৩৬ বছরে পা রেখেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

৩৬ বছরে পা রেখেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। ১৪ মার্চ শুক্রবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৩৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। ঢাকা কলেজের জনপ্রিয়তম শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।

গত সাড়ে তিন দশকে সারাদেশে, এমনকি দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে এর কর্মকাণ্ড। বহুধা বিস্তৃত এই কর্মকাণ্ডের নানা আঙ্গিক সময়ে সময়ে বদলেছে। এখানকার অর্থযোগের চেহারা পাল্টেছে। ব্যবস্থাপনার মান পরিবর্তিত হয়েছে। প্রযুক্তি আর পেশাদারিত্বে পরিবর্তন এসেছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে রুচি ও উন্নত মূল্যবোধের যে নিম্নগামিতা অবশ্যম্ভাবী হয়েছে, তার প্রভাব আমাদের রাজনীতিতে খুবই প্রকট হয়ে দেখা যাচ্ছে। এই নিম্নমানের অপরিশীলিত, ব্যক্তিপূজাকেন্দ্রিক রুচিহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের চেতনাজগতে বিপরীত ধারার সৃষ্টির চেষ্টার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তার অন্যতম।

ঢাকা শহরসহ জেলা শহরগুলোতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মোবাইল লাইব্রেরি কার্যক্রম, সারাদেশের হাজার হাজার স্কুল-কলেজে বই পাঠের মাধ্যমে প্রতি বছর লাখ-লাখ শিক্ষার্থীর জন্য মানবিক উৎকর্ষ কার্যক্রম, বই পড়ে বই পুরস্কার দেয়ার প্রণোদনামূলক কার্যক্রম, আলোর ইশকুলের মাধ্যমে সঙ্গীত-শিল্পকলা-চিত্রকলা-রাজনীতি-ইতিহাস-সমাজ বিষয়ে নিয়মিত পাঠচক্রে সুদীর্ঘ নিরবচ্ছিন্ন পাঠ কার্যক্রম, ইংরেজি শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে সহজে বাংলা অর্থ ও উচ্চারণসহ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য ইংরেজিতে পাঠ কার্যক্রম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশনার মাধ্যমে বাজারে কাটতিহীন অথচ চিরায়ত সাহিত্য-দর্শনের বইয়ের প্রকাশনা অব্যাহত রাখা ও বই বাজারে তা সরবরাহ করাসহ অনলাইনে বই পাঠের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রায় নিভৃতে প্রতিবছর লাখ-লাখ তরুণ হৃদয়কে আলোড়িত করছে।

রাজধানীর বাংলামটরের নিজস্ব ভবনে ৩৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে সারাদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার।

Published by Amjonotablog

i am simple person

Leave a comment