, Temple 108, Tomb 10, Church 9.Literacy and educational institutions : Average literacy 35.8%; male 40.3%, female 31.1%. Educational institutions : College 16, High School 82, Junior high school 11, Primary training institute 1, Technical Training Centre 3, Madrasa 87, Government Primary School 423, Non-Government primary school 78, Kindergarten 5, Mass-education centre 688. Newspapers and periodicals Daily : Munshigonjer Kaghaz, Weekly Munshigonj, Weekly Munshigonj Sangbad, Monthly Vikrampur; Defunct papers: Monthly Palli-Vijnan, Hindu Intelligencer, Mukti, Vikrampur Patrika (1920), Gramer Katha (weekly, 1962), Anusandhan, Chetana, Kaler Vela, Sangsaptak, Sarab, Kavitapatra, Vikrampur Mukhasri, Weekly Vikrampur Barta, Vikrampur.Cultural organisations : Club 267, Public library 16, Various organisations 378, Women’s association 47, Theatre group 10, Jatra party 2, Drama stage 1, Cinema hall 15, Stadium 2, Museum 1, Musical Academy 2, Art School 1. Main occupations : Agriculture 27.43%, agricultural labourer 21.96%, fishing 2.25%, hawker 1.02%, construction 1.57%, commerce 19.46%, service 9.28%, transport 1.67%, wage labourer 2.87% and others 12.49%.Land use : Cultivable land 56,594 Hectares; Single crop 23%, Double crop 44%, Triple Crop land 33%. Arable land under irrigation 36%. Land control Among the peasants, 13.2% are landless, 27.06% marginal, 35.26% small, 18.65% intermediate, 5.83% rich; cultivable land per head 0.047 hectare. Value of land The market value of the first grade arable land is Tk 22,800 per 0.01 hectare. Main crops : Potato, jute, rice, betel leaf, wheat, mustard, sesame, gram, lentil, pea, chilli, coriander, ground nut, maize, patal, karalla tomato, sweet pumpkin, vegetables. Extinct and nearly extinct crops Indigo, kaun, linseed, arahar (pulse), kalai (pulse). Main fruits : Banana, mango, papaya, jackfruit, litchi, melon, watermelon, black berry, pomegranate, guava, wood apple, shaddock, plum, palm, coconut, elephant apple. Fisheries, poultries and dairies Livestock and dairy 309, poultry 237, fishery 179, hatchery 6. Communication facilities Roads: pucca 242.27 km, semi pucca 127 km, mud road 1339 km; launch ghat 29, ferry ghat 16, boat mahal 5. Traditional transport : Palanquin (extinct), horse carriage and bullock cart (nearly extinct), boat. Manufactories Large industries 6, medium industries 20, ice mill and cold storage 60, rice mill 19, saw mill 27. Cottage industries Cottage industries of various categories 727. Hats, bazars and fairs Hats and bazars are 101, fair 34. Main exports : Potato, banana, paddy, pathal, jute, betel leaf, sweet pumpkin, vegetables, milk, milk food, sack, cotton yarn, copper utensil, bamboo and cane materials. NGO activities : Operationally important NGOs are asa, brac, grameen bank, caritas, World Vision, proshika, Samaj Parivartan Kendra, Country Mission, CARE, RSD, Vikrampur Ayn Sahajya Sangstha, Yuba Sangha, Mahila Angana. Health centres : Hospital 1, Upazila Health Complex 5, Family Planning Centre 48, Satellite Clinic 22, Mother & Child care Centre 1, Charitable Dispensary 4, Private Clinic 4, Pathological Laboratory 3, Artificial Breeding Ce. Area Slno.| Land use | Area (in Acre) ————————————————————— 01 Total Land Area…….: 235,974 02 Cultivable Area…….: 138,472 03 Fallow Land………..: 5,609 04 Area Under Forest…..: – 05 Area Irrigated……..: 40,277 06 Area Under River……: 26,242 —————————————————————- 2. Storage Facility —————————————————————- Slno.| Commudity | No. of godown | Capacity (M. Ton) —————————————————————– 01 Food……………..: 27 14694 02 Seed……………..: 14 6778 03 Fertilizer………..: 1 502 —————————————————————— 3. Utilities ——————————————————————- Slno.| Name of Items | Total No. | Length (in Km.) ——————————————————————- 01 Rivers……………: 14 155 02 Metal Road………..: 15 147 03 Semi Metal Road……: 21 173 04 Kutcha Road……….: 302 1294 05 Rail Road…………: – – 06 Hat Bazar…………: 74 151 07 F/C Centre………..: 1 2 ——————————————————————- 4. Irrigation Facilities ——————————————————————- Slno.| Name of Items | Total No. | Irrigated Area (acre) ——————————————————————– 01 Tubewell…………: 2120 20 02 Power Pump……….: 655 25464 03 Low Lift Pump…….: 183 5800 04 Shallow Tubewell….: 1131 18090 05 Deep Tubewell…….: 21 1250 06 Traditional………: 1552 935 07 Total……………: 3612 45759 ——————————————————————– 5. Social Information Slno.| Name of Items | Total Numbers——————————————————————— 01 Clubs………………: 288 02 Community Centre…….: 49 03 Co-operative Society…: 695 04 Professional Society…: 310 05 Post Office…………: 126 06 Bank Branches……….: 73 07 NGOs……………….: 220 08 Mosques…………….: 1456 09 Mandirs…………….: 160 10 Churches……………: 2 11 Pagodas…………….: 2 12 Marriage Register……: 23 13 Tea Estate………….: 1 14 Livestock Firms……..: 225 15 Poultry Firms……….: 235 16 Hatchury……………: 26 17 Handloom……………: 2758 18 Bamboo & Cane……….: 1269 19 Carpentry…………..: 4894 20 Jute/Cotton Fibre……: 1858 21 Black Smith…………: 282 22 Potter……………..: 150 23 Gold Smith………….: 327 24 Others……………..: 1608 25 Uprooted Persons…….: 843 26 Telephones………….: 280 27 Household with Gas…..: 540 ———————————————————————- 6. Educational Institution ———————————————————————— Sl No.| Items Name | Total No. |No. of Teachers|No. of Students ———————————————————————— 01 Kindergerten………: 2 19 840 02 Primary School…….: 452 2185 205341 03 Junior High School…: 9 56 1975 04 Secondary High School: 80 974 46539 05 College…………..: 14 201 8249 06 University………..: – – – 07 Teachers training….: 1 15 105 08 Physical Training….: – – – 09 Homeo Medical College: – – – 10 Unani Institute……: – – – 11 Polytechnical Inst…: – – – 12 Vocational Institute.: – – – 13 Blind/Disable School.: – – – 14 Mass Education Centre: 6 8 65 15 Ibtedaye Madrasa…..: 23 232 6195 16 Dakhil Madrasa…….: 7 43 1240 17 Alia Madrasa………: 2 32 800 18 Fazil Madrasa……..: 1 19 1050 19 Kamil Madrasa……..: – – – 20 Forquania Madrasa….: 780 926 27932 21 Hafizia Madrasa……: 25 61 1790 22 Qaumi Madrasa……..: 1 4 150 23 Tol College……….: – – – 24 Pali College………: – – – 25 Girls School/College.: 11 122 13580 ———————————————————————– 7. Health ———————————————————————– Serial| | Number of | No. of | Number| Name of Items | Doctors | Nurse/HA | No. of Beds ———————————————————————— 01 Hospitals………….: 47 95 205 02 Clinics……………: 9 3 12 03 FWC……………….: 42 131 54 04 Maternity Centre……: 2 3 6 05 Primary Healthcare….: 5 – – ———————————————————————– 8. Agricultral Product ———————————————————————– Slno.| Name of Items | Area (Acre) | Production (M.Ton) ———————————————————————– 01 Rice………………: 122411 92626 02 Wheat……………..: 3488 5004 03 Jute………………: 14256 8596 04 Sugar Cane…………: 782 12831 05 Tobacco……………: 140 94 06 Tea……………….: – – 07 Fish Catch…………: – 3942 08 Eggs………………: – 91 09 Milk………………: – 876 10 Sweet Meat…………: – 168 11 Pulse……………..: 650 1262 12 Vegetable………….: 1928 8626 13 Onion……………..: 631 2138 14 Carlic…………….: 437 1748 15 Turmaric…………..: 35 1057 16 Sugar……………..: – – 17 Salt………………: – – ——————————————————————— 9. Development Projects ——————————————————————— Slno.| Name of Items | Total Number ——————————————————————— 01 Poverty Allivation….: 284 02 Rehabilit of Des……: 647 03 Family Planning…….: 3 04 Education………….: 35 05 Agriculture & Food….: 18 06 Road & Communication..: 76 07 Health…………….: 8 08 Total……………..: 1121 ————————————————-ntre 1, Veterinary Hospital 7

কাউকে গ্রেপ্তারে পুলিশের করণীয়

 

Image

 

বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে ছত্রিশ ঘা! আমাদের আইনই পুলিশকে গ্রেপ্তারের অসীম ক্ষমতা দিয়েছে। পুলিশ ইচ্ছা করলেই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। ৫৪ ধারা বলে তো একটা কথা আছে!
ওই ধারার যথেচ্ছ ব্যবহার চলছে। তবে আইনে গ্রেপ্তারেরও সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, কখন কাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ৯টি কারণে পুলিশকে আদালতের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি, আইনবহির্ভূতভাবে ঘর ভাঙার কোনো যন্ত্র রাখলে সেই ব্যক্তি, সরকারের আদেশ দ্বারা কেউ অপরাধী ঘোষিত হলে, চোরাই মাল নিজ হেফাজতে রাখলে, পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দিলে, প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে পলায়নকারীকে, শাস্তিযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির সন্ধান পেলে, জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত কেউ জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলে এবং যাকে গ্রেপ্তারের জন্য অন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তা অনুরোধ করেন সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
কিন্তু উপরোক্ত ওই বিধানগুলো মানা হচ্ছে না। আইন অনুসরণ করা হলে প্রকৃত অপরাধী যেমন গ্রেপ্তার হতো, তেমনি পুলিশকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হতো না। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় দূর হতো।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করার জন্য উপমহাদেশের বিভিন্ন আদালতের মতো বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগও সুনির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন দিয়েছেন, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অধস্থন আদালতগুলোর জন্য মেনে চলা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও মানুষ হত্যার মতো ঘটনা বন্ধ করতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
ওই বছরের ২৯ নভেম্বর আদালত সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা ও সুপারিশ দিয়ে রায় দেন।
কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিরামহীন প্রচষ্টার পরও সরকার আজ পর্যন্ত ওই রায়ের আলোকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কিংবা করতে পারেনি। উল্লেখ্য, ওই রায়ে সরকারকে আইন সংশোধন সুপারিশ গ্রহণের জন্য ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছিল, যা আপিল বিভাগ স্থগিত করে রেখেছেন। কিন্তু রায়ে যে মতামত দেয়া হয়েছে তা পুলিশ প্রশাসন ও অধস্থন আদালতের ওপর বাধ্যকারী বটে। উল্লিখিত রায়ে ৫৪ ধারার অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতাকে অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত রায়ে বলেন, ‘৫৪ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগে চরমভাবে স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ্য করা যায়।
এ ধারার ভাষাতেও অস্পষ্টতা আছে। তবে কেবল সন্দেহের বশবর্তী হয়ে যে কোনো নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করে আটক বা প্রহরায় নেয়া অন্যায়, বেআইনি ও অসাংবিধানিক। কারণ ৫৪ ধারায় ওয়ারেন্ট ছাড়া আটক এর যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে বর্ণিত মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত বিধানগুলোর পরিপন্থী।
৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার যদি করতে হয় তা হতে হবে সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য ও যুক্তিসঙ্গত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। কোনো ক্রমেই নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা অন্যায়ভাবে হরণ করা যাবে না। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারার ক্ষমতাবলে যখন তখন রিমান্ড চাওয়া ও মঞ্জুর করা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী।’ এ অবিচার বন্ধ করা অত্যাবশ্যক।
উল্লিখিত রায়ে আরো বলা হয় ‘পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমলযোগ্য কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেই কেবল কোনো অভিযুক্ত বা সাক্ষীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারবে। তাও গ্রেপ্তারের কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে।
গ্রেপ্তারের পরপরই গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকে সংবাদ দিতে হবে। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।’
উল্লিখিত রায় এ দেশে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। হাইকোর্ট প্রত্যাশা করেছিলেন, মাসদার হোসাইন মামলার রায়ের সুপারিশের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ায় ২০০৩ সালের উল্লিখিত রিট মামলার রিমান্ড ও ৫৪ ধারা সংক্রান্ত সুপারিশের আলোকেও এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হবে। কিন্তু অদ্যাবধি তা হয়নি। এটি খুবই দুঃখজনক। যার কারণে জনগণের অধিকার প্রতিনিয়ত ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। মানুষের ব্যক্তি অধিকার ও সম্মান ক্ষুণœ হচ্ছে।
আমাদের সংবিধানের ৩৪ অনুচ্ছেদেও গ্রেপ্তার ও আটকের ব্যাপারে পদ্ধতিগত সুরক্ষা দিয়েছে যেমনÑ ‘গ্রেপ্তারকৃত কোনো ব্যক্তিকে যথাশীঘ্র গ্রেপ্তারের কারণ জ্ঞাপন না করিয়া পুনরায় আটক রাখা যাবে না এবং উক্ত ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সহিত পরামর্শের ও তার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাবে না। কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে।
গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এর কারণ জানাতে হবে। বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহক মারফত বিষয়টি জানাতে হবে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে তার পছন্দসই আইনজীবী ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। ওই ব্যক্তিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের অভ্যন্তরে কাচনির্মিত বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন।’
জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবেন। নির্বিচারে মানুষ
আমাদের দেশে দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন ও অন্যান্য আইনের ভিত্তিতে Criminal Justice System প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সমাজে সংঘটিত অপরাধ রোধের জন্য এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে ১৮৬০ সালে দণ্ডবিধি প্রণয়ন করা হয়। এরপর ১৮৯৮ সালে ফৌজদারি কার্যবিধি নামে একটি তৈরী হয় সেখানে তদন্তে পুলিশের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করার পদ্ধতি সম্পর্কে ষ্পষ্ট বলা আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে আবার অপরাধকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি আমলযোগ্য অপরাধ (Cognizable Offence), অন্যটি আমল-অযোগ্য অপরাধ (Non-cognizable Offence)।
আমলযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ৫১১টি ধারার মধ্যে ২১৭টিই আমলযোগ্য অপরাধ।অন্যান্য আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ সম্পর্কে ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের শেষের অংশে `Offence agaist other Law` শিরোনামে বর্ণিত আছে।
সেখানে বলা হয়েছে, যেসব অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা পাঁচ বছরের অধিক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তি দুই বছরের কম নয় এবং পাঁচ বছরের বেশি নয়, সেসব ক্ষেত্রে পরোয়ানা ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। আমাদের দেশে ফৌজদারি কার্যবিধির চতুর্দশ অধ্যায়ে (ধারা ১৫৪-১৭৬) কোনো অপরাধ সংঘটনের সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিধান করা হয়েছে।
আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে দেওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত ফরমে তা লিপিবদ্ধ করবেন। লিখিত অথবা মৌখিক সংবাদ পাওয়ার পর নির্ধারিত বইয়ে লিপিবদ্ধ করে সংবাদদাতাকে পড়ে শোনাবেন এবং তাঁর স্বাক্ষর নেবেন।
আমলযোগ্য অপরাধ বিশেষ করে খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ সংঘটনের সংবাদ জানলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা যে কোনো একজন কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন এবং সংঘটিত অপরাধের প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে প্রদর্শিত বা বর্ণিত অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্ত শুরু করা তাঁর বা তাঁদের আইনসম্মত কর্তব্য হয়ে যায়।
তদন্তকাজে অবহেলা বা বিলম্ব করলে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা জটিল হয়ে পড়ে। গ্রেপ্তারের মূল উদ্দেশ্য হলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পলায়নের সুযোগ থেকে নিবৃত্ত করা, যাতে তার উপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায়।বলা বাহুল্য যে, সিআরপিসি ১৮৯৮-এর শতবর্ষ আগে জন্ম হয়েছিল জনকল্যাণে নয়, বরং নির্দয় একটি আইন হিসেবে ঔপনিবেশিকতার স্বার্থসিদ্ধির প্রেক্ষাপটে।
শতবর্ষের বেশী হলেও হলেও এই নির্দয় একটি আইনের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের মাত্রা, অপরাধপ্রবণতা ও অপরাধ সংঘটনের কৌশল নতুন আকারে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ অবস্থায় সরকার কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অপরাধগুলো রোধের জন্য ও দমনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিশেষ আইন যেমন বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪, নারী নির্যাতন (নিবর্তক শাস্তি) অধ্যাদেশ-১৯৮৩, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০, আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০০২, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ ইত্যাদি আইন প্রণয়ন করা ছাড়াও ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনে কিছু নতুন ধারা সংযোজন যথা ৩২৬-এ (এসিড নিক্ষেপের জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান) আরো কিছু ধারায় কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
এসব আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ আমলযোগ্য এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অপরাধ শুধু আমলযোগ্যই নয়, জামিন-অযোগ্যও।
এ ছাড়া অস্ত্র আইন এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের অপরাধগুলোও আমলযোগ্য। আমলযোগ্য গুরুতর অপরাধেই কেবল আসামিকে সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে গ্রেপ্তার করাটা প্রকৃত আইন ও পদ্ধতি, অনুপস্থিতিটা একটা অস্বাভাবিক, চরম ও ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একজন লোক প্রকাশ্যে দিবালোকে তার শত্র“ পক্ষের  একজনকে হত্যা করে রক্তমাখা ছুরি হাতে বীরদর্পে চলে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী দুজন লোক তাকে দেখে ফেলে।
এ অবস্থায় পুলিশকে ডেকে আনতে বা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ গ্রহণ করতে গেলে ওই হত্যাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হবে। তাকে সহজে বিচারের সম্মুখে হাজির করার সম্ভাবনা খুব কম।
এর ফলে সংক্ষুব্ধ পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। এ জন্যই এরূপ গুরুতর অপরাধের অপরাধীকে সাধারণ নাগরিকও তাৎক্ষণিকভ গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করার সুস্পষ্ট বিধান আইনে রয়েছে।
পুলিশ এসে এই আটককৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করবে, লাশের ময়নাতদন্ত করাবে, পুলিশি তদন্ত শুরু করবে এবং অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন করবে। এটাই আইনের স্বাভাবিক গতি ও পদ্ধতি

নারী তুমি কোথায় নিরাপদ?

নারী তুমি কোথায় নিরাপদ? না ঘরে না বাইরে না বাবা মা র কাছে। আমাদের  সমাজ বেবস্থা  নারী দের আজ ও সম্মন দিতে পারে নাই। একটা  মেয়ে জন্মানোর   আগে  থেকে ই  মা বাবা র  রোষানলে  পরে।অনেকে মেয়ে হবে সুনলেই এব্রশোন করিয়ে ফেলে। কারো পরিবারে ছেলে সন্তান না হলে পর পর ২ টা বা ৩ টা মেয়ে হলেই স্ত্রি র উপরে নেমে আসে নির্যাতন । তারা হয়তো যানে না সন্তান মেয়ে হবে না ছেলে হবে তা নির্ভর  করে ছেলে দের উপর মেয়েদের উপর না।এইভাবেই জন্মের পূর্বের  থেকেই মেয়ে রা অত্যাচারের  স্বীকার  হয়।
আমাদের সমাজে মেয়েদের কে বোঝা  মনে করেন।তারা মনে করে একটা  মেয়ে কে লেখা পড়া  করিএয়া কি লাভ?বিয়ে করে পরের বাড়ি চলে যাবে।কিন্তু একটা শিক্ষিত মা ই পারে তার পরিবার কে ভাল মতো চালাতে।আমাদের সমাজে শুধু দরিদ্র পরিবারে মেয়ে দের নির্যাতন  করা হয় তা নয়, ধনি পরিবারে ও চলে নারির উপর অত্যাচার। বেশ কিছু দিন আগে পত্রিকায় পরেছিলাম গুলশানের এক ধনি পরিবারের ছেলের বৌ কে খওয়ার সাথে বিষ মিলিয়ে খওয়ায়।
এইবার আসি  ঘরের বাইরের নির্যাতন এর বাপারে। এখন জা যুগ পরেছে যে একটা ৩ বছরে র বাচ্চা ও নিরাপদ না।পত্রিকা খুলেই দেকা যায় ৩ বছরের বাচ্চা ধর্ষণের স্বীকার।  কত টা পশু হলে একটা শিশু বাচ্চা কে ধর্ষণ করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।ইভ টিজিং,এসিড নিক্ষেপ এর মত  জঘন্য  অপরাধ ঘটে ।
কর্ম ক্ষেত্রেও  মেয়ে দের পরতে হয় চরম  ভগান্তি তে।মেয়ে  দের কেও  বসের ভগের স্বীকার হতে হয় অনেক খেত্রেই।আর বসের কথা না শুনলে  চাকরী হারাবার ভয়।অনেকে সম্মানের ভয়ে চুপ থাকে।তারপর ও যদি প্রকাশ পেয়ে গালে এই সমাজ পরিবার মেয়ে টাকে দোষ দিতে একটু ও কার্পণ্য করে না।বাবা মা বলবে আরো ত মেয়ে আছে তাদের সাথে তো এমন হয় না,তোর সাথে হল কেনো?জামন টা দেখেছিলাম টাঙাইলের  গাং রেপের স্বীকার  মেয়ে টির খেত্রে।বাবা তাকে মেরে বাসা থেকে বের করে দেয়
মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়ে হয়ে জন্মানোই পাপ। আমাদের ইসলাম ধর্মে কিন্তু মেয়ে দের অনেক সম্মান দেওা হয়েছে।কিন্তু আমরা তা মানি না।মাঝে মাঝে মনে হয় এই সমাজ পতি দের  চিৎকার কার করে বলি  তুম্রা যে নারী কে অপমান কর সেই ্নারী না থাকলে তুম্রা পুরুষ জাতি ও থাকতা না,কারন এই নারী শত কষ্টে তোমাকে জন্ম দেয় এবং লালন পালন

Police remand: Concept and procedure

 Police remand: Concept and procedure

Police remand: Concept and procedure

Put in very simple terms, a remand is another name for an adjournment of a case. However, in criminal justice system remand is known as having a particular meaning. When a case is adjourned, the court may have the power or duty to remand the accused in police custody or in jail, rather than simply adjourn the case for another day. It would be accurate to say that while all remands are adjournment, not all adjournments are remands. The difference between ‘remanding’ a defendant and simply ‘adjourning’ the case is that when the court remands a defendant, it is under a duty to decide whether the defendant should be released on bail or kept in police custody or in jail custody. Thus remanding the defendant may be of three types: remand on bail, remand in police custody, and remand in prison custody or jail. In England there is a system of disposing of a criminal case within 24 hours where there is straight forward guilty plea by the accused. However, in Bangladesh even the simplest criminal case would not be completed in a year let alone a day. And this is mostly because of corruption by the police in investigation and lack of knowledge and lack of proper guidelines and training for magistrates in dispensation of criminal cases.As mentioned above, remanding means committing the defendant into the custody or placing him in bail. The most objectionable remand in Bangladesh is remanding on police custody since police uses unlawful torture on the defendant on the pretext of extracting information from the accused.Duration of remands At the stage of investigation: Provisions are laid down in section 167 of the CrPC which are as follow: (i) Not more than 15 days in a whole in police custody or jail custody. (ii) When the investigation cannot be completed within 120 days from the date of receipt of information relating to the commission of the offence or the order of the Magistrate for such investigation, the Magistrate empowered to take cognisance of such offence or making the order for investigation may, if the offence is not punishable with death, imprisonment for life or imprisonment exceeding ten years, release the accused on bail.(iii) When the investigation cannot be completed within 120 days from the date of receipt of information relating to the commission of the offence or the order of the Magistrate for such investigation, the Court of Session may, if the offence is punishable with death, imprisonment for life or imprisonment exceeding ten years, release the accused on bail.(iv) If the accused is not released on bail under this section, the Magistrate or the Court of Session shall record the reason for it. Thus there is no maximum period fixed by law for order of detention in police custody by the Magistrate. For how many terms not exceeding 15 days can the Magistrate authorise detention? This is not mentioned. In Indian CrPC provisions have been made that the total period of detention in custody must not exceed 60 days and such detention must not be in police custody. It is to be noted that in England there is provision of remand in police custody for not more than three days in total. If the defendant is on bail, there is no statutory time limit for remand.Police remand, use of force and extorting information from the accused Section 167 of the CrPC implies two situations: (1) when an investigation can be completed within 24 hours; and (2) when investigation cannot be completed within 24 hours. The provision of section 167 also implies that while producing a person arrested without warrant before the Magistrate, the police officer must state the reasons as to why the investigation could not be completed within 24 hours and what are the grounds for believing that the accusation or information received against the person is well-founded. Second, the police officer also shall transmit to the Magistrate the copy of the entries in the case diary (B. P. Form No. 38) (B. P. Police Regulation No. 236). After examining information in the case diary and the reasons shown by the police officer, the Magistrate will decide whether the person shall be released at once or detained further. This is the mandatory law which the Magistrates have to follow. However, in absence of any proper guideline unfortunately the Magistrates have been accustomed to follow a ‘parrot like’ order on the forwarding letter of the police officer authorising detention either in the police custody or in jail. And this non-application of proper judicial mind in view of sub-sections (1), (2) and (3) of section 167 of the Code by the Magistrates has ultimately resulted in so many custodial deaths and incidents of torture in police custody. Application for remand and abuse of power A police officer makes a prayer for ‘remand’ stating that the accused is involved in a cognisable offence and for the purpose of interrogation ‘remand’ is necessary. In sub-section (2) of section 167 though it is not mentioned that ‘remand’ can be allowed for the purpose of interrogation, at present, the practice is that an accused is taken on ‘remand’ only for the purpose of interrogation or for extorting information from the accused through interrogation. There is no proper guideline as to when such prayer should be accepted and when rejected by the Magistrate and this legal lacuna gives both the police officer and Magistrates power to abuse the same. Police officers being motivated or dictated by the executive organ or out of their personal conflict or aggrandisement seek unreasonable remand under section 167 of the Code. And the Magistrates in absence of any proper guideline, either being dictated by the executive organ or otherwise have been accustomed to follow a ‘parrot like’ order on the forwarding letter of the police officer authorising detention either in the police custody or in jail. The views expressed in favour of police remand is that it is a civil necessity that if some force is not used, no clue can be found out from hard-nut criminals. On the other side of the spectra there is a widely held view that to send the arrested person to police remand prima facie upholds the idea that the accused person did not give the confession voluntarily. When the entire state machinery acts against him, he cannot confess voluntarily and as such the provision for granting police remand several times (although not exceeding 15 days in the whole) totally destroys the purpose behind it. This is because a person coming before the Magistrate has no guarantee that he will not be sent again to police remand unless he has already completed 15 days. It is therefore imperative on the Magistrate to give reasons for granting a remand. Again, article 35(4) of the Constitution states that no person shall be compelled to be a witness against himself. So the provisions of the CrPC under section 167 are in direct contrast with the provisions of the Constitution. This CrPC was passed by the British government back in 1898 when there was no fundamental rights as we have now in our Constitution. In view of the present provision in article 26 this provision of police remand seems to be void and this is largely the decision of the High Court Division in the BLAST v State.

আবার আসছে ফেব্রুয়ারি মাস

journo_1331035833_1-2012-02-11-10-57-56-Sagor-_-Merun.3-tm journo_1331035854_2-Sagar_runi ,এই মাসে কত গুলো হত্যা কাণ্ড সংগঠিত হয় ।১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সাগর রুনী হত্যা কাণ্ড , ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস আর ২৫ শে ফেব্রুয়ারি বিডিয়ার হত্যাকাণ্ড । ২১শে ফেব্রুয়ারী শুধু পাকিস্তান শয়তান দের দ্বারা হত্যাকান্ড আর বাকি ২ টা দেশীয় শয়তান আর বিদেশি শয়তান দের চক্রান্ত

আসুন ২৫ ফেব্রুয়ারীর টি২০ ম্যাচের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান বর্জন করি

 

আপনি জানেন কি ২৫ ফেব্রুয়ারি তে টি২০ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের ব্যয় বহুল উধভোধনী অনুষ্ঠান। ১৫ কোটি তাকা ব্যয় করে ইন্ডিয়ান শিল্পিদের এনে এই অনুষ্ঠান করা হবে । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কি ভুলে গেছেন ২৫ শে ফেব্রুয়ারী বিডিয়ারে ৫৭ জন মেধাবী অফিসারের মৃত্যু দিন এই ২৫ ফেব্রুয়ারী। আপনার বাবার মৃত্যু দিনে যেমন কার জন্ম দিন পালন করা যাবে না, কোন আনন্দ উতসব করা যাবে না, তেমনি বাংলাদেশের একটি শোকের দিন এ কেনো এই আনন্দ উৎসব । দয়া করে এই শোকের দিনে আমরা কোন আনন্দ উৎসব করতে চাই না।আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক জনক দিন এই ২৫ ফেব্রুয়ারী । এই দিন টি কে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হোক। যারা আমাদের দেশ এবং বাংলাদেশ আর্মি কে ভালবাসি তারা এই শোঁকের দিনে এইসব অনুষ্ঠান বয়কট  করি

 bangladesh jails 665 soldiers for 2009 mutiny